নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি, ৩০ মার্চ: দেশে ‘প্রধানমন্ত্রী ন্যাশনাল রিলিফ ফান্ড’ থাকা সত্ত্বেও কেন নতুন করে করোনা মোকাবিলায় ‘পিএম কেয়ারস’ নামে ট্রাস্ট গড়া হল? এর পিছনে কি অন্য কোনও উদ্দেশ্য আছে? করোনা মোকাবিলায় ২১ দিনের লকডাউন সহ কড়া ব্যবস্থায় সরকারের পাশে থাকলেও নরেন্দ্র মোদিকে তোপ দেগে আজ এই প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস। একইসঙ্গে সরকারের কাছে দাবি করা হল, ক্ষুদ্র এবং মধ্যম শিল্পক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত দেশের ৪ কোটি ২৫ লক্ষ ইউনিটের তিন মাসের বেতন বহন করুক কেন্দ্র। পুরোটা না হলেও দিক ৭০ শতাংশ। অঙ্কের হিসেবে যা মাত্র এক লক্ষ কোটি। লকডাউনে আটকে পড়া অনিশ্চিত ট্রাক ড্রাইভারদের তিন মাসের বেতন সরাসরি ট্রান্সফার করা হোক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। একইসঙ্গে সরকার নিশ্চিত করুক, লকডাউনের এই সময়ে দেশের বেসরকারি কোনও সংস্থা যাতে কর্মী ছাঁটাই করতে না পারে। করোনার ভয়ঙ্কর ভাইরাস কোভিড-১৯-এর মোকাবিলায় লকডাউনে পরস্পরে মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার দাওয়াই দিয়েছেন মোদি। তা মানছে কংগ্রেস। সমর্থনও করছে। কিন্তু সরকারের সমালোচনা করতেও পিছপা হচ্ছে না। তাই বিশেষ এক অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন সাংবাদিক সম্মেলনেই চলছে তোপ। সেখানেই দলের মুখপাত্র গৌরব বল্লভের প্রশ্ন, বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্য সরকারের তহবিল আছে। রয়েছে প্রধানমন্ত্রী ন্যাশনাল রিলিফ ফান্ড। যেখানে এখন ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা রয়েছে। তা সত্ত্বে কেন প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে পিএম কেয়ারস ট্রাস্ট গড়া হল? কবেই বা তার রেজিস্ট্রি হল? কে করল রেজিস্ট্রি? এরকম নানান সওয়াল সামনে আসছে। তাই আমাদের প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফান্ডেই কেন টাকা দান করতে বলা হল না? সরকারকে তা স্পষ্ট করতে হবে।
লকডাউন পর্বে প্রধানমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নানা ভিডিওর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে গৌরব বল্লভ সমালোচনা চড়ান। বলেন, লকডাউন কীভাবে কাটাবেন তা নিয়ে যেসব ভিডিও ছবি সামনে আসছে, তা অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন। দেশে মানুষ করোনায় মরছেন। আক্রান্ত হচ্ছেন। দিন মজুররা রাস্তায়। মাইলের পর মাইল হেঁটে বাড়ি ফিরতে চাইছে আতঙ্কিত মানুষ। আর সেই সময়ে রোগকে কাবু করতে সরকার জোর না দিয়ে লকডাউনের একঘেয়েমি কাটাতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যোগা করুন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী লুডো খেলছেন। তথ্য সম্প্রচারমন্ত্রী সোফায় পা দোলাতে দোলাতে সিরিয়াল দেখছেন। স্মৃতি ইরানি অন্ত্যাক্ষরী খেলছেন। এর চেয়ে নিলর্জ্জ আর কিছু হতে পারে? প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস।