আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
২০২০ সালের ২১ জুলাই সংশ্লিষ্ট ‘প্রয়াস’ কর্মসূচি শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকার। এর অন্যতম প্রধান লক্ষ্যই হল অবসর গ্রহণের দিনই এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিমের (ইপিএস, ১৯৯৫) আওতায় থাকা ইপিএফ গ্রাহকরা যাতে পেনশন পেমেন্ট অর্ডার পেয়ে যান, তা নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সবক’টি জোনাল এবং আঞ্চলিক কার্যালয়কে প্রয়োজনীয় নির্দেশও আগেই দিয়েছে ইপিএফও। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে অবসর নেবেন, এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিমের আওতায় থাকা এমন প্রত্যেক গ্রাহক এবং তাঁদের নিয়োগকর্তাকে নিয়ে ওয়েবিনার করতে হবে। পেনশন সংক্রান্ত কাগজপত্র কীভাবে ত্রুটিহীনভাবে জমা দিতে হবে, তা নিয়ে পরামর্শ দিতে হবে। যাতে বিনা বাধায় কোনওরকম ভুলত্রুটি ছাড়াই আগাম পেনশন সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দিতে পারেন সংশ্লিষ্ট গ্রাহকরা। অর্থাৎ, তাঁরা যেন কোনওরকম ভোগান্তির শিকার না হন। অভিযোগ, এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণেই ব্যর্থ হচ্ছে সরকার।
সম্প্রতি সমস্ত জোনাল এবং রিজিওনাল কার্যালয়ের অধিকর্তাদের উদ্দেশে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন অ্যাডিশনাল সেন্ট্রাল পিএফ কমিশনার (পেনশন) অপরাজিতা জগ্গি। সেখানে তিনি স্পষ্টই উল্লেখ করেছেন, ‘পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে নির্দেশিকা মেনে এ সংক্রান্ত কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক জায়গাতেই পৌঁছয়নি। বহু পিছিয়ে রয়েছে। প্রয়াসের আওতায় সমস্যার সমাধানে ফিল্ড অফিসগুলিকে আরও বেশি সক্রিয় (প্রো-অ্যাক্টিভ) হতে হবে।’ এ ব্যাপারে অবিলম্বে উপযুক্ত পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ইপিএফও জানিয়েছে, প্রত্যেক মাসে যে ‘নিধি আপকে নিকট’ কর্মসূচি হয়ে থাকে, সেখানেও অবসর গ্রহণকারী কর্মী পিএফ গ্রাহকদের হাতে পেনশন পেমেন্ট অর্ডার তুলে দেওয়া যেতে পারে।