উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
অন্যদিকে, রাজ্যসভায় আজ অমিত শাহ বলেছেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের সঙ্গে এনআরসির পার্থক্য আছে। দু’টি সম্পূর্ণ পৃথক। নাগরিকত্ব বিল অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, পার্সি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের যঁারা ভারতে চলে এসেছেন, তঁারা উদ্বাস্তু। তঁাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু তার সঙ্গে এনআরসির সম্পর্ক নেই। উল্লেখ্য, গতকাল মমতা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলেরও বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেছেন, এনআরসি হবে না, নাগরিকত্ব সংশোধনীও রাজ্যে কার্যকর করতে দেব না। কেন ভয় পাচ্ছেন? বস্তুত গোটা দেশের মধ্যে এনআরসি এবং নাগরিকত্ব বিল নিয়ে কঠোরতম কেন্দ্র বিরোধী অবস্থান নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আসার সম্ভাবনা। তাই মমতা অধিবেশনের শুরু থেকেই সুর চড়িয়েছেন এনআরসির বিরুদ্ধে।
অমিত শাহ বলেছেন, যখন গোটা দেশে এনআরসি হবে, তখন অসমও তার মধ্যে থাকবে। অর্থাৎ তিনি আগাম ইঙ্গিত দিলেন অসমের এনআরসিরও সংশোধনী হতে চলেছে আগামীদিনে। অসমে এনআরসি তালিকা প্রকাশ হলেও মোদি সরকার কোনও সুফল পায়নি। উল্টে চরম ক্ষোভ-বিক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। কারণ একটাই। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে বহু মুসলিম নাম বাদ যাবে ধরা হয়েছিল। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দেখা যাচ্ছে, চূড়ান্ত তালিকায় সাড়ে ১৯ লক্ষ বাদ যাওয়া নামের মধ্যে সাড়ে ১২ লক্ষেরও বেশি হিন্দু। অমিত শাহ আজ বলেছেন, অসমে যাদের নাম তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে, তাদের সম্পূর্ণ সুযোগ রয়েছে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করার। এমনকী ট্রাইব্যুনালে গিয়ে আবেদন করে আইনি লড়াইয়ের মতো আর্থিক সংস্থান না থাকলে, তাদের সরকারই সাহায্য করবে।
প্রসঙ্গত এনআরসিতে অসমের বাদ পড়া সাড়ে ১৯ লক্ষ মানুষের মধ্যে সিংহভাগ হিন্দু হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গেও চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এনআরসি আতঙ্কে এমনকী আত্মহত্যার খবরও আসছে। গোটা বাংলায় চলছে এ নিয়ে অবিরাম চর্চা। এই অবস্থায় সংসদ থেকে অমিত শাহর ঘোষণা যেমন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, তেমনি আরও গুরুত্বপূর্ণ মমতার পাল্টা হুঙ্কার। এখন থেকেই ইঙ্গিত স্পষ্ট, ২০২১ সালের রাজ্য বিধানসভা ভোটে মমতা বনাম বিজেপির লড়াইয়ে অন্যতম প্রধান ইস্যুই হতে চলেছে এনআরসি বনাম ‘নো-এনআরসি!’