সামাজিক কর্মে সম্মান লাভ। স্ত্রী’র শরীর-স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। দেরীতে অর্থপ্রাপ্তি। ... বিশদ
এদিকে, ট্রেন থামতেই দেখা গেল, রেললাইনের উপর বসে পড়লেন সেই মহিলারা। কেউ ট্রেনের সামনে বেঁধে দিলেন কলাগাছ। কেউ পরালেন ফুলের বড় বড় মালা। পুরোহিত পুজো শুরু করলেন। মহিলাদের মুখে তখন উলুধ্বনি। কাঁসর-ঘণ্টা বাজতে শুরু করল। এদিন বারাসত-হাসনাবাদ শাখার কদম্বগাছি এলাকায় এমনই অভিনব কায়দায় বিশ্বকর্মার অকাল আরাধনা করা হল। মিনিট পনেরোর মধ্যে পুজো শেষ। চালক থেকে গার্ড ও যাত্রীদের বিলি করা হল প্রসাদ। তারপর নিজের ছন্দে ফের এগতে শুরু করল ট্রেন।
হঠাৎ করে এই আয়োজন নয়। জানা গিয়েছে, ১১ বছর আগে এভাবে পুজো শুরু করেছিলেন কড়েয়া-কদম্বগাছির হেমন্ত বসু কলোনির মহিলারা। তাঁদের বিশ্বাস, পুজো করায় দুর্ঘটনা কমেছে। তাই ফি-বছর এই নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা ট্রেন থামিয়ে পুজো করেন। অংশ নেন পুরুষরাও। ট্রেন থামিয়ে পুজো চললেও যাত্রীরা খুব একটা ক্ষুব্ধ হন না এক্ষেত্রে। নিত্যযাত্রীরা অবশ্য জানেনই যে কবে ট্রেন থামিয়ে পুজো হবে।