হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, প্রসেন মাদকের নেশায় আসক্ত ছিলেন। নেশার টাকা জোগাড় করতে পোলেনাইট এলাকায় আগেও কয়েকবার ছোটখাটো চুরির ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তাঁর। গত বুধবার হর্ষিতের একটি মোবাইল ফোন খোয়া যায়। তখন থেকে প্রসেনকে এলাকায় দেখা যাচ্ছিল না। শনিবার ভোররাতে বাড়ির পাশে তাঁকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে হর্ষিত ও তার বাংলাদেশি বন্ধু। এক-দু’কথার পর তারা যুবককে এলোপাথাড়ি মারতে শুরু করে। তাকে একটি ভেড়ির পাশে নিয়ে যাওয়া হয় মারতে মারতে। হর্ষিত ও শ্রীদামকে সঙ্গ দেয় তপনও। ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় জ্ঞান হারান প্রসেন। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে তপনই। বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রে খবর, দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
শুক্রবার মুচিপাড়া থানা এলাকার নির্মলচন্দ্র স্ট্রিটের উদয়ন হস্টেলে মোবাইল চোর সন্দেহে ইরশাদ আলম নামে এক টিভি মেকানিককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনায় হস্টেলের ১৪ জন আবাসিককে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিসের হোমিসাইড শাখা। দুধকুমার মণ্ডল, শঙ্কর বর্মন, ঋতম হালদার, প্ৰীয়ম মণ্ডল, শুভঙ্কর মান্ডি, রানা হেমব্রম, রাজেশ কর্মকার, কার্তিক মণ্ডল, প্রদীপ দাস, মনোজ সরকার, হিমাংশু মান্ডি, সুবীর টুডু, প্রবিত্র মুর্মু ও উমুল হাঁসদাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন তাদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হলে ৪ জুলাই পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এদের মধ্যে দুধকুমার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও শঙ্কর প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। ধৃতদের মধ্যে কয়েকজনের জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে পরীক্ষা রয়েছে। আদালতে সরকারি আইনজীবী অরূপ চক্রবর্তীর দাবি, ‘সব অভিযুক্তই মেধাবী ছাত্র। তাদের প্রতিভাকে দেশ গঠনের কাজে লাগানো উচিত ছিল। তার বদলে স্রেফ সন্দেহের বশে একজনকে পিটিয়ে মারা হল। ঘটনার তদন্ত চলছে।’