উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
মাস কয়েক আগেই ২৪ ক্যারেট সোনার ১০ গ্রামের দর পৌঁছেছিল ৫৭ হাজার টাকায়। পরে অবশ্য তা নেমে আসে। কিন্তু আমেরিকার নির্বাচনকে ঘিরে নানা জল্পনায় গত সপ্তাহ থেকে একটু একটু করে চড়তে থাকে দর। স্বর্ণশিল্প মহলের অনুমান, দাম আপাতত ঊর্ধ্বমুখীই থাকবে। নতুন করে কয়েকটি দেশ লকডাউনের পথে হাঁটায়, ‘সেফ হেভেন’ হিসেবে সোনায় বিনিয়োগ বাড়বে। তার প্রভাব পড়বে দামে। ফলে এখন হলুদ ধাতু কিনলে দীর্ঘমেয়াদে লাভবান হবেন ক্রেতারা। সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের সিইও শুভঙ্কর সেন বলেন, সোনার প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বাড়ছে, সেটা আমরা বুঝতে পারছি। বাজার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। সোনার দাম বৃদ্ধিও মেনে নিয়েছেন ক্রেতারা। সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে। জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাবে। সোনাও তার বাইরে নয়। আগে যেখানে সোনার দর অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল, তা খানিকটা কমেছে। ক্রেতারা বুঝতে পারছেন, সোনা কিনলে আদতে তাঁরা লাভবানই হবেন।
অঞ্জলি জুয়েলার্সের কর্ণধার অনর্ঘ চৌধুরীর কথায়, আমি সবসময়ই ক্রেতাদের বলি, সোনার নেই কোনও বিকল্প। তাই সোনা কিনুন অল্প অল্প। আসলে এটি গত এক বছরে যে রিটার্ন দিয়েছে, তা আর কেউ দিতে পারেনি। সাধারণ মানুষ তা বুঝতে পারছেন। আলু যেখানে ৪০ টাকা, সেখানে সোনার দামও বাড়বে—এটাই স্বাভাবিক। তবে ট্রেন না চলায় অনেকেই দোকানে আসার বিষয়ে এতদিন দ্বিধায় ছিলেন। লোকাল চালুর ঘোষণার পর আমাদের আশা বাজার খুব তাড়াতাড়ি ঘুরে দাঁড়াবে। ধনতেরসের পুণ্যলগ্নে সাধারণ মানুষ আবারও ঝুঁকবেন সোনা কেনায়।
মানুষের হাতে টাকা না থাকার কারণেই এবছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরে সোনার বিক্রিবাটা গত বছরের তুলনায় একেবারেই ভালো যায়নি। তবু হাল ছাড়তে নারাজ ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল। ম্যানেজিং ডিরেক্টর সোমসুন্দরম পিআরের কথায়, বছর শেষের এই সময়টায়, অর্থাৎ উৎসবের মরশুমে সোনার বিক্রি ভালো হয়। এর অন্যতম কারণ দীপাবলি ও ধনতেরস তো বটেই। পাশাপাশি বিয়ের মরশুম এবং ভালো বর্ষার দরুণ মানুষের হাতে টাকা এসেছে। তবে এবার মানুষ উৎসবে কম মাতবে। বিয়ের অনুষ্ঠানও তেমন জাঁকজমকপূর্ণ নয়। এই অবস্থায় সঞ্চয়ের একটা অংশ সোনায় খরচ হবে। তাই বিক্রিবাটা বিরাট ভালো না হলেও চাহিদা কিছুটা জিইয়ে থাকবে বলেই মনে হচ্ছে।