জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
সব্জির দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে সরকারি বিবৃতিতে গরমের তীব্রতা ও তাপপ্রবাহকে মূলত দায়ী করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের খাদ্য সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানান, গ্রামীণ হাটগুলি থেকে যে রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে, তাতে দাম বৃদ্ধির জন্য অতিরিক্ত গরম ও বৃষ্টি না হওয়াকে দায়ী করা হচ্ছে। একটু বৃষ্টি হলেই সব্জির দাম বাড়বে। তবে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি সর্বভারতীয় পর্যায়ে দাম বাড়ার কারণে হচ্ছে। এখন কলকাতা সহ বিভিন্ন শহরে পেঁয়াজের সরবরাহ মূলত ভিন রাজ্য বিশেষ করে মহারাষ্ট্র থেকে হয়। রাজ্যে উৎপাদিত পেঁয়াজ এখনও যা সংরক্ষিত আছে তার বেশিরভাগই বিক্রি হচ্ছে গ্রামীণ এলাকায়। মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আলুর দাম বৃদ্ধির বিষয়টি উদ্বেগজনক। এ বিষয়ে সরকারি হস্তক্ষেপের প্রয়োজন আছে। হিমঘরে কেজি প্রতি ১৬ থেকে ১৭ টাকা দামে কেনা জ্যোতি আলু সংরক্ষণ করা হয়। তা এখন খুচরো বাজারে ৩২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আলুর দাম এতটা বেশি হওয়ার কথা নয়।
এর পাশাপাশি পাইকারি বাজারে সব্জির দামের তুলনায় খুচরো বাজারে দাম অন্তত ৫০ শতাংশ বেশি বলেও কমলবাবু স্বীকার করেছেন। পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরো বাজারে দাম এতটা বেশি হওয়া উচিত নয়। গ্রামের পাইকারি হাটে চাষিদের কাছ থেকে ব্যবসায়ীরা যে দামে সব্জি কিনছেন কলকাতার পাইকারি বাজারে তার দাম কেজিতে ১০ টাকার মতো বাড়ছে। এর মধ্যে পরিবহণ খরচ আছে। কিন্তু খুচরো বাজারে বিক্রির সময় সব্জির দাম অনেকটা বেড়ে যাচ্ছে। যেমন কেজি প্রতি বেগুনের দাম ৬০ থেকে ৮০ টাকা, টোমাটো ৬০-৬৫, পটল ৩০-৪০, ঢেঁড়শ ৩৫-৪৫, আলু ২৫-২৭, পেঁয়াজ ৩২-৩৭, করলা ৭০-৮০ টাকায় বুধবারও বিক্রি হয়েছে। সুফল বাংলার স্টলের জন্য সব্জি উৎপাদকদের কাছ থেকে সরাসরি কেনা হয়। তার জন্য অনেকটা কম দামে বিক্রি সম্ভব।