আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
বাড়ির চারপাশে আবর্জনা, জল জমছে কি না দেখার জন্য তৈরি হয়েছিল সার্ভে টিম। এই টিম সুডার দেওয়া দৈনিক ভাতা পায়। পাশাপাশি পুরসভাও আলাদা করে ভাতা দেয়। টিমের কর্মদিবসের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। তারপরও ভুয়ো রিপোর্ট তৈরি করেছে টিম। এই অভিযোগ ওঠার পর পুরসভা দস্তুরমতো নড়েচড়ে বসেছে। এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে সার্ভে টিমকে।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে তৈরি সার্ভে টিমের সদস্যদের সুডা দৈনিক ১৭৫টাকা ভাতা দেয়। মাসে ১২দিন কাজ করার কথা। দক্ষিণ দমদম পুরসভা সুডার ওই ভাতার পাশাপাশি পৃথকভাবে টিমের সদস্যদের দৈনিক অতিরিক্ত ১০০ টাকা করে দেয়। পাশাপাশি মাসে ১২দিনের বদলে ২৬ দিন কাজের ব্যবস্থা করেছে। এই অতিরিক্ত ১৪দিনের ভাতার টাকা বহন করছে দক্ষিণ দমদম। এই টিমের সদস্যদের কী কাজ? বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোথাও জল জমে রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা। বাড়ির আশপাশে আবর্জনা জমলে সেই তথ্য সুপারভাইজারদের লিখিতভাবে জানাতে হয় তাঁদের। সুপারভাইজাররা সেই তথ্য পুরসভার সাফাই কর্মীদের কাছে পাঠান। তারা জমা জল সাফ করে। আবর্জনাও পরিষ্কার করে।
চলতি মাসে পুরসভার আধিকারিকদের নিয়ে ১০ টিম তৈরি করা হয়েছিল। তারা ৩৫টি ওয়ার্ডে একযোগে বাড়ি বাড়ি ভিজিট করছে। তাদের কাছেই ধরা পরে বাড়ি বসে রিপোর্ট বানানোর চাঞ্চল্যকর তথ্যটি। সুডার ওই টিম বেশিরভাগ ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে না। বাড়ির নীচ থেকে বাসিন্দাদের সঙ্গে স্রেফ কুশল বিনিময় করে ফিরে আসছে। কিছু জায়গায় সেটুকু কাজও করেনি। ঠান্ডাঘরে বসে তারা মনগড়া রিপোর্ট পাঠাচ্ছে। তার মধ্যে পাঁচ ও ছ’নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি ভিজিট না করেই রিপোর্ট তৈরি করেছে। পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের সিআইসি সঞ্জয় দাস বলেন, ‘ডেঙ্গু সার্ভে টিম বাড়ি বাড়ি ভিজিট করছেন না। প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়িতে না গিয়েই মনগড়া রিপোর্ট দিচ্ছেন। এই প্রবণতা ভয়ঙ্কর। বিপজ্জনকও। ডেঙ্গুপ্রবণ দক্ষিণ দমদমে এই গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। পুরসভায় আলোচনা করে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’