মুম্বই: অবশেষে ঘাটকোপার বিলবোর্ড বিপর্যয়ের উদ্ধারকাজ শেষ হল। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ উদ্ধারকাজ শেষ হয়। সোমবার প্রবল ধুলোঝড়ে ছেদ্দা নগরের একটি পেট্রল পাম্পের উপর ভেঙে পড়ে বিশালাকার বিলবোর্ডটি। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ১৬ জন। আহত হন কমপক্ষে ৭৫ জন। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের এক অবসরপ্রাপ্ত ম্যানেজার এবং তাঁর স্ত্রীও। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় গাড়ি নিয়ে পেট্রল পাম্পে গিয়েছিলেন মনোজ চানসোরিয়া এবং তাঁর স্ত্রী অনিতা। সেখান থেকে বেরনোর আগেই ভেঙে পড়ে বিলবোর্ডটি। মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে বুধবার রাতে দম্পতির দেহগুলি উদ্ধার করা হয়। বিলবোর্ড লাগানোর জন্য ইগো মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক ভবেশ ভিন্দের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে মামলা। ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ভবেশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে অবশেষে তাঁকে উদয়পুর থেকে গ্রেপ্তার করল মুম্বই পুলিসের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। এদিকে, দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ইতিমধ্যে বাণিজ্য নগরীর অবৈধ বিলবোর্ড, হোর্ডিং সরানোর কাজ শুরু করেছে বিএমসি। একইসঙ্গে রেলকেও তাদের জমিতে নির্ধারিত মাপের থেকে বড় হোর্ডিং সরানোর আর্জি জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, ভেঙে পড়া অবৈধ বিলবোর্ডটি জিআরপির জমিতে বসানো হয়েছিল।
এদিকে, পুলিসি তদন্তে ঘাটকোপারের ওই পেট্রল পাম্প নিয়ে একাধিক তথ্য সামনে এসেছে। সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট পেট্রল পাম্পের অকুপেন্সি সার্টিফিকেট (ওসি) ছিল না। দুর্ঘটনার পর পাম্প নির্মাণের প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়েও শুরু হয়েছে তদন্ত। জানা গিয়েছে, নির্দিষ্ট জমিটি আবাসন দপ্তরের আওতাধীন। সেখানে বাণিজ্যিক কাজকর্মের জন্য রাজস্ব দপ্তরের অনুমতি প্রয়োজন। সূত্রের খবর, জমিতে পেট্রল পাম্প নির্মাণের বিরোধিতা করেছিল পুলিস হাউজিং ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন। পুলিস কর্মীদের জন্য আবাসন তৈরির দায়িত্বে রয়েছে এই সংস্থা। হাজার আপত্তি সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি। সরকারি ছাড়পত্র ছাড়াই সম্পন্ন হয় নির্মাণকাজ। বর্তমানে এটাই তদন্তের অন্যতম ইস্যু। অন্যদিকে, ডিজিপি র্যাঙ্কের এক অফিসারের অধীনে দুর্ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।