নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
ফিরহাদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিজেপির স্টার ক্যাম্পেনার। তাঁর ছবি এভাবে থাকতে পারে না। এছাড়াও করোনা ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেটে প্রধানমন্ত্রীর ছবি রয়েছে। সেটাও নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে।’ তৃণমূলের অভিযোগের পরই সন্ধ্যায় কমিশনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মডেল কোড অব কন্ডাক্ট অনুযায়ী সমস্ত সরকারি প্রকল্প থেকে নরেন্দ্র মোদির ছবি সরিয়ে দিতে হবে। পেট্রল পাম্প থেকেও সরাতে হবে ছবি। এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। আর করোনা ভ্যাকসিনের শংসাপত্রের বিষয়টি জানানো হয়েছে দিল্লিতে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রথম দফার ভোটের জন্য ইতিমধ্যেই ন’জন ব্যয় সংক্রান্ত পর্যবেক্ষক (এক্সপেন্ডিচার অবজার্ভার) চলে এসেছেন রাজ্যে। আর আগামী ৬ মার্চ আসছেন অজয় নায়েক, বিবেক দুবে সহ চার বিশেষ পর্যবেক্ষক। তাঁদের জন্য তিনটি হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দার্জিলিংয়ে তৈরি হচ্ছে হেলিপ্যাড। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন সাধারণ পর্যবেক্ষকরা পা রাখবেন বাংলায়। এবার জেলায় জেলায় পুলিস পর্যবেক্ষকের সংখ্যা বাড়বে বলেই জানা গিয়েছে।
বুধবার দিল্লি থেকে পাঁচ রাজ্যের পর্যবেক্ষকদের জন্য আগামী নির্বাচনের গাইডলাইন ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। ১ হাজার ৬০০ পর্যবেক্ষকের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের কর্তারা জানিয়েছেন, আপনারা কমিশনের চোখ কান। কোনও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ যেন না ওঠে। নিরপেক্ষভাবে কমিশনের গাইডলাইন মেনে কাজ করতে হবে। জেলাশাসক, পুলিস সুপারের সঙ্গে পর্যবেক্ষকদের বৈঠকের পর মোতায়েন হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। টাকা খরচের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।
কোনওরকম গন্ডগোল হলেই যাতে সঙ্গে সঙ্গে সেক্টর অফিসারদের পাঠানো যায়, সে জন্য এবার গাড়িতে থাকছে জিপিএস। এর আগে ইভিএম মুভমেন্টের গাড়িতে জিপিএস সিস্টেম লাগানো হতো। এছাড়াও নির্বাচনের পাঁচদিন আগে বুথ লেভেল অফিসাররা বাড়ি বাড়ি ‘ভোটার ইনফরমেশন স্লিপ’ পৌঁছে দেবেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত সিইও সঞ্জয় বসু। তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে। পাওয়া গিয়েছে ২৮ হাজার ১৩১ লিটার মদ এবং ৩০ লক্ষ টাকার মাদকও। অভিযোগ জমা পড়েছে ১ হাজার ১৬৬টি। যার মধ্যে ৪৫০টি অভিযোগের সারবত্তা রয়েছে এবং নিষ্পত্তি করা হয়েছে।’
এদিকে, ভোটের মুখে রাজ্যে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার সম্ভাবনা বাড়ছে। শুধু প্রথম দফার ভোটের জন্যই ৬৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে পারে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। ৬ এপ্রিলের পরে বাংলা ছাড়া অন্য কোনও রাজ্যে ভোট নেই। কাজেই তখন সেই সব রাজ্য থেকে আরও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী পশ্চিমবঙ্গে ঢুকবে বলে জানা যাচ্ছে। প্রতি বিধানসভা কেন্দ্রে তিন কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর।