যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
সিবিআই জেনেছে, সন্দেশখালির বাদশা জোর করে জমি দখল করতেন। এরপর সেই জমি অন্যকে বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ টাকা রোজগার করেন তিনি। এই টাকার একটা অংশ দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় সম্পত্তি কিনেছিলেন শাহজাহান। বাকি টাকা ব্যাঙ্কে নগদে জমা করেন তিনি। কোন কোন জায়গায় শাহজাহান এবং তাঁর স্ত্রী ও মেয়েদের নামে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তার তথ্য জোগাড় শুরু হয়। জানা যায়, সন্দেশখালির একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে তাঁর স্ত্রী ও বড় মেয়ের নামে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এছাড়া ওই এলাকারই আরও কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কে একাধিক অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাঁদের। এর বাইরে অন্যের আধার-প্যান ব্যবহার করেও কিছু অ্যাকাউন্ট খোলেন তিনি। এই সমস্ত অ্যাকাউন্টে দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকা জমা পড়ত। তা আবার কয়েকদিনের মধ্যে চলে যেত অন্য অ্যাকাউন্টে অথবা লেনদেন দেখিয়ে পেমেন্ট করা হতো অন্যকোনও সংস্থাকে।
অভিযোগ, এইভাবে বিপুল পরিমাণ ‘কালো’ টাকা ‘সাদা’ করেছেন শাহজাহান। নিজের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে ব্যাঙ্ককর্মীদের তিনি বাধ্য করেন নগদে টাকা জমা করতে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ব্যাঙ্কের তরফে কোনও অভিযোগ করা হল না কেন? ব্যাঙ্কগুলির বিরুদ্ধে এই প্রশ্নই তুলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি। ব্যাঙ্কের নথি জোগাড় করতেই ধামাখালির ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে যান এজেন্সির আধিকারিকরা। তার ভিত্তিতে জেলে গিয়েই শাহজাহানকে জেরা করা হবে বলে খবর। এরপর অন্য যেসব ব্যাঙ্কে বাদশার অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেখানেও যাবেন তদন্তকারীরা।