সংবাদদাতা, বনগাঁ: সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোষের মুখে পড়েন পুরসভাগুলির প্রতিনিধি, আধিকারিকরা। জল, জঞ্জাল, ফুটপাত দখলের মতো যে বিষয়গুলিকে মুখ্যমন্ত্রী ইস্যু করেছিলেন, তেমন একাধিক কারণে বনগাঁ পুরসভার বাসিন্দারাও ক্ষুব্ধ। এর প্রভাব পড়েছে লোকসভা ভোটে। পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে একটিতেও জিততে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। শহরে রাস্তার ফুটপাতগুলি অনেক আগেই দখল হয়ে গিয়েছে। গজিয়ে উঠেছে দোকান। ফুটপাতজুড়ে পড়ে ইমারতি দ্রব্য। ফুটপাতে বেআইনি পার্কিং, অটো-টোটোর স্ট্যান্ড। বাধ্য হয়ে সাধারণ মানুষকে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হয়। এই কারণে মাঝেমধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা যশোর রোড বা ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক। সীমান্ত বাণিজ্যের কারণে এই রাস্তায় সবসময় যানজট লেগেই থাকে। রাস্তার দু’পাশে ফুটপাত থাকলেও তা দখল হয়ে গিয়েছে। ফুটপাতের উপরে গজিয়ে উঠেছে দোকান। ফুটপাতেই চলছে বিরিয়ানি রান্না। কোথাও আবার ফুটপাত জুড়ে বিক্রি হচ্ছে জামাকাপড়। বেআইনি পার্কিং ফুটপাতের নিত্যসঙ্গী।শহরের অপর এক গুরুত্বপুর্ণ রাস্তা বনগাঁ-চাকদহ সড়ক। সেই রাস্তারও দু’পাশে ফুটপাত জুড়ে ইমারতি দ্রব্য, বেআইনি অটো, বাইকের স্ট্যান্ড। বনগাঁ হাসপাতালের সামনে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রাস্তার উপর দু’পাশ জুড়ে রয়েছে অটো স্ট্যান্ড। উল্টো দিকে ফুটপাত ঘিরে চলছে খাবারের দোকান। এছাড়াও শহরে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে নার্সিংহোম, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শপিং মল। কিন্তু সেগুলির কোথাও নেই নিজস্ব পার্কিং জোন। ফুটপাতকেই পার্কিং হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এবিষয়েও পুর প্রশাসনের কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই বলেই অভিযোগ বাসিন্দাদের।
শহরের বাসিন্দা নিলয় মণ্ডল বলেন, ফুটপাত দিয়ে হাঁটার উপায় নেই। বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামতে হয়। সেখানেও দু’পাশ জুড়ে বাইক দাঁড় করানো থাকে। এবিষয়ে বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ বলেন, আগামী রবিবারের মধ্যে সমস্ত ব্যবসায়ীদের ফুটপাত ছেড়ে দিতে বলেছি। কেউ না সরলে আগামী সোমবার থেকে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিজস্ব চিত্র