বিদ্যার্থীদের পঠনপাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
ঠিক এরকমই এক আবহে বিগত এক সপ্তাহ ধরে একের পর এক শহরে ভূতুড়ে ফোন আসছে বিস্ফোরণের হুমকি দিয়ে। গত সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত গাজিয়াবাদ, নয়ডা, কানপুর, এলাহাবাদ, বারাণসীতে একের পর এক ভুয়ো ফোন এসেছে। শুধু যে ভুয়ো ফোন আসছে এমন নয়। যেখানে বোমা রাখা আছে বলে ফোনে হুমকি দেওয়া হয়েছে, সেখানে সন্দেহজনক বিস্ফোরক জাতীয় উপকরণ ও যন্ত্রাংশও মিলেছে। শুক্রবার নয়ডা ৬৩ নং সেক্টরের পুলিশের কাছে ফোন করে বলা হয়, মার্কেট কমপ্লেক্সে বোমা রাখা আছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায় একটি টাইমার ওয়াচ লাগানো উপকরণ লাগানো পড়ে আছে রাস্তায়। বোমা নিষ্ক্রিয় বিভাগ পরীক্ষা করে জানায় এটি বোমা নয়। কিন্তু বিস্ফোরকের মতো দেখতে যন্ত্রাংশ। বৃহস্পতিবার নয়ডা ২৭ নং সেক্টরে একটি বেসরকারি হাসপাতালের বেসমেন্টে বিস্ফোরক রাখা আছে বলে ফোন আসে। সতর্কতা এবং আতঙ্কের কারণে রোগীদের বাইরে নিয়ে এসে ফাঁকা করে দেওয়া হয় হাসপাতাল চত্বর। বোমা পরীক্ষা ও নিষ্ক্রিয়করণ বিভাগ, ডগ স্কোয়াড, দমকল ঘটনাস্থলে এসে খানা তল্লাশি করে। কিন্তু কোনও বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। বুধবার গাজিয়াবাদের মধুবন এলাকায় এলপিজি সিলিন্ডারের সঙ্গে টাইমার লাগানো ছিল। যথারীতি পুলিশ ও বম্ব স্কোয়াড এসে দেখেছে সেটি বিস্ফোরক নয়। শুক্রবার একইদিনে প্রায় একই সময়ে দুটি ফোন কল এসেছে এলাহাবাদ এবং কানপুরে। বিনায়ক সিটি সেন্টার পিভিআর মলে বিস্ফোরকা রাখা আছে এই বার্তা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গোটা শপিং সেন্টার ফাঁকা করে দেওয়া হয়। কানপুরে একটি রহস্যময় ট্যুইটার হ্যান্ডল থেকে একসঙ্গে তিনটি স্থানে বিস্ফোরক রাখা আছে বলে জানানো হয়। সাউথ এক্স শপিং মল, কিনওয়াই নগরে বোমা রাখা আছে এই মর্মে ফোনও আসে। কিন্তু এক্ষেত্রেও বিস্ফোরক মেলেনি। ট্যুইটার হ্যান্ডলটির মালিককেও চিহ্নিত করা যায়নি এখনও। তবে এভাবে একের পর এক ঘটনায় দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশ চরম সতর্কতা নিয়েছে। কারণটাও স্পষ্ট। দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে ক্রমাগত মিথ্যা ফোন ও বার্তা দিয়ে বিভ্রান্ত করা হবে। আর এর ফাঁকেই সাধারণতন্ত্র দিবসে সত্যিই দিল্লিতে জঙ্গিরা বিস্ফোরক ঢুকিয়ে দিতে সক্ষম হবে। সেই জন্য নয়ডায় লাগাতার ১৪৪ ধারা জারি করা হচ্ছে। দিল্লিতে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত একপ্রকার লকডাউন করে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দিল্লিতেও আংশিক ১৪৪ ধারা জারি হবে।