ব্যবসায়ে যুক্ত হলে এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো যাবে না। প্রেম প্রণয়ে বাধা। কারও সাথে ... বিশদ
আগামী মাস থেকে শহর কলকাতার নাগরিকরা যথাযথ পুর পরিষেবা যাতে পান তার জন্যই প্রশাসক বসানো হবে। কারণ, রাজ্য নির্বাচন কমিশন ঠিক করেছে, ১৫ এপ্রিলের আগে ভোট নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই তারা এগোবে। তবে বাকি ৮৫ টি পুরসভাতে প্রশাসক বসবে মে মাসে, আর ছ’টি পুরসভায় বসবে জুনে। পুর আইনে সে ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা নেই, কেননা বর্তমানে ১৭টি পুরসভায় প্রশাসক রয়েছেন।
করোনা ও লকডাউনের জেরে বিশ বাঁও জলে চলে গিয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার নির্বাচন। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, মেয়াদ শেষ হওয়া অন্য সব পুরসভাতে প্রশাসক নিয়োগ করার সুযোগ আছে। এমনকী ইতিমধ্যেই রাজ্যের মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভাতেই প্রশাসক বসেছে। কিন্তু কলকাতা পুরসভার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়, কারণ কলকাতা পুর আইনে প্রশাসক বসানোর কোনও সংস্থান নেই। অভিজ্ঞ মহলের মতে, সেক্ষেত্রে সমস্যা নিরসনের একমাত্র উপায় আইন সংশোধন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তাও সম্ভব নয়। কারণ পুর আইনের সংশোধনী বিধানসভায় পাশ করানোর সুযোগ নেই। বিধানসভাকে এড়ানোর বিকল্প উপায় অর্ডিন্যান্স জারি করা। তবে তা করতে গেলে রাজ্যপালের অনুমোদনের প্রয়োজন। পুর দপ্তর সূত্রে খবর, রাজ্যপাল অর্ডিন্যান্সে সই করলে তবেই তা আইনে পরিণত হতে পারে। যেরকম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দিতে অর্ডিন্যান্স জারি করেছিলেন। তত্কালীন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের সই করা সেই অর্ডিন্যান্স পরবর্তীকালে আইনে পরিণত হয়ে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে।
এখন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার কলকাতা পুরসভায় প্রশাসক বসানোর অর্ডিন্যান্সে সই করবেন বলে আশাবাদী রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। কিন্তু, অর্ডিন্যান্সে সই করতে রাজ্যপাল যদি বেঁকে বসেন, তাহলে আরও বড় সমস্যা সৃষ্টি হবে বলে তাঁরা মনে করছেন। আইনি জটিলতায় কলকাতা মহানগরের নাগরিকদের ন্যূনতম পরিষেবা দিতেও সমস্যা তৈরি হতে পারে। তবে এই মুহূর্তের পরিস্থিতিতে নবান্নের কর্তারা আশাবাদী। তাঁদের মতে, বর্তমানে গোটা বিশ্ব নজিরবিহীন সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে চলছে লকডাউন। এই অবস্থায় পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে রাজ্যপাল অর্ডিন্যান্সে সই করে দেবেন বলে তাঁরা মনে করছেন। সেই বিশ্বাসে ভর করেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে প্রশাসনের অন্দরে। শীঘ্রই তা রাজভবনে রাজ্যপালের সম্মতির জন্য পাঠানো হবে।
পুর দপ্তর সূত্রে খবর, রাজ্যপাল অনুমোদন দিলে কলকাতার বর্তমান পুর কমিশনার খলিল আহমেদকে প্রশাসক হিসাবে নিযুক্ত করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে ১৯৭২ সালের পর কলকাতা পুরসভায় এই প্রথম প্রশাসক বসবে। তবে এখন সবটাই নির্ভর করছে রাজ্যপালের উপরেই।