সামাজিক কর্মে সম্মান লাভ। স্ত্রী’র শরীর-স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। দেরীতে অর্থপ্রাপ্তি। ... বিশদ
বছর দেড়েক আগে পূর্ব বাসুদেবপুরে নদীবাঁধে ১৪০ মিটার ফাটল দেখা যায়। পাশাপাশি বেশ কয়েক মিটার বাঁধ নদীতে বিলীনও হয়ে যায়। ভাঙন রোধে সেচদপ্তর বালির বস্তা এবং ভাঙা ইট ফেলে বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করে। পাশাপাশি আরও একটি বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু সেই কাজের মধ্যেই ভাঙনের পুরনো অংশের শুরুর দিকে ১৫ এবং শেষের দিকে ১৫ মিটার করে মোট ৩০ মিটার বাঁধ ধসে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বৃহস্পতিবার রাতেই বাঁধে ফাটল দেখা দেয়। এরপরে শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ জোয়ারের পরেই বাঁধের ওই অংশ দু’টি ধসে যায়।
এদিকে নদী ভাঙনের খবর পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন সেচদপ্তরের আধিকারিকরা। ভাঙন এলাকায় ফের মাটি ও বালির বস্তা ফেলা শুরু হয়। নদীর দিকে ভাঙা ইটের টুকরোও ফেলা হয়। সেচদপ্তর সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন হুগলি নদী ড্রেজিং না হওয়ায় হাওড়ার দিকে নদীর গভীরতা বেশি হয়ে গিয়েছে। ফলে হাওড়ার দিক দিয়েই জাহাজ যাতায়াত করছে।
এতেই বাঁধের ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় চোরাস্রোতের কারণেও বাঁধের ক্ষতি হচ্ছে। তাদের মতে, ড্রেজিং করে নদীর গভীরতা বৃদ্ধি না করলে নদী বাঁধ রক্ষা করা মুশকিল। এদিকে নতুন করে নদীবাঁধ ভাঙনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাসুদেবপুর, গোপালপুর, রঘুনাথপুর, গঙ্গাধরপুর সহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রামে। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, ১৫ দিন পরেই নদীতে ষাঁড়াষাঁড়ি বান। তখন নদীতে জল ফুলেফেঁপে উঠবে।
বিপদের আশঙ্কা আরও বাড়বে বলে জানান গ্রামবাসীরা। অবিলম্বে শক্তপোক্তভাবে বাঁধ মেরামতের পাশাপাশি সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবি জানান তাঁরা।