যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
প্রায় ১৫ বছর পর বৃহস্পতিবার বাড়ি বসেই ভোট দিলেন চুঁচুড়ার কপিডাঙার বাসিন্দা ১০১ বছরের প্রিয়বালা কুণ্ডু। বয়সের কারণে কয়েকটি ভোটে অংশ নিতে পারেননি। তাতেই ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটা গিয়েছিল। এবছর প্রশাসনের উদ্যোগে নাম উঠেছে। হুগলি জেলা নির্বাচন কমিশনের এক কর্তা বলেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হুগলিতে ১ হাজার ১৫১ জন বয়স্ক ও ৪২২ জন বিশেষভাবে সক্ষম মানুষের ভোট নেওয়া হয়েছে। শ্রীরামপুরে ৫৭৪ জন বয়স্ক ও ১৭৪ জন বিশেষভাবে সক্ষম মানুষের ভোট নেওয়ার কাজ হয়েছে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের নির্বাচনে হুগলি লোকসভায় ১১ হজার ২৭৩ জন ৮৫ বছরের বেশি বয়স্ক ভোটার আছেন। আর শতায়ু ভোটারের সংখ্যা ৬৫ জন। শ্রীরামপুর লোকসভা ৮৫ বছরের বেশি ভোটার ১৩ হাজার ৬৩ জন ও শতায়ু ভোটার ৭৬ জন। হুগলিতে ওই সংখ্যা ৯ হাজার ৯১৬ জন। শ্রীরামপুরে ৯ হাজার ২৬৫ জন বিশেষভাবে সক্ষম ভোটার আছেন।
অন্যদিকে, এদিন উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের আশা ভবন সেন্টারে এবং আমতা ২ নং ব্লকের পারবাকসি চিরনবীন হোমে কমিশনের তরফ থেকে ভোট নেওয়া হয়। সূত্রের খবর, এদিন আশা ভবন সেন্টারে তিনজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। আর চিরনবীন হোমের ১৩৩ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ভোটার ভোট দেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে ভোটগ্রহণ হয়। এদিন সকালেই কমিশনের লোকজন উলুবেড়িয়া আশা ভবন সেন্টারে পৌঁছে যান। তিন আবাসিক তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সেন্টারের হোম সুপারিন্টেন্ডেন্ট অরুণিমা জাসু জানান, এই তিনজন বিশেষভাবে সক্ষম হওয়ায় এর আগে ভোটগ্রহন কেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেও তাদের খুব কষ্ট হয়েছে। বিশেষভাবে সক্ষম এইসব ভোটাররা কিভাবে প্রার্থীদের ভোট দেয় এই প্রশ্নে অরুণিমা জানান, আমরা বিভিন্ন সময়ে এদের ভোটদানে উৎসাহ দিই। দলীয় প্রতীক চিহ্ন এদের কাছে বোধগম্য হয়।