বিদ্যার্থীদের পঠনপাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, একবালপুর এলাকায় ওই আবাসনটি তৈরি হচ্ছিল। খবর পেয়ে ২০১৭ সালে কলকাতা পুরসভার তরফে ওই নির্মাণ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়। কিন্তু তা পুরোপুরি অগ্রাহ্য করে নির্মাণ চালিয়ে যাওয়া হয়। এরপরই পুরসভার তরফে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা একবালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিস কলকাতা পুর আইনে নির্দিষ্ট ধারায় বেআইনি নির্মাণের মামলা রুজু করে। এই ঘটনায় তদন্ত শেষ করে পুলিস অভিযুক্ত চার প্রমোটারের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করে। শুরু হয় মূল মামলার বিচার। কোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মামলায় সাক্ষ্য দেন মোট পাঁচজন। কোর্টে মোট ১৯টি নথি পেশ করা হয়। মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারক বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরকার পক্ষ থেকে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সবদিক থেকেই প্রমাণিত হয়েছে। এই ধরনের বেআইনি নির্মাণ শহরের বুকে দূষণ ঘটানোর পক্ষে যথেষ্ট। তাই এই কাজের ক্ষেত্রে সহানুভূতি দেখানো কোনও প্রশ্নই ওঠে না। কড়া হাতে এর মোকাবিলা করাটাই জরুরি। বিচারক বলেন, যত্রতত্র বহুতল গড়ে তোলা হলে সেখানে আলো‑বাতাস ঠিক মতো খেলা করতে পারে না। সেখানে পরিবেশের ভারসাম্য যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাই শহরে বহুতল গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখা উচিত। যাতে পরিবেশের ভারসাম্য সুরক্ষিত থাকে। কিন্তু এই নির্মাণের ক্ষেত্রে তার কোনটাই মান্যতা দেওয়া হয়নি। সব মিলিয়ে আদালতের মনে হয়েছে অপরাধীদের এই কাজ করার ক্ষেত্রে ‘বেপরোয়া’ মনোভাব কাজ করেছে।