অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা, বাহন ক্রয়ের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় সংশয় ... বিশদ
গত ১৮ মে একটি কারখানার সামনে থেকে সুরেশের বাইকটি চুরি যায়। বাইক চুরি হওয়ার পর তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। সুরেশ কারখানার আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন। সেই ফুটেজ নিজের মোবাইলে তুলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দেখান সুরেশ। স্থানীয়দের কয়েকজন ওই চোরকে চিহ্নিত করেন। তাঁরা বলেন, ওই চোরের নাম প্রশান্ত। সে ওই কারখানার খানিক দূরেই একটি চায়ের দোকানে কাজ করে। এরপর এক বন্ধুর সহযোগিতায় স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সুরেশ। এরমধ্যেই শনিবার একটি ক্যুরিয়ার সংস্থা থেকে ফোন পান সুরেশ। তাঁকে বলা হয়, তাঁর নামে একটি বাইক এসেছে। কিন্তু ওই পার্সেল নেওয়ার জন্য তাঁকে ১ হাজার ৪০০টাকা দিতে হবে। পার্সেল দেখে অবাক হয়ে যান সুরেশ। দেখেন তাঁর চুরি যাওয়া বাইক ফিরিয়ে দিয়েছে চোর। আসলে লকডাউনে কাজ হারিয়ে বাইক চুরি করে স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ২৪০ কিলোমিটার দূরে নিজের বাড়িতে ফিরে গিয়েছিল প্রশান্ত। সেখানে ফিরে প্রশান্ত ভাবে, এই চুরি করা বাইক নিয়ে সমস্যা হতে পারে। তখনই ওই বাইক ফেরত দেওয়ার কথা ভাবে সে। স্থানীয় একটি পার্সেল কোম্পানিতে গিয়ে ১৩ হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে ওই বাইক ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করে প্রশান্ত। যেহেতু বাইকের বিমা-মূল্য অনুযায়ী ১ হাজার ৪০০ টাকা সে কম দেয়, তাই ওই টাকা সুরেশের কাছ থেকে নিয়ে নেয় পার্সেল কোম্পানি। নামমাত্র টাকা খরচ করে হারানো বাইক ফিরে পেয়ে খুশি সুরেশ।তিনি বলেন, ‘চুরি যাওয়া বাইক এভাবে ফেরত পাব, কল্পনাও করিনি।’