যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
প্রত্যয়ী অভিষেক বলেন, আমি তিন মাস ধরে রাস্তায় ঘুরছি। বিজেপির বেলুন ফুটো হয়ে গিয়েছে। জুমলা ফুটো হয়ে গিয়েছে। এদের বিদায় আসন্ন। আমি মানুষের চোখের মুখের ভাষা বুঝি। যা উৎসাহ উদ্দীপনা দেখছি, যে স্বতঃস্ফূর্ততা সর্বত্র লক্ষ্য করেছি, যেটুকু খবর পাচ্ছি এদের বিদায় আসন্ন। কেউ আটকাতে পারবে না। আপনারা যেদিন ভোট দিতে যাবেন, সেদিন থেকে নরেন্দ্র মোদির সরকারের মেয়াদ থাকবে ১০ দিন। ৪ তারিখ ভারতবর্ষের মাটিতে পরিবর্তন হচ্ছে। সেই নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে যাতে নির্ণায়ক ভূমিকা নেয় বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর ও বাংলার মা ভাই বোনেরা, সেটা আপনাদের সুনিশ্চিত করতে হবে। যারা আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে, তাদের উৎখাত করার সময় আগামী ২৫মে।
নতুন সরকার গঠনের পরই বাংলা বঞ্চনা থেকে মুক্তি পাবে বলে এদিন অভিষেক জানান। নতুন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিও শোনা গিয়েছে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের গলায়। তিনি বলেন, ৪ তারিখ নতুন সরকার ঘোষণা হবে। তার তিন মাসের মধ্যে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকা আমরা বাংলার মানুষের জন্য নিয়ে আসব। সেই টাকা আগামী দিন বাংলার সার্বিক উন্নয়নে, মানুষের উন্নয়নে লাগাব। আরও বেশি করে মানুষকে যাতে পরিষেবা দিতে পারি, সেটা সুনিশ্চিত করব। এখন এত আর্থিক বোঝা, আর্থিক বাধা-বিপত্তি, প্রতিকূলতা থাকার পরেও আমাদের সরকার ২৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করে বাংলার মা-বোনেদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিচ্ছে। যদি বকেয়া টাকা আসে তাহলে ৫০ হাজার কোটি টাকার রাস্তা, হাসপাতাল, সেতু তৈরি করা যাবে।
অভিষেক আরও বলেন, যারা আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে, এটা তাদের বিতাড়িত করার লড়াই। মোদিজি যেমন রিমোট কন্ট্রোলের বোতাম টিপে আপনাদের টাকা বন্ধ করেছে, আপনি ইভিএমের বোতাম টিপে মোদিজির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অন্ধকার করে দেবেন। ৪ তারিখ ভোট বাক্স যখন খুলবে পদ্ম ফুলের নেতারা যেন চোখে সর্ষে ফুল দেখে। তৃণমূল প্রার্থী জিতলেই আবাসের আবেদনকারীরা প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে যাবেন। আমরা কারও দয়ায় বেঁচে নেই। যারা বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করছে, ভারতের সংবিধান যারা বদলাতে চায়, তাদের যোগ্য জবাব দিতে হবে। সংবিধান যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, সংবিধানে যাতে কেউ আঁচড় কাটতে না পারে, সেইজন্য ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তৃণমূলকে জেতাতে হবে। সুজাতা মণ্ডলের সমর্থনে ইভিএমে ৪ নম্বর বোতাম টেপা মানে পাঁচ বছরের বঞ্চনার জবাব দেওয়া। তারসঙ্গে বিজেপির দু’নম্বরি নেতাদের গায়ে রাজনৈতিকভাবে চারটি করে কষিয়ে চড় মারার সমান।