সামাজিক কর্মে সম্মান লাভ। স্ত্রী’র শরীর-স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। দেরীতে অর্থপ্রাপ্তি। ... বিশদ
এসবের মধ্যে বনমালি সরকার স্ট্রিটের বিভিন্ন দোকানে গিয়ে দেখা গেল, শহরের নানা জায়গা থেকে অনেকে এসেছেন গণেশ মূর্তি কিনতে। কোনও মূর্তির দাম ৮০০, কোনওটা ১০০০ টাকা। আবার একটু বড় হলে ১৫০০ টাকাও চাইছেন শিল্পীরা। তবে বড় মূর্তি যে সব শিল্পীর ঘরে তৈরি হচ্ছে, সেগুলি যাবে প্যান্ডেলে। সেসবের দাম ২০ থেকে ৩০ হাজারের মধ্যে। মৃৎশিল্পীরা জানালেন, বড় মূর্তির সবই আগেই বায়না হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন পরেই সিদ্ধিদাতা পাড়ি দেবেন মণ্ডপে।
এদিন কথা হচ্ছিল মৃৎশিল্পী রাজা পালের সঙ্গে। তিনি বলেন, এবার দু’টি বড় মূর্তির সঙ্গে ৮‑১০টি মাঝারি ও ছোট মূর্তির বরাত পেয়েছি। ছোটগুলির কাজ প্রায় শেষ। কয়েকটি নিয়েও গিয়েছেন পুজোর উদ্যোক্তারা। শিল্পী সমর পাল বলেন, আগের দু’বছর অবস্থা খারাপ থাকায় তেমন বরাত আসেনি। এখন পরিস্থিতি বদলেছে। এ বছর বরাতও অনেকটা বেড়েছে। এই বছরে ছোট‑বড় মিলিয়ে মোট ১৮টি গণেশ মূর্তির বরাত পেয়েছি। তাঁর গোলায় গিয়ে দেখা গেল, জোরকদমে চলছে রংয়ের কাজ। শিল্পী কমল পালের ঘরে সারি দিয়ে দাঁড় করানো রয়েছে গণেশের কাঠামো। বিভিন্ন মাপের মূর্তি সেসব। মৃৎশিল্পীরা সেই সব কাঠামোয় রূপ দিতে ব্যস্ত। তিনি বলেন, এবার তাকিয়ায় ঠেস দিয়ে বসা বেশ কয়েকটি গণেশের বরাত পেয়েছি। বরাতের বাইরেও কিছু ছোট ছোট গণেশ মূর্তি তৈরি করেছি। অনেকেই শেষ সময়ে ছোট মূর্তি কিনতে আসেন। তাঁদের কথায় মাথায় রেখেই এগুলি তৈরি করা হয়েছে। দুর্গাপুজো শিয়রে থাকলেও এখন কুমোরটুলি কেবলই গণেশময়।