উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
আগামী দিনে পেঁয়াজের দাম না বেড়ে বরং কিছুটা কমতে পারে বলে বাজারের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। পেঁয়াজের জোগান আগের তুলনায় বেড়েছে। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। সেই পেঁয়াজ রাজ্যের বাজারে আসছে। নভেম্বরের শেষের দিকে মহারাষ্ট্রে নতুন পেঁয়াজ উঠবে। সেখানে বৃষ্টিজনিত কারণে ক্ষয়ক্ষতি না-হলে জোগান আরও বাড়বে। ফলে, দাম আরও কমতে পারে। পুজোর আগে অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটকে ব্যাপক বৃষ্টিতে নতুন পেঁয়াজের প্রচুর ক্ষতি হয়। গোটা দেশে এর প্রভাবে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। বিদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি কেন্দ্রীয় সরকার সেপ্টেম্বর মাসের গোড়াতে বন্ধ করে দিলেও মূল্য বৃদ্ধি আটকানো যায়নি। তবে, গত বছরের মতো পরিস্থিতি এবার হয়নি। গতবার গোটা দেশে এই সময় পেঁয়াজের দাম একশো টাকা ছাড়িয়েছিল। গতবারেরর মতো এবারও বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা নাফেড এবার আগে থেকে প্রায় এক লক্ষ টন পেঁয়াজ কিনে মজুত করে রেখেছিল সঙ্কটের সময় বাজারে সরবরাহ করার জন্য। কয়েকটি রাজ্যে বেশি পরিমাণে সরবরাহ হলে পশ্চিমবঙ্গে নাফেডের পেঁয়াজ খুব কম এসেছে বলে জানা গিয়েছে। সুফল বাংলার জন্য খোলাবাজার থেকে পেঁয়াজ কিনেছে কৃষি বিপণন দপ্তর। তবে এবার বাজার দরের থেকে খুব কমে নাফেডও পেঁয়াজ সরবরাহ করেনি। যদিও ১২ টাকার আশপাশে পেঁয়াজ কিনে সংস্থা মজুত করেছিল।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে রবি মরশুমের পেঁয়াজ উঠবে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস নাগাদ। রবি মরশুমে পেঁয়াজের চাষ বেশি পরিমাণে হয়। তখন পেঁয়াজের দাম অনেকটা কমে যাবে। এবছর খুচরো বাজারে ওই সময় পেঁয়াজের দাম ২০ টাকার আশপাশেই ছিল।
রাজ্য সরকার অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনে পাইকারি ও খুচরো ব্যবসায়ীদের পেঁয়াজ মজুত করার সর্বোচ্চ সীমা যথাক্রমে ২৫ ও ২ টনে বেঁধে দিয়েছে। নির্ধারিত পরিমাণের থেকে বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ মজুত করা হচ্ছে কি না সেব্যাপারে নজরদারি ও অভিযান চালাতে মুখ্যসচিব নির্দেশিকা জারি করেছেন। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতায় প্রায় ১৪টি ও গোটা রাজ্যে প্রায় চারশো বাজারে পেঁয়াজের পাইকারি কারবার চলে। ওই বাজারগুলিতে নজরদারি করার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে পুলিস-প্রশাসন।