পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন পাঠনে পরিশ্রমী হলে ... বিশদ
প্রশ্ন উঠছে চালগমের পাশাপাশি যে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে, সেই টাকা আদৌ কতজন পাবেন। কারণ যাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে, একমাত্র তারাই কেন্দ্রীয় সরকারের এই আর্থিক সহায়তা পাবে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউণ্ট নেই এরকম গরিব মানুষও আছে কোটি কোটি। তাদের কী হবে? সরকার এখনও এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। এর পাশাপাশি বিভিন্ন বড় শহরে আটকে পড়া লক্ষ লক্ষ শ্রমিকদের নিয়ে তীব্র সঙ্কট তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নির্দেশিকা দিয়েছে প্রতিটি রাজ্যের সীমান্ত সিল করে দিতে। সেই নির্দেশ মেনে সীমান্তগুলি সিল করে দেওয়ায় যে হাজার হাজার শ্রমিকের দল হেঁটে, বাসে নিজেদের ঘরে ফেরার চেষ্টা করছিল তাদের সিংহভাগ আটকে পড়েছে কোনও না কোনও রাজ্যের প্রবেশ সীমান্তে। কিন্তু সেখানে একটানা থাকার মতো কোনও পরিকাঠামো নেই। যেখানে স্কুল আছে, সেখানে স্কুলেই থাকার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। কিন্তু এর থেকেও বড় সমস্যা হল, তাদের সংক্রমণমুক্ত রাখা। যেখানে সামাজিক দূরত্ব রাখার কথা বলা হচ্ছে, সেখানে এই বিপুল সংখ্যক শ্রমিককে স্কুলের কয়েকটি ঘরের মধ্যে একসঙ্গে রাখা ছাড়া উপায় নেই। পাশাপাশি নতুন সমস্যা তৈরি হয়েছে এদের নিয়ে। যে ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকের দল নিজেদের গ্রামে অবশেষে পৌঁছতে পেরেছে, তাদের বহু মানুষকে গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কারণ, সংক্রমণের ভয়। কেন্দ্রের নির্দেশিকা পেয়ে গ্রামপঞ্চায়েত থেকেই গ্রামে গ্রামে ব্যারিকেড করে ফেলা হয়েছে। যাতে বহিরাগতরা ঢুকতে না পারে। এমনকী নিজের গ্রামে ফেরার জন্য তিনচারদিন ধরে হেঁটে আসা মানুষেরা এখন গ্রামে ঢুকতে পারছে না। কারণ, তারা কেউ দিল্লি থেকে, কেউ মুম্বই থেকে এসেছে। তাই সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকেই যায় বলে মনে করা হচ্ছে।