বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠনপাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, শুক্রবার ময়নাগুড়ির চূড়াভাণ্ডারে মোদির জনসভায় জনপ্লাবন হয়েছিল। কিন্তু কোথা থেকে এত মানুষ সভায় এল সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে শাসক দল। এই বিপুল ভিড় তাদের কাছেও মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের সিংহভাগ পঞ্চায়েতে তৃণমূল বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে। তারপর কয়েকমাসের মধ্যে কী এমন হল যাতে বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ মোদির সভায় ভিড় জমালেন? শাসক দল গোটা বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা শুরু করেছে।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তথা তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, অসম, উত্তরপ্রদেশ থেকে স্পেশাল ট্রেনে করে লোক আনা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। কেন্দ্রীয় স্তরে বাম আর বিজেপির শ্রমিক সংগঠনগুলির মধ্যে একটা গোপন বোঝাপড়া হয়েছে। সেকারণে বামেরাও তাদের সভা ভরাতে সহায়তা করছে। বিজেপির উত্তরবঙ্গের আহ্বায়ক রথীন বসু বলেন, বুথস্তর থেকে কাতারে কাতারে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রধানমন্ত্রীর সভায় এসেছিলেন। নিজেরাই গাড়ি ভাড়া করে এসেছেন। আমরা গাড়ির টাকা, খাবারও দিতে পারিনি। তবু তিন লক্ষাধিক মানুষ এসেছেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী যে কথাই বলুন কোথাও কোনও ট্রেন আমরা ভাড়া করিনি। আমরা এবার উত্তরবঙ্গের সমস্ত আসন দখল করব। প্রাক্তন মন্ত্রী সিপিএমের অনন্ত রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে দেখার জন্য কিছু মানুষ গিয়েছিলেন। তৃণমূলে যাঁদের মোহভঙ্গ হয়েছে তাঁরাও ওই সভায় গিয়েছিলেন। এরসঙ্গে বাম বিজেপির আঁতাতের কোনও প্রশ্নই নেই। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি মালতী রাভা বলেন, প্রতিটি বুথ থেকে লোক সভায় গিয়েছিলেন। আমরা নিউ কোচবিহার থেকে স্পেশাল ট্রেনের আবেদন করেছিলাম। কিন্তু সেই আবেদন মঞ্জুর হয়নি।
বাসিন্দাদের মতে, উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন জেলায় এখনও বুথস্তরে সর্বত্র কমিটিই তৈরি করতে পারেনি বিজেপি। তারপরেও এই জনজোয়ারের পিছনের রহস্যটা কী? বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল তাদের গাড়ি আটকেছিল। তা সত্ত্বেও যাঁরা সুযোগ পেয়েছেন তাঁরাই মোদির জনসভায় গিয়েছিলেন। মাদারিহাট, কালচিনি, নাগরাকাটা, কুমারগ্রামের চা বলয় থেকে বাসিন্দারা মোদির সভায় গিয়েছিলেন। স্থানীয় পরিসংখ্যান অনুসারে চা বাগান এলাকা থেকে ১৫০টি ট্রাকে বোঝাই লোকজন সভায় গিয়েছিলেন। পাশাপাশি জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার শহরের বাসিন্দারাও জনসভামুখী হয়েছিলেন। মূলত বুথস্তরে প্রচার করে বিজেপি প্রচুর মানুষকে জনসভামুখী করতে পেরেছে। নিম্ন অসম থেকেও কিছু মানুষ এসেছিল। তবে বাসিন্দাদের একাংশের মতে, মোদির ব্যক্তিগত ক্যারিশ্মাই লোক টেনেছে। এদিকে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, সভার পর তাদের ছ’জন কর্মীকে অপরহণ করা হয়েছে। তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সভা শুরুর আগে ও পরে বিভিন্ন রাস্তায় কৃত্রিম যানজট তৈরির চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু এসব সত্ত্বেও জনপ্লাবন আটকানো যায়নি।