জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
রেলমন্ত্রকের তথ্য বলছে, কেন্দ্রের মোদি সরকারের ১০ বছরের মেয়াদে বিভিন্ন কারণে সারা দেশে মোট ৬৭৮টি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। ওই সময়কালে সবথেকে বেশি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে ২০১৪-১৫ আর্থিক বছরে। ১৩৫টি। অন্যদিকে, রেল বোর্ড জানাচ্ছে, কবচ প্রযুক্তি কিংবা অটোমেটিক ট্রেন প্রোটেকশন সিস্টেম (এটিপি) চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে ২০১৯ সালে। রেল সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, কবচ প্রযুক্তি অনুমোদনের পর থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষ পর্যন্ত সারা দেশে ছোটবড় মিলিয়ে ট্রেন দুর্ঘটনার সংখ্যা মোট ২০০টি। আর প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই ‘কবচ’ প্রযুক্তির দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে, আদৌ কি কবচ কার্যকর করতে সক্ষম কেন্দ্রীয় সরকার? নাকি তা শুধুই চমকের রাজনীতি? অনুমোদিত হলেও কেন এটিপির পর্যাপ্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে না, সেই প্রশ্নও উঠছে।
বিশেষ করে এক বছরের ব্যবধানে দু’টো ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট দু’টো রুটের কোথাও ‘কবচ’ প্রযুক্তি কার্যকর করতে পারেনি কেন্দ্র। এ নিয়ে ঘরে বাইরে প্রবল বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে মন্ত্রককে। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি রেলমন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন রেলমন্ত্রী। পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের প্রায় পুরো রেলওয়ে নেটওয়ার্ক কবচে মুড়ে ফেলা সম্ভব কি না, বৈঠকে তিনি তা জানতে চান। ইতিবাচক জবাব পাওয়ার পরেই এ ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। তারই ঘোষণা হতে চলেছে বাজেটে। রেল সূত্র জানিয়েছে, ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সুরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে মোট ১ লক্ষ ৭৭ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রেল। যা পূর্বতন ইউপিএ আমলের দশ বছরের তুলনায় প্রায় আড়াই গুণ বেশি।