ঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়াই শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
জম্মু ২৪ জানুয়ারি: বিয়ের দিন মণ্ডপে পৌঁছাতেই পারলেন না ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক জওয়ান। আত্মত্যাগ, নিঃস্বার্থ হয়ে দেশের সেবা, নিজের পরিবার-পরিজনের আগে দেশ। দেশের জন্য জীবনের অনেক কিছুই ত্যাগ করতে হতে পারে। ট্রেনিং নেওয়া ইস্তক এইসব সবে মাত্র উপলব্ধি করতে শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু কেরিয়ারের গোড়াতেই সেই কথাগুলি যেন ঘোর বাস্তব হয়ে দেখা দিল তাঁর জীবনে। সব কিছু ঠিকঠাকই চলছিল। বাড়িতে ১৫ জানুয়ারি থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল সাজ-সাজ রব। বাড়ি ভরে উঠেছিল আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবে। কারণ পরদিন অর্থাৎ ১৬ জানুয়ারি যে তাঁর বিয়ে। গত ১ জানুয়ারি থেকে ছুটি নেওয়াও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বাধ সাধল প্রকৃতি। কাশ্মীরের বান্দিপুরায় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তেই ডিউটি ছিল সুনীলের। গত ১৫ দিন টানা তুষারপাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা। বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েও কোনওক্রমে ট্রানজিট ক্যাম্পে পৌঁছাতে পারলেও সেখান থেকে বের হওয়ার সুযোগ পাননি। অগত্যা তাঁকে আটকে থাকতে হয় ওই ক্যাম্পেই। বিয়ের দিন ১৬ জানুয়ারি এল আবার চলেও গেল। শ্বশুরবাড়িতে কনের সাজে হবু স্ত্রী অপেক্ষা করতে থেকেই গেল। কিন্তু ‘বর’ পৌঁছাতেই পারল না। আটকে থাকতেই হল ক্যাম্পে। অবশেষে গত বুধবার ২২ জানুয়ারি বাড়ি ফিরতে পারল সুনীল। তবে তাঁর পরিস্থিতির কথা দুই বাড়ির সকলেই বুঝতে পেরেছেন। তাই তো তড়িঘড়ি ফের ধূমধাম করে আগামী ২৮ জানুয়ারি নতুন করে তাঁদের বিয়ের দিন স্থির করা হয়েছে। সম্প্রতি ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে একটি টুইট করে সুনীলের এমন পরিস্থিতির কথা জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, একজন সৈনিককে ঠিক কতটা প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলতে হয়। দেশের জন্য আত্মত্যাগ ঠিক কী, তা একজন সৈনিকের থেকে ভাল হয়তো আর কেউ জানেন না।
