জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে ডোমজুড় থানা এলাকার পাড়ুইপাড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দা অলোকা পাড়ুইয়ের দাবি, প্রতিদিনের মতো বুধবার ভোরে বাড়ির পাশেই ফুল তুলছিলেন তিনি। সেই সময়ে বাইকে করে দুই অচেনা যুবক এসে তাঁর কাছে ওষুধের দোকানের খোঁজ করে। তিনি ওষুধের দোকানের ঠিকানা বলতে না পারায় তারা আচমকা তাঁর দু’কান ধরে হ্যাঁচকা টান মেরে দুল ছিনতাই করে চম্পট দেয়। ততক্ষণে তাঁর দুই কান বেয়ে অঝোরে রক্ত ঝরতে থাকে। মহিলার চিৎকারে পাড়া-প্রতিবেশীরা এসে তাঁকে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার দুই কান মিলিয়ে ২০টি সেলাই পড়েছে। এরপর ডোমজুড় থানায় খবর দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে তার খানিক বাদে পাড়ুইপাড়ার কাছেই। সেখানে এক মহিলার গলা থেকে সোনার হার ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, সকালে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন তিনি। তাঁর কাছেও ওষুধের দোকানের খোঁজ করেছিল তারা। তৃতীয় ঘটনাটি ঘটেছে ভাণ্ডারদহ এলাকায়। সেখানে আরতি নস্কর নামে এক বৃদ্ধা ভোরবেলা হাঁটতে বেরলে তাঁর গলায় ভোজালি ঠেকিয়ে হাতের চুড়ি ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ। ওই বৃদ্ধার বক্তব্য, এক্ষেত্রেও বাইকে করে দুই দুষ্কৃতী এসে চুড়ি ছিনতাই করে নিয়ে গিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বাপি ঠাকুর বলেন, কার্যত একই এলাকায় একই দিনে তিন-তিনখানা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটল। অথচ পুলিস নিষ্ক্রিয়। তারা এখনও ডোমজুড়ে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার কিনারাই করতে পারল না। এলাকায় পুলিসের নজরদারি কতটা ঢিলেঢালা, তা ফের প্রমাণিত হল। এদিকে, পরপর ছিনতাইয়ের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ। এই ঘটনায় এদিন রাত পর্যন্ত পুলিস কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। -নিজস্ব চিত্র