বিদ্যার্থীদের পঠনপাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
২০১৮ সালে ভারতে ফেসবুক ও কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার কেলেঙ্কারি সামনে আসে। বিতর্ক শুরু হতেই আসরে নামে কেন্দ্রীয় সরকার। তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ সংসদে জানান, সিবিআই গোটা বিষয়ের তদন্ত করবে। সেবছরই কাজ শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, জিএসপিএল-এর প্রতিষ্ঠাতা তথা ডিরেক্টর ডঃ অ্যালেকজান্ডার কোগান একটি অ্যাপ তৈরি করেছিলেন। তার নাম ‘দিসইজইওরসডিজিটাললাইফ’। ফেসবুকের নীতি অনুযায়ী, এই অ্যাপ পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য ব্যবহারকারীদের কিছু তথ্য সংগ্রহ করবে। কিন্তু শুধু ব্যবহারকারীরই নয়, তাঁর বন্ধুদেরও তথ্য বেআইনিভাবে হাতানো হয় ওই অ্যাপের মাধ্যমে। ভারতে মোট ৩৩৫ জন এই অ্যাপ ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু সবমিলিয়ে ৫ লক্ষ ৬২ হাজার ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি করা হয়েছিল। তবে, ঘুণাক্ষরে কেউ কিছু টের পাননি। সমস্ত তথ্য জিএসপিএল ব্রিটেনেরই সংস্থা কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার হাতে তুলে দিয়েছিল বলে অভিযোগ।
তদন্তে নেমে ওই ৩৩৫ জনের সঙ্গেই যোগাযোগ করেছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। কিন্তু তাঁদের মধ্যে ছ’জনের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়েছে। সিবিআইকে তাঁরা জানিয়েছেন, এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও বন্ধুদের তথ্য যে চুরি করা হচ্ছে, তা বোঝা যায়নি। কী কী তথ্য সংগ্রহ করা হতো এই অ্যাপের মাধ্যমে? জানা গিয়েছে, নাম, প্রোফাইলের ছবি, ফোন নম্বর, লোকেশন, ফেসবুকের বন্ধুদের গোপনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হতো। সেই সঙ্গে, ব্যবহারকারী কোন পেজে লাইক করছেন, কাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন, কী বলছেন—সব কিছুই গোপনে চলে যেত সংস্থার হাতে। ফেসবুকের জবাব তলব করেছিল সিবিআই। জবাবে মার্ক জুকেরবার্গের সংস্থা জানিয়েছিল, ৫ লক্ষ ৬২ হাজার ভারতীয়ের ফেসবুকের তথ্য বেআইনিভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দেয় কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা। তারা পাল্টা জানায়, গ্লোবাল সায়েন্স প্রাইভেট লিমিটেডের থেকে শুধু মাত্র ব্রিটেনের ব্যবহারকারীদের তথ্য মিলেছে।
গত দু’বছর ধরে সিবিআই এই কেলেঙ্কারির তদন্ত করছে। প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে পেয়ে গোটা বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য-প্রমাণও পেয়েছে সিবিআই। তার ভিত্তিতে দুই ব্রিটিশ সংস্থার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং তথ্য-প্রযুক্তি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু ভোটে এর প্রভাব? সেই উত্তর কিন্তু এখনও মেলেনি।-ফাইল চিত্র