ব্যবসায়ে যুক্ত হলে এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো যাবে না। প্রেম প্রণয়ে বাধা। কারও সাথে ... বিশদ
দক্ষিণের টালিগঞ্জ বাজারেও প্রায় একই চেহারা। বাজারের ভিতরে সব্জি বিক্রির অংশটিই হোক বা মাছ বিক্রির জায়গা। মাস্ক রয়েছে হাতে গোনা কয়েকজনের মুখে। বেশিরভাগ মানুষই তা খুলে বাজার করছেন অথবা বিক্রি করছেন। সঙ্কীর্ণ জায়গার মধ্যে এক ফুট দূরত্ব রাখা কীভাবে সম্ভব বলুন তো— প্রশ্ন উভয় পক্ষেরই। মাছ বিক্রি অংশের ব্যবসায়ীরা বললেন, আমরা বলছি, দূরত্ব বজায় রাখুন। কিন্তু মাছ কাটব, না ক্রেতাদের গা ঘেঁষে দাঁড়াতে বারণ করব, বলুন তো! ভাগ্যে যা আছে, তা হবে। কী আর করব— বললেন তাঁরা। দক্ষিণ শহরতলির বেহালা বাজারেও কার্যত একই অবস্থা। ভিড়ে ঠাসা বাজারে নির্দেশিকা কর্পূরের মতো উবে গিয়েছে।
উত্তর কলকাতার মানিকতলা ও বাগমারি মার্কেটে এসে বোঝা গেল, নির্দেশ যেন এখানে বেচাকেনা করতে আসা মানুষের কানেই পৌঁছয়নি, এমন অবস্থা হয়ে রয়েছে। রবিবারের সকালে বাড়িতে বিশেষ মেনু চাই। তাই ভিড়ে ঠাসা অবস্থাতেই চলছে বিকিকিনি। কয়েকজন বললেন, মাস্ক পরে বাজার করতে আসা যায় না। গরমে মাস্ক মুখে কথা বলা যায় না। তবে দূরত্ব যতটা পারছি, বজায় রাখছি। কিন্তু কোথায়? মাছ বা সব্জি কিনতে এসে আড্ডায় মাততে দেখা গেল ক্রেতাদের। সুরক্ষাবৃত্ত আঁকা হয়েছে, আর ভিড়ের ঠেলায় সেই বৃত্তে কোথাও দু’জন, কোথাও আবার তিনজন দাঁড়িয়ে।
মধ্য কলকাতার এন্টালি মার্কেটের ভিতরে দেখা গেল, মানুষ কিছুটা হলেও নিয়মনীতি মানছেন। দূরত্বটা বজায় রেখেই কেনাকাটা করছেন। ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের কথায়, যতটা সম্ভব নির্দেশিকা মেনে কাজ করার চেষ্টা করছি। এই বাজারের কিছু দূরত্বে থাকা শহরের অন্যতম পাইকারি সব্জি বাজার কোলে মার্কেটে তো প্রথম দিন থেকেই নির্দেশকে মান্যতার মধ্যেই আনা হয়নি, দাবি করলেন সেখানকার সচেতনতার দায়িত্বে থাকা পুলিসকর্মীরাই।