বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠনপাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
আরএমসি’র চেয়ারপার্সন তথা জেলাশাসক জয়শী দাশগুপ্ত বলেন, শুক্রবার রাতে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের সাইবার ক্রাইম থানায় এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আরএমসিতে বিশাল একটি চক্র গজিয়ে উঠেছে। এতে একদল অসাধু ব্যবসায়ী সহ মার্কেট কমিটিতে কর্মরত একাধিক আধিকারিকও জড়িত রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম থানার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অফিসার বলেন, জেলাশাসকের তরফে দায়ের হওয়া ওই অভিযোগ গোয়েন্দা বিভাগকে ট্রান্সফার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই বিভাগের আধিকারিকরা তদন্ত শুরু করেছেন।
উল্লেখ্য, ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট মার্কেটিং বোর্ডের নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেটে ফল ও সব্জি কমপ্লেক্সে থাকা ৬২টি স্টলের মালিকানা রাতারাতি বদল হয়েছে। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাস থেকে শুরু করে ২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত স্টলগুলি হস্তান্তরিত হয়েছে। প্রতিক্ষেত্রেই মার্কেট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ৫০ হাজার টাকার আর্থিক লেনদেনের রসিদ প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সেক্রেটারি ও ক্যাশিয়ারের সই রয়েছে। তবে সেই টাকা আরএমসি’র ফান্ডে জমা পড়েনি।
সই জাল নিয়ে জেলাশাসকের দাবি, এই ঘটনায় শিলিগুড়ির বেশকিছু মুহুরি জড়িত আছে। তাদের প্রত্যক্ষ মদতেই এই জাল সই চক্র মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। মার্কেট কমিটির চেয়ারপার্সন বলেন, আমার সই করা কোনও নথি থেকে ওই চক্রের কেউ বা কারা সংগ্রহ করে কম্পিউটারে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে একাধিক সাদা কাগজে প্রিন্ট করেছে। পরবর্তীতে সেই সই করা কাগজে মুহুরিদের দিয়ে নকল চুক্তিপত্র বানানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে যে মুহুরি এই কাজ করেছেন সেও অভিযুক্ত। চেয়ারপার্সন আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত যেসকল তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে সেসবই ফটোকপি। এখনও অবধি কোনও চুক্তিপত্রের আসল নথি প্রকাশ্যে আসেনি। সেক্ষেত্রে আমরা ওই সব ফটোকপির আসল চুক্তিপত্র খুঁজছি। সংবাদ মাধ্যমের সামনে যেসব ফটোকপি চুক্তিপত্র প্রকাশ পেয়েছে বাস্তবে হয়ত তার আসল কোনও কপি নেই। তবে সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, সই জাল সহ ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট মার্কেটিং বোর্ডের নিয়ম না মেনে ফল ও সব্জি কমপ্লেক্সে থাকা ৬২টি স্টলের মালিকানা বদল হওয়ার ঘটনায় আগামীতে জেলাশাসক তথা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মার্কেট পরিদর্শনে অসাবেন। পরিদর্শনকালে কর্তৃপক্ষের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবেন। পাশাপাশি হস্তান্তরিত স্টল মালিকদের সঙ্গেও কথা বলবেন। পুরনো নথি অনুসারে ওই ৬২টি স্টলের মালিকানাও তিনি খতিয়ে দেখবেন। সেক্ষেত্রে কোনও কারচুপি প্রকাশ্যে এলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।