উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
শারদ পাওয়ার একটি চিঠির প্রতিলিপি দেখিয়ে বলেন, এটা দেখিয়েই আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃষকদের সমস্যার সমাধানে কৃষিঋণ মকুব ও নষ্ট হওয়া ফসলের ক্ষতিপূরণের দাবি করে এসেছি। প্রসঙ্গত গতকালই লোকসভায় শারদ পাওয়ারের কন্যা বারামতীর এমপি সুপ্রিয়া সুলে এই একই দাবি উত্থাপন করেছিলেন। কিন্তু আজ সেই আপাত নিরীহ ইস্যু ছাপিয়ে প্রশ্ন সামনে এসেছে যে মহারাষ্ট্রের এই চাপানউতোরের মধ্যে শারদ পাওয়ারের মতো এক পোড় খাওয়া রাজনীতিক নিছক কৃষি নিয়ে কথা বলেই ফিরে এসেছেন, এমনটা হতেই পারে না।
সর্বোপরি আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। প্রায় ৪৫ মিনিট এই বৈঠক হয়েছে। কিন্তু শুধুই বৈঠক নয়। পুনেতে অনুষ্ঠিতব্য একটি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথা উদ্বোধক হিসেবেই মোদিকে আমন্ত্রণ করেছেন পাওয়ার। তিনি বলেছেন, ওই অনুষ্ঠানের আয়োজকরা চাইছেন প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি। তাই আমরা চাই তিনি আসুন। জানা যাচ্ছে, সেই আমন্ত্রণ গ্রহণও করেছেন মোদি। সুতরাং একদিকে পাওয়ার সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বিগত কয়েক দিন ধরেই মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে লাগাতার বৈঠক করছেন দফায় দফায়, আবার অন্যদিকে তিনি হঠাৎ মোদির সঙ্গে দেখা করায় রাজনৈতিক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। আজ অবশ্য শিবসেনা বলেছে, সব জল্পনার অবসান হয়ে আগামীকালের মধ্যেই আশা করা যায় সরকার গঠনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়ে যাবে। কংগ্রেস ও শিবসেনার মধ্যেও আলোচনায় অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়েছে।
তবে মহারাষ্ট্রে কেন সরকার গঠনের প্রক্রিয়ায় এত বিলম্ব হচ্ছে সেটা নিয়ে তিনটি রাজনৈতিক পক্ষই সন্দিহান। গত কয়েকদিন ধরেই একটি জল্পনা চলছে এই সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে প্রতিরোধ করতে শারদ পাওয়ারকে টার্গেট করেছে মোদি সরকার। পাওয়ারের দলকে কিছুটা দুর্বল করার পর্যাপ্ত সুযোগও রয়েছে মোদি সরকারের হাতে। সেগুলি হল প্রফুল্ল প্যাটেল থেকে অজিত পাওয়ার, বিভিন্ন এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে থাকা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগের মামলা। বিশেষ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের চাপ রয়েছে ওই দুই নেতার উপর। সুতরাং একবার বিজেপি বিরোধী জোটের অংশীদার হলে এনসিপির উপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চাপও আগামীদিনে বাড়তে পারে। এই অবস্থায় সতর্ক হয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে শারদ পাওয়ারকে। তাই রাজনৈতিক মহলের অভিমত, কংগ্রেস যে একাই দ্বিধায় শিবসেনার সঙ্গে জোটে, তা নয়। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শারদ পাওয়ার বিজেপির মনোভাবও জেনে রাখতে চাইছেন।