যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
এদিনও মমতা তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। শুধু হলদিয়া নয়, এগরার নির্বাচনী সভা থেকেও তাঁর কটাক্ষ, ‘আমি ওঁকে মোদিবাবু বলব না, গ্যারান্টিবাবু বলব। আপনারা বিনা পয়সায় গ্যাস পেয়েছেন কেউ? পাননি তো? তাহলে মোদিবাবু নো গ্যারান্টি। গ্যারান্টিবাবু ফোর-টুয়েন্টি। ওরা কি দু’কোটি ছেলেমেয়ের চাকরি দিয়েছে? বরং ওরা এখন চাকরিখেকো ভাজপা।’ বিজেপিকে ‘চোরদের ওয়াশিং মেশিন’ বলেও ব্যঙ্গ করেন তৃণমূলনেত্রী। স্লোগান দেন, ‘মোদি যাক, দেশ থাক, মোদি যাক, শান্তি থাক।’ এসএসসি নিয়োগ বাতিল মামলার প্রসঙ্গে মমতা এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন। বলেন, ‘অন্যের ঘর ভাঙলে নিজের ঘরও ভাঙবে। মেদিনীপুরে চাকরিহারার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। চাকরিখেকো বাঘেরা আপনাদের জেলায় আছে।’ নন্দীগ্রামে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোট প্রসঙ্গেও তাঁর সাফ কথা, ‘আমি কোর্টে কেস করেছি। ওটা কিন্তু নন্দীগ্রামের রায় নয়।’ সিপিএমের সঙ্গে বোঝাপড়া করে ‘গদ্দার’রা নন্দীগ্রামে সেদিন গণহত্যা করেছিল বলেও হলদিয়ায় তোপ দেগেছেন তিনি।
সিপিএম-কংগ্রেসকেও এদিন রেয়াত করেননি তৃণমূল সুপ্রিমো। সাফ জানিয়েছেন, বাংলায় সিপিএম ও কংগ্রেস পুরোপুরি বিজেপির দালাল। ওরা ভোট কাটাকুটির খেলায় নেমেছে। বিজেপির টাকায় ভোটে দাঁড়িয়ে ওরা তৃণমূলকে হারাতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন মমতা। সিপিএম ও কংগ্রেসকে একটি ভোটও না দেওয়ার আবেদন জানান।
এগরার সভায় মমতা অবশ্য জোর দেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, সবুজসাথী সাইকেল, কৃষক ভাতা, বিনা পয়সায় রেশন, রূপশ্রীর মতো রাজ্যের প্রকল্পের উপর। তিনি বলেন, ‘সব আমরা করে দিয়েছি। এখানে বিজেপির এমপি তো কিছুই করেননি। আমাদের ভোট দিলে মানুষ বাঁচে। আর বিজেপিকে ভোট দিলে মানুষ কাঁদে!’ আগামী এক বছরের মধ্যে সবার ঘরে পানীয় জল পৌঁছে যাবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন নেত্রী। তাঁর আর্জি, ‘আমরা না থাকলে আপনাদের সমস্ত কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। তাই আমাদের ভোট দিন।’ পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের জন্য তাঁর আশ্বাস, এটা উত্তরপ্রদেশ নয়, তাই ভয় পাবেন না!