পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন পাঠনে পরিশ্রমী হলে ... বিশদ
মৃতের বোন দেবিকা নাগ বলেন, দাদা ব্যবসার সূত্রে প্রায়শই কলকাতায় যেত। প্রায় ১৪ দিন আগে সে বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সকলে গুজব ছড়ায় দাদার করোনা হয়েছে। নলকূপ ও পুকুরের জল ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিবারের কাউকে রাস্তায় বের হতে দিচ্ছিল না। এমনকী ফেসবুকেও অপপ্রচার করা হয়। দাদাকে আমরা হাসপাতালে নিয়ে যাই। বাড়িতে আশা কর্মীরাও এসে দেখে যান। সকলে জানান, দাদা করোনায় আক্রান্ত হননি। তারপরও গ্রামের সকলের চাপে দাদা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে।
গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, গ্রামবাসীরাই আমাকে বিষয়টি জানিয়েছিল। আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা থানা ও স্বাস্থ্য দপ্তরে জানায়। স্বাস্থ্য দপ্তর ওই যুবকের করোনা হয়নি জানানোর পর আমি সকলকে গুজব না ছড়ানোর কথা বলেছিলাম। এই পরিস্থিতিতে যুবকের আত্মহত্যার ঘটনায় আমরা মর্মাহত। শুধু কেমিয়া গ্রাম নয়, বনগাঁ, বসিরহাট ও বারাসত মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় যেকোনও সমস্যায় কেউ অসুস্থ হলেই করোনার আতঙ্ক সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। অথচ, এখনও বিভিন্ন বাজারে মানুষের ভিড় জমছে। বহু জায়গায় সঠিকভাবে লকডাউন মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ।