বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
যদিও, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর এই ভগ্নিপতির আর্জির বিরোধিতা করে ইডি আদালতে অভিযোগ করে, তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে একেবারেই সহযোগিতা করছেন না তিনি। মামলায় ইডির আইনজীবী স্পেশ্যাল পাবলিক প্রসিকিউটর ডিপি সিং এবং নীতেশ রানা আদালতকে বলেন, ‘ওয়াধেরা সহযোগিতা তো করছেনই না, উল্টে ছলনাপূর্ণ উত্তর দিচ্ছেন।’ অন্যদিকে, ওয়াধেরার পক্ষে দাঁড়ানো বর্ষীয়ান আইনজীবী কেটিএস তুলসী ওই অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, যখনই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে, তাঁর মক্কেল যেতে রাজি আছেন।
মামলার শুনানি চলাকালীন ইডির আইনজীবীরা দাবি করেন, ওয়াধেরা যেখানেই যান, তা সে আদালতই হোক বা তদন্তকারী সংস্থার অফিস, সবসময়ই তাঁর সঙ্গে পুরো ‘বারাত’ (বরযাত্রী) থাকে। তাঁরা বলেন, ‘কিছু কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা সবসময় নিজের সঙ্গে বারাত নিয়ে ঘোরেন, ওয়াধেরা তেমনই একজন।’ ইডির আইনজীবীদের নিশানা যে সংবাদমাধ্যমের দিকেই ছিল, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি কারও। এখানেই শেষ নয়। ফেসবুক সহ বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে এই মামলা সম্পর্কে লিখে প্রচারে থাকার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ করে ইডি।
১৯ লক্ষ ব্রিটিশ পাউন্ডের বিনিময় লন্ডনে একটি সম্পত্তি বেনামে কেনার অভিযোগে রবার্টের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ইডি। ইডির অভিযোগ, ওই সম্পত্তি কিনতে বেআইনি আর্থিক লেনদেন করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী। তদন্তকারীরা আরও দাবি করেছেন, লন্ডনে রবার্টের আরও কয়েকটি সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন তাঁরা। তাঁর মধ্যে ৪ ও ৫ লক্ষ পাউন্ডের দু’টি বাড়ি, ছ’টি ফ্ল্যাট এবং আরও কিছু সম্পত্তি রয়েছে। এই মামলাতেই গ্রেপ্তারি এড়াতে আদালতে অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেন রবার্ট। আর্জিতে তিনি দাবি করেন, এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন তিনি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই অনৈতিক এবং বেআইনি কাজে আইনেরই রক্ষাকারী একটি সংস্থা যুক্ত রয়েছে।
অন্যদিকে, ফেসবুকে পোস্টেও রবার্ট সরাসরি ইডির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি অভিযোগ করেন, ইডি তাকে ‘লাগাতার হেনস্তা’ করে চলেছে। রবার্টে এই পোস্টের একদিন আগেই ইডি বিকানির জমি কেলেঙ্কারি মামলায় ওয়াধেরার সঙ্গে যুক্ত একটি সংস্থার ৪ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল। পোস্টে রবার্ট লেখেন, ‘আমার লুকনোর মতো কিছু নেই। আমি আইনের ঊর্ধ্বেও নই। প্রায় ৬ দিন ধরে আমাকে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা জেরা করা হচ্ছে। মাত্র ৪০ মিনিটের লাঞ্চ-ব্রেক পাই। শৌচাগারে গেলেও আমাকে এসকর্ট করে নিয়ে যাওয়া হয়।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘বিচারাধীন একটি মামলায় আমার কর্মক্ষেত্র, অফিস বাজেয়াপ্ত করাটা শক্তির অপব্যবহার ছাড়া আর কিছুই নয়।’