শারীরিক কারণে কর্মে বাধা দেখা দেবে। সন্তানরা আপনার কথা মেনে না চলায় মন ভারাক্রান্ত হবে। ... বিশদ
লকডাউনে নাগরিক পরিষেবা স্বাভাবিক এবং সচল রাখতে পুরসভার বিভিন্ন বিভাগ টানা কাজ করে গিয়েছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য, নিকাশি, জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের কর্মী এবং আধিকারিকরা প্রাণপাত করে কাজ করেছেন। আনলক পর্বে কর্মচারীদের অফিসে নিয়ে আসার জন্য গাড়ির ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। সব কিছু আগের মতো স্বাভাবিক হওয়ায় কর্মচারীদের হাজিরার উপর জোর দেওয়া শুরু হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, অনেক কর্মচারী এখন আসা-যাওয়ার ব্যাপারে সময়ানুবর্তিতা মানছেন না। গা-ছাড়া মনোভাব নিয়ে চলছেন। এবার সেই নিয়ম যাতে মানা হয়, সেদিকে নজর দিচ্ছে পুর কর্তৃপক্ষ। বেনিয়ম রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা পুরসভা।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, হাজিরার ক্ষেত্রে সময়সীমা মেনে চলতে হবে। প্রত্যেক কর্মীকে বিভাগে ঢোকা এবং বেরনোর সময় উল্লেখ করতে হবে হাজিরা খাতায়। থাকবে স্বাক্ষর। প্রতিদিন সকাল ১১টা নাগাদ হাজিরার খাতা দপ্তরের আধিকারিকের কাছে পাঠাতে হবে। সামগ্রিক বিষয়টি দেখভাল করবেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্দিষ্ট আধিকারিক। একটি প্রোফর্মা তৈরি করে তা বিভাগীয় ডিজিদের কাছে পাঠানো হয়েছে। আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নাম পাঠাতে বলা হয়েছে। প্রতিদিন বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে হাজিরার তথ্য নির্দেশিকায় দেওয়া নির্দিষ্ট নম্বরে এসএমএস এবং ই-মেল করতে হবে পুর কমিশনারকে। সেইসঙ্গে বিনা অনুমতিতে একটানা ছুটি নেওয়ার ক্ষেত্রেও কড়া অবস্থান নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। বিনা অনুমতিতে কেউ ৩০ দিন ছুটি নিলে তাঁর বেতন কাটার কথা ভাবা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, পরিষেবা সচল রাখতে পুরকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। করোনাকালে বিভিন্ন জরুরি বিভাগ প্রশংসনীয় কাজ করেছে। সেই সময় কর্মীদের হাজিরার ক্ষেত্রে এতটা কড়াকড়ি করা ছিল না। কিন্তু বর্তমানে যখন সব কিছু স্বাভাবিক হয়েছে, তখন কর্মীদের একাংশ গা-ছাড়া মনোভাব নিয়ে চলছেন। এই প্রবণতা আটকাতেই এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে।