পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
এবার গত পাঁচ বছরের মধ্যে উষ্ণতম বড়দিনের সাক্ষী থাকল শহর। চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া, সায়েন্স সিটি, ইকো পার্ক সহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় বড়দিনের পিকনিক কেটেছে গলদঘর্ম হয়ে। আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ২৪ থেকে ২৫ ডিগ্রির মধ্যে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও ‘উষ্ণ’। ১৭ থেকে ১৮ ডিগ্রি। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে হয়েছে ১৯.২ ডিগ্রি। যা স্বাভাবিকের থেকে প্রায় চার ডিগ্রি বেশি।
ফলে সকাল থেকেই ঘেমে স্নান। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় জ্যাকেট, সোয়েটার ব্যাগে ঢুকিয়ে নিতে হয়েছে। রাতে হয়ত প্রয়োজন পড়তে পারে। চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়াতে হাফ হাতা জামা সবার গায়ে। বিহার থেকে পরিবার নিয়ে এ শহরে আত্মীয়ের বাড়ি এসেছিলেন সিদ্ধেশ্বর যাদব। এদিন চিড়িয়াখানায় এসেছিলেন। তাঁদের বক্তব্য, ‘ঠান্ডা থাকবে ভেবে ঘুরতে এলাম। এ গর্মিতে তো বাচ্চারা খুব কষ্ট পাচ্ছে স্যার। খেলতে খেলতে ঘামছে।’ এ আক্ষেপ কাটল না সন্ধ্যাতেও। দুপুর গড়িয়ে রাত নামল। কিন্তু হিমেল বাতাস বইল না।
ফলে ঠান্ডার খোঁজে গরমকালের মতো ভিড় শপিং মলে। সাউথ সিটি, লেক মল, কোয়েস্ট মলে তিল ধারণের জায়গা নেই। মল কর্তৃপক্ষের দাবি, বড়দিনে ভিড় থাকে। এবার ভিড় পরের দিনও। দক্ষিণ কলকাতার একটি মলে খেতে এসেছিলেন সন্দীপ সেন। বললেন, ‘যা গরম দেখছি, শপিং মল অনেক আরামদায়ক। বর্ষশুরুর আনন্দও বোধহয় এখানেই করতে হবে।’ এদিন অনেকেরই আশঙ্কা, বর্ষশেষ কিংবা পয়লা জানুয়ারিতেও উষ্ণই থাকবে আবহাওয়া। শীতের যা হালচাল, হাঁসফাঁস কপালে নাচছে।