যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
এই লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে যাদবপুর, টালিগঞ্জ, ভাঙড়, সোনারপুর উত্তর ও দক্ষিণ এবং বারুইপুর পূর্ব ও পশ্চিম বিধানসভা আসন। গত ১ জানুয়ারি যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে, সেই অনুযায়ী, ভাঙড় এবং বারুইপুর পূর্ব বাদে বাকি সব জায়গায় মহিলা ভোটারের সংখ্যা বেশি। শহর কিংবা গ্রাম— তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষকে দেখতে রাস্তার ধারে ঢল নামছে মহিলাদের। কমবেশি প্রায় সব কর্মসূচিতেই সায়নী নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে এলেও মহিলাদের উৎসাহে ভাটা পড়ছে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সায়নী ঘোষ মহিলা হওয়ায় তিনি সহজেই প্রমীলা বাহিনীর সঙ্গে মিশে যেতে পারছেন। এই সুবিধা সিপিএম বা বিজেপি প্রার্থী পাচ্ছেন না। তবে সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের প্রচারে তরুণ প্রজন্ম থেকে প্রবীণ ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ততা ভালোভাবেই টের পাওয়া যাচ্ছে। বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রচারে মহিলাদের উপস্থিতি কম, তেমনই তাঁকে দেখার জন্য গ্রামেগঞ্জে মহিলাদের মধ্যে হুড়োহুড়ি তেমন নেই।
মহিলাদের জন্য যে একাধিক প্রকল্প এনেছে রাজ্য সরকার, তার কতটা প্রভাব ভোটবাক্সে পড়বে, তা নিয়েই চর্চা চলছে। তবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার যে বড় ফ্যাক্টর হতে পারে, তা ঘুরিয়ে মানছেন বিরোধীরা। তৃণমূলের এই ‘সাফল্য’কে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানাতে খোদ সিপিএম প্রার্থী প্রচারে বেরিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ২০০০ টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে সিপিএম এবং বিজেপি নারী সুরক্ষা নিয়েই বেশি সরব হয়েছে। সন্দেশখালি ইস্যুকে সামনে এনে বিজেপি প্রার্থী ও তাঁর দলের নেতারা বিভিন্ন সভায় আক্রমণ করছেন শাসকদলকে। সিপিএমও মহিলাদের প্রতি নানা অপরাধের ফিরিস্তি তুলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে।
মহিলা ভোটারদের মুখে ঘুরে ফিরে উঠে আসছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথা। হাত খরচ বাবদ যে টাকা সরকার দিচ্ছে, তার প্রশংসা করছেন গ্রামের বহু উপভোক্তা। মহিলারা ঘর থেকে বেরিয়ে এসে সায়নীকে বলছেন, এক হাজার টাকা পেয়ে গিয়েছি, চিন্তা নেই। এটাই যেন শাসকদলকে বাড়তি অক্সিজেন জোগাচ্ছে।