ঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়াই শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
এদিনের অনুষ্ঠানে শুভেন্দুবাবু ছাড়াও জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবব্রত দাস, জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান মানস দাস, জেলা পরিষদের চার কর্মাধ্যক্ষ আনন্দময় অধিকারী, সিরাজ খান, মৃণালকান্তি দাস, সুমিত্রা পাত্র, জেলা পরিষদের মেন্টর অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়, সমবায় সেলের সভাপতি গোপাল মাইতি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এদিন শুভেন্দুবাবু প্রথমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। নেতাজির পূর্ণাবয়ব মূর্তিতে মাল্যদানও করেন।
শুভেন্দুবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নেতাজির পরিবারকে সম্মান জানিয়েছেন। কখনও কৃষ্ণা বসু, আবার কখনও সুগত বসুকে সংসদে পাঠিয়েছেন। দিল্লির অনেক নেতানেত্রী এবং ক্ষমতাশালী ব্যক্তির রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ক্ষমতায় আসার পর তিনি নেতাজির অপ্রকাশিত ফাইলগুলি সাহস করে প্রকাশ করেছেন। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বাড়ি অধিগ্রহণ করেছেন। এটা আমাদের ঐতিহ্য এবং আমাদের গর্ব। সেজন্য আমি মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে নেতাজির দেশপ্রেম, তাঁর আত্মত্যাগ, দেশ মাতৃকার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভক্তি জাগ্রত করার সময় এসেছে। তাই নেতাজির ১২৪তম জন্মজয়ন্তীতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সমবায় সেল যে শ্রদ্ধার ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে, তাতে আমাদের দেশপ্রেম আরও বেশি করে জাগ্রত হবে। আগামী ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবস। সেদিনও নিমতৌড়ি স্মৃতি সৌধ চত্বরে একই কর্মসূচি আছে।
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, আপনারা শুনলে খুশি হবেন, সুশীল ধাড়া প্রতিষ্ঠিত একাধিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পরবর্তীকালে আমাকে দেওয়া হয়েছে। যাতে সুশীলবাবুর স্বপ্নকে আমি অক্ষয় অমর করে রাখতে পারি। সুশীলবাবু জীবিত অবস্থায় যে দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন, মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র হিসেবে আমি তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব। আপনাদের সকলের সাহায্য, সহযোগিতা, সমর্থন, ভালোবাসা এবং আশীর্বাদকে পাথেয় করেই। আগামী ২৬ জানুয়ারি সর্বত্র জাতীয় পতাকা তুলে সাধারণতন্ত্র দিবস পালন করবেন। তারপর শ্রীপঞ্চমীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সব জায়গায় বাগদেবীর আরাধনা হবে। সবাই মিলে একসঙ্গে সরস্বতী পুজোয় অংশগ্রহণ করবেন। আমরা যারা হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করি, পুষ্পাঞ্জলি দেব এবং আরতিতে অংশ নেব। আমাদের ধর্মের বাইরে যাঁরা আছেন, উৎসবে, আনন্দে একসঙ্গে তাঁদের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে ঐতিহ্য পালিত হবে।
জেলা যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরের উদ্যোগে নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষে এদিন সরকারিভাবে জেলার মূল অনুষ্ঠান জেলা সুভাষ উৎসব অনুষ্ঠিত হয় তাম্রলিপ্ত পুরসভার মহেন্দ্র স্মৃতি সদন হলে। এই উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ রাজ ময়দান থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। সেই শোভাযাত্রা শহরের মালিজঙ্গল পাড়া, হ্যামিল্টন হাইস্কুল এবং বর্গভীমা মন্দির প্রাঙ্গণ হয়ে পুরসভায় পৌঁছয়। তারপর পুরসভার হলে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে জেলাশাসক পার্থ ঘোষ, অতিরিক্ত জেলাশাসক সরিৎ ভট্টাচার্য, জেলা যুব আধিকারিক শ্যামলকুমার পাল, পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ সেন সহ কয়েকজন কাউন্সিলার উপস্থিত ছিলেন।
তমলুক হাসপাতাল মোড়ে এদিন বাম দলগুলির উদ্যোগে দেশপ্রেম দিবস পালন করা হয়। এছাড়াও জেলার প্রতিটি ব্লক ও পুরসভায় সুভাষ উৎসব-’২০ পালন করা হয়। বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, অফিস-কাছারি ও প্রতিষ্ঠানে নেতাজির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে নানারকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কোলাঘাটে মহিষগোট মিলন মঞ্জিল ক্লাবের উদ্যোগে নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষে স্বাস্থ্য সচেতনতা শিবির ও রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। ৩৬ জন সেখানে রক্তদান করেন। তমলুক শহরের রত্নালিতে মদ-বিরোধী নাগরিক কমিটির উদ্যোগে নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালন করা হয়।