শারীরিক কারণে কর্মে বাধা দেখা দেবে। সন্তানরা আপনার কথা মেনে না চলায় মন ভারাক্রান্ত হবে। ... বিশদ
সকাল থেকেই সংবাদকর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট আসনে বসে ছিলেন বিজেপির মহিলা কর্মীদের একাংশ। জায়গা ছাড়া নিয়ে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে তাঁদের ভালোরকম বচসাও হয়। জায়গা নিয়ে রেষারেষিতে নিজেদের মধ্যেও ঝগড়ায় জড়ান কর্মীরা। দায়িত্বপ্রাপ্ত ভলান্টিয়াররা সামনে ছিলেন না। যাঁরা ছিলেন, তাঁরাও কাজ ভুলে সাংবাদিকদের আসনে বসেই সভা দেখছিলেন। পরে যখন তাঁরা উদ্যোগী হন, ততক্ষণে পরিস্থিতি পুরোপুরি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। হাজারখানেক জনতা তার মধ্যে ঢুকে গিয়েছেন। সাংবাদিকরা সেই ভিড় থেকে বাঁচতে ব্যারিকেড ডিঙিয়ে বিজেপির নেতাদের জন্য নির্দিষ্ট রাস্তায় বাধ্য হয়ে নেমে পড়েন। ততক্ষণে চেয়ার সরিয়ে ফেলা হয়েছে এনক্লোজার থেকে। আরও মানুষ ঢুকে পড়েন সেখানে। সেই ভিড়টাও পরে ব্যারিকেড ভেঙে নেমে আসে। এর ফলে পরিস্থিতি খুবই ঘোরালো হয়ে যায়। প্রাণ বাঁচাতে মহিলাকর্মীরা, যাঁরা এনক্লোজারে ঢুকে বসেছিলেন, তাঁরাও কোনওমতে ব্যারিকেড ডিঙিয়ে কার্যত পালিয়ে বাঁচেন। শৃঙ্খলা রেখে সাংবাদিকদের কাজ করতে দেওয়ার জন্য মঞ্চ থেকে সঞ্চালক বারবার অনুরোধ করেন। তা কেউ পাত্তা দেয়নি। এরপর কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও দিলীপ ঘোষের মতো নেতারাও মাইকে ভলান্টিয়ারদের সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেন, সাধারণ মানুষকে সামলানোর জন্য। তাতেও কাজ হয়নি। ফলে এদিন রীতিমতো প্রাণ হাতে করেই কাজ করতে হয়েছে সাংবাদিক ও চিত্রসাংবাদিকদের। মোদি প্রবেশের পর তাঁকে দেখার জন্য জনতার অত্যুৎসাহে আরও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। অনেক সাংবাদিককেই কোনওক্রমে ঠেলাঠেলি করে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এলাকা ছাড়তে হয়েছে। ওই অবস্থায় রাস্তাটিতে ঢোকেন তৃণমূলে এবার টিকিট না-পাওয়া শিবপুরের বর্ষীয়ান বিধায়ক জটু লাহিড়ী। ভলান্টিয়ারদের কেউ কেউ তাঁকে চিনতে না পেরে কার্যত বের করে দিচ্ছিলেন। সাংবাদিকরা তাঁর পরিচয় দেন ভলান্টিয়ারদের কাছে। তারপর তিনি ঢুকতে পারেন। আয়োজকদের একাংশ পুলিসের দিকেও অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছেন। আইপিএসরা পাত্তা দেননি। সাধারণ পুলিস কর্মীরাও নাকি ভিড়কে সামনের দিকে এগনো থেকে আটকাননি।
মোদি ঢোকার আগেই ডাফরিন রোড ও মেয়ো রোডের মতো রাস্তাগুলি আটকে দেওয়া হয়েছিল। হেস্টিংস মোড়ও বন্ধ রাখা ছিল। এর ফলে ওইসব অঞ্চলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। বাবুঘাটের কাছেও ছিল যানজট। তবে, পুলিসের তৎপরতায় যানজট দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। রবিবার হওয়ার জন্য এবং ব্রিগেডের কথা মাথায় রেখে বাস বা প্রাইভেট গাড়ির সংখ্যাও কম ছিল। সেই কারণেও যানজটের পরিস্থিতি কিছুটা আয়ত্তের মধ্যে ছিল।