পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
বিষয়টি এতদিন গোপন ছিল। সম্প্রতি তথ্য জানার অধিকার আইনে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। আর তারপরই শুরু হয় তীব্র বিতর্ক। পুরসভা ‘ঠুঁটো’ বলে অভিযোগ উঠছে। বিরোধী দলগুলি তৃণমূলকে প্রবল আক্রমণ শুরু করেছে। কিন্তু তাতে হোলদোল নেই না পুরসভার, না দেবাশিসবাবুর।
দমদম রোডের উপর দাগা কলোনি লাগোয়া এই অনুষ্ঠান বাড়িটির নাম ‘নোলক’। জানা গিয়েছে, নামকরণ করেছিলেন রাজ্যের এক মন্ত্রী। চারতলা বাড়িটির সামনের অংশ আকারে অপেক্ষাকৃত ছোট। তবে পিছনের অংশে বিরাট আকারের আধুনিক বিল্ডিং। ২০১৯-’২০ অর্থবর্ষে চারতলা বাড়িটি তৈরি হয় পুরসভার অনুমোদন ছাড়াই। কিছু দিন আগে এক ব্যক্তি তথ্য জানার অধিকার আইনে নোলক সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। উত্তরে পুরসভা জানায়, ‘বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদন করা হয়নি। যেহেতু এই বিল্ডিং নিয়ে কোনও অভিযোগ হয়নি, তাই কোনও পরিদর্শন বা তদন্তের প্রশ্ন আসছে না।’ এরপরই শুরু হয় প্রবল বিতর্ক। বাড়ি তৈরির সময় দেবাশিসবাবু পুরসভার জঞ্জাল বিভাগের সিআইসি পদে ছিলেন। পরে প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যও হন। অনেকের অভিযোগ, ‘পদে থাকার কারণে প্রভাব খাটিয়ে অভিযোগ হওয়া আটকেছেন। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার দেবাশিসবাবুর মতো শহরের অন্যান্য বাসিন্দারা যদি এমন বেআইনি বহুতল তৈরি শুরু করে, পুরসভা চোখ বন্ধ করে বসে থাকবে তো?’ সিপিএমের প্রাক্তন কাউন্সিলার পলাশ দাস বলেন, ‘দক্ষিণ দমদমে পুরসভার বিল্ডিং প্ল্যান ছাড়া এমন বহু বহুতল তৈরি হয়েছে। শহর বেআইনি নির্মাণের জঙ্গল। কাউন্সিলাররা নিজেরাই প্রোমোটার। কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির মৃগয়াক্ষেত্র বানিয়ে সবাই লুটপাট চালাচ্ছে। ওই কাউন্সিলারের বাড়িটিও তো পশ্চিমবঙ্গের একটি দর্শনীয় স্থান।’
আর দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিল্ডিং প্ল্যানের জন্য সমস্ত নথি পুরসভায় জমা দিলেও দীর্ঘদিন আমার আবেদনের উত্তর দেওয়া হয়নি। কয়েক মাস পর দ্বিতীয়বার চিঠি দিয়ে কাজ শুরু করব বলে জানিয়েছিলাম। বাড়ি তৈরির সময় পুরসভা কোনও নোটিস বা স্টপ অর্ডার করেনি। এরপর পুরসভার ফিজ কেটে জলের লাইন ও ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছি। আসলে দমদম বিধানসভার মধ্যে একমাত্র আমার ওয়ার্ডে প্রতিবার তৃণমূল বেশি ভোটে জেতার রেকর্ড করে। তাই বিরোধী দলের লোকেদের দিয়ে এই ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। আমার কাছে সমস্ত আইনি কাগজপত্র রয়েছে। প্রয়োজনে তা পেশ করব।’ বিষয়টি নিয়ে প্রবল শোরগোল শুরু হওয়ার পর দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান কস্তুরী চৌধুরী বলেন, ‘গত বোর্ডের আমলে কি কারণে বিল্ডিং প্ল্যান দেওয়া হয়নি? প্ল্যান ছাড়া কিভাবে বাড়ি তৈরি হয়েছে? বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নেব।’