শারীরিক কারণে কর্মে বাধা দেখা দেবে। সন্তানরা আপনার কথা মেনে না চলায় মন ভারাক্রান্ত হবে। ... বিশদ
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অছি পরিষদের বৈঠকে পেনশন সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু তারপর দেড় বছর কেটে গিয়েছে। আরও তিনটি ইপিএফও অছি পরিষদের বৈঠক হয়েছে। অভিযোগ, কোনওটিতেই এ নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি সরকার। ইপিএফ পেনশন নিয়ে কেন্দ্রের এহেন টালবাহানায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ এবং অসন্তোষের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ৪ মার্চ জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে ২২৮ তম অছি পরিষদের বৈঠক করেছে ইপিএফও। সেখানে হাজির ছিলেন অছি পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তোষকুমার গঙ্গওয়ার। পশ্চিমবঙ্গ সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে ২০২০-২১ আর্থিক বছরের ইপিএফ সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত ওই বৈঠকেই নিয়েছে কেন্দ্র। ইপিএফ পেনশন গ্রাহকদের একটি বড় অংশের আশা ছিল, অন্তত নির্বাচনী পর্বে এবার তাঁদের শিঁকে ছিঁড়লেও ছিঁড়তে পারে। কিন্তু তা হয়নি। ইপিএফও অছি পরিষদের সদস্য তথা এআইইউটিইউসির নেতা দিলীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘এবারের বৈঠকেও মন্ত্রীর কাছে নির্দিষ্ট করে পেনশনের বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি কোনও জবাব দেননি। এই সরকার কর্পোরেটদের জন্য যতটা উদার, তার সিকিভাগ সহানুভূতিও গরিব শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য নেই।’
নিয়ম অনুসারে, দেশের যেসব সংস্থা-প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ২০ জন কর্মচারী রয়েছেন, সেই সংস্থাগুলি ইপিএফওর আওতায় থাকে। ওই কর্মচারীদের মধ্যে যিনি মাসে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পান, তিনি বাধ্যতামূলকভাবে ইপিএফের আওতায় থাকেন। প্রতি মাসে ওই কর্মী তাঁর বেসিক স্যালারি এবং মহার্ঘ ভাতার ১২ শতাংশ অর্থ ইপিএফ খাতে প্রদেয় অর্থ (কন্ট্রিবিউশন) হিসেবে জমা দেন। সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর হয়ে তাঁর সংস্থা-কর্তৃপক্ষ জমা দেয় আরও ১২ শতাংশ কন্ট্রিবিউশন। এর মধ্যে ৩.৬৭ শতাংশ যায় ওই কর্মীর ইপিএফ খাতে, বাকি ৮.৩৩ শতাংশ জমা পড়ে তাঁর ইপিএস বা পেনশন অ্যাকাউন্টে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এই পেনশনেরই ন্যূনতম মাসিক পরিমাণ এক হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধির ব্যাপারে উদ্যোগ না নেওয়ার অভিযোগ উঠছে সরকারের বিরুদ্ধে।