পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন পাঠনে পরিশ্রমী হলে ... বিশদ
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে লব আগরওয়াল জানিয়েছেন, ‘সরকারি নথিতে কোথাও আমরা বলছি না যে এটি যে গোষ্ঠী সংক্রমণ। ভারত এখনও স্থানীয় সংক্রমণের স্তরে রয়েছি। যদি এখনই আমরা গোষ্ঠী শব্দটি ব্যবহার করি, তাহলে তা মানুষকে বিভ্রান্ত করা হবে। আমাদের গোষ্ঠী শব্দটি ব্যবহার করতে দিন। কিন্তু আপনারা যেভাবে তাকে ব্যাখ্যা করেছেন, একেবারেই সেই অর্থে নয়।’
সাধারণত, করোনার মতো সংক্রামক রোগের চারটি পর্যায় হয়। প্রথম পর্যায়টি হল, আক্রান্তরা সংক্রামিত দেশ থেকে এসেছেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে, তাদের সংস্পর্শে এসে সংক্রমণ ছড়ায়। স্থানীয় সংক্রমণের ক্ষেত্রে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম হয়। এই স্তরে ভাইরাসের উত্স এবং তা ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি চিহ্নিত করা যায়। তৃতীয় পর্যায় হল গোষ্ঠী সংক্রমণ বা কোনও সংস্পর্শ ছাড়াই মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। চতুর্থ পর্যায়ে রোগটি মহামারীর আকার নেয়।
পরিসংখ্যান বলছে, এদিন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রে। সেখানে মৃতের সংখ্যা ৮। আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখেও সব রাজ্যকে ছাপিয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্রই। এদিন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ জন। মহারাষ্ট্রে সাংলিতে সংক্রমণের শিকার হয়েছেন একই পরিবারের ২৫ সদস্য। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২১৫। এরপরেই রয়েছে কেরল। বামশাসিত রাজ্যে এখনও পর্যন্ত একজনের মৃত্যু হলেও মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০২।
আজ সকালেই পশ্চিমবঙ্গ এবং গুজরাতে মৃত্যু হয়েছে দুই মধ্যবয়সি মহিলার। পশ্চিমবঙ্গে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২। আক্রান্তের সংখ্যা মোট ২২ জন। গুজরাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫। এদিন রাজস্থানের ভিলওয়ারায় মৃত্যু হয়েছে এক করোনা আক্রান্ত রোগীর। মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে তিন দিন আগে মারা গিয়েছিলেন ৩৮ বছরের এক যুবক। এদিন তাঁর দেহের নমুনা পরীক্ষায় করোনার উপস্থিতি ধরা পড়েছে। এই নিয়ে রাজ্যে মোট ৩ জন আক্রান্ত মারা গিয়েছেন। মোট সংক্রমণের শিকার ৪৪।
মার্চ মাসের শুরুতে দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকার বাংলাওয়ালি মসজিদে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের সংক্রমণ নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া অতিথিদের একজন গত সপ্তাহে করোনায় আক্রান্ত হয়ে শ্রীনগরে মারা গিয়েছেন। অনুষ্ঠানে আসা প্রায় ২ হাজার জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে দিল্লি প্রশাসন। হরিয়ানায় এদিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২২। সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরে নতুন করে ৭ জন সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এখনও পর্যন্ত ৪৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৯২ জন নতুন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ১০২ জন। আইসিএমআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রবিবার পর্যন্ত দেশে মোট ৩৮ হাজার ৪৪২টি করোনা পরীক্ষা হয়েছে। যার মধ্যে শুধু রবিবারেই হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার। এছাড়া গত তিনদিনে ১ হাজার ৩৩৪টি পরীক্ষা করেছে বেসরকারি ল্যাবরেটরিগুলি।