প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লোহা ও ... বিশদ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু করোনা সংক্রমণকে বিশ্বব্যাপী মহামারী আখ্যা দেওয়ার পর থেকেই আর্থিক মন্দা নিয়ে আশঙ্কার কথা শুনিয়ে আসছিল আইএমএফ। আর্থিক পরিস্থিতির হাল খুব খারাপ হতে পারে ইঙ্গিত দিয়ে গোটা বিশ্বকে তারা সতর্ক করেছিল। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে স্পষ্টভাবে আইএমএফ জানিয়ে দিল, ‘এটা পরিষ্কার যে আমরা আর্থিক মন্দার মধ্যে ঢুকে পড়েছি। এবং সেই অর্থনৈতিক সঙ্কট ২০০৯ সালের বিশ্বজোড়া অর্থসঙ্কটের থেকেও ভয়াবহ হবে।’
করোনা মোকাবিলায় বিশ্বের বেশিরভাগ উন্নত, উন্নয়নশীল দেশ লকডাউন ঘোষণা করছে। যার জেরে বন্ধ উৎপাদন। থমকে গিয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। শিল্প উৎপাদন তলানিতে ঠেকেছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের বাজারকে চাঙ্গা করতে আড়াই লক্ষ কোটি ডলার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ক্রিস্টালিনা। সেইসঙ্গে তাঁর সতর্কতা, যদিও হিসেবটি একেবারের নীচের দিকের। প্রায় ৮০টি দেশ আইএমএফের থেকে আপদকালীন তহবিল চেয়েছে। ক্রিস্টালিনার কথায়, ‘আমরা জানি যে এই সমস্ত দেশের নিজস্ব ভাণ্ডার এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ এই সঙ্কট মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট নয়।’
এদিন ওয়াশিংটনের ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্তা-ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত ‘স্টিয়ারিং কমিটি’র সঙ্গে অনলাইন বৈঠকে বসেছিলেন আইএমএফ প্রধান। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। ক্রিস্টালিনা বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির প্রধান উদ্বেগ হল, দেউলিয়া অবস্থা এবং ছাঁটাই। যা শুধুমাত্র পুনরুদ্ধারকে বাধা দেবে তা নয়, সমাজের কাঠামোতেও ঘুন ধরিয়ে দেবে। একমাত্র করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ হলেই অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার সম্ভব বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে সেটা রাতারাতি সম্ভব নয়। আইএমএফ কর্তা বলেছেন, আমরা ২০২১ সালে পুনরুদ্ধারের প্রকল্প তৈরি করেছি। আমরা যদি সব জায়গায় ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, নগদ সমস্যা মেটাতে পারি, তবেই অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। একইসঙ্গে করোনা মোকাবিলায় মার্কিন পার্লামেন্ট সেনেটের দ্রুত আড়াই লক্ষ কোটি ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন ক্রিস্টালিনা।