বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
তাঁদের দাবি, বকেয়া বেতন না পেলে হাসপাতালের কোনও কাজ করবেন না। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রিন্সিপাল ঘরের মধ্যেই ছিলেন। বেরতে পারেননি। ডায়মন্ডহারবার হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী থেকে স্থায়ী সাফাই কর্মীদের অধিকাংশ অবসর নিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে সব মিলিয়ে প্রায় ৯৩টি পদ এখন শূন্য। সেই জায়গাতে গত ১৫ বছর ধরে এখনও পর্যন্ত ওই পদে স্থায়ী কোনও নিয়োগ হয়নি। স্বাভাবিকভাবে হাসপাতালের নামডাক বেড়ে যাওয়াতে আগের চেয়ে রোগীর সংখ্যা প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু তা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। এছাড়াও অফিসিয়াল কাজও ঠিকমতো করা যাচ্ছিল না।
এই পরিস্থিতি অনেকদিন ধরে রোগী কল্যাণ সমিতির সিদ্ধান্ত অনুসারে হাসপাতালের প্রতিদিনের কাজ সামাল দিতে অস্থায়ী লোক নেওয়া শুরু হয়। তা ধীরে ধীরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ জন। প্রথমে দৈনিক ২০ কারও ৩০ টাকা রোজে মজুরি দেওয়া হত। তা এখন বেড়ে হয়েছে মাথাপিছু রোজ ২০০ টাকা। যা রাজ্য সরকারের শ্রম দপ্তরের নিয়মের থেকে কম বলে অভিযোগ তাঁদের। সরকারি নিয়মে ৩০০ টাকার বেশি। কিন্তু সেই টাকা গত তিনমাস ধরে অস্থায়ী কর্মীরা পাচ্ছেন না।
হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, কয়েক মাস আগে পর্যন্ত আরএসভিওয়াই প্রকল্পের টাকা থেকে ওই সব অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দেওয়া হত। এছাড়া রোগী কল্যাণ সমিতির তহবিল থেকেও কিছু দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সেই প্রকল্পে টাকা আসছে না। এছাড়া হাসপাতালে সব ফ্রি হয়ে যাওয়ার জন্য সেখানেও রোজগার নেই। ফলে বেতন দেওয়া সমস্যা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, ওই অস্থায়ী কর্মীদের হাসপাতালের জন্য প্রয়োজন। কেননা প্রতিদিন এত রোগী আসছে, তাতে তা দেখার লোক নেই।
আন্দোলনকারীরা কাজ বন্ধ করে দেওয়াতে এদিনই হাসপাতালে নাভিশ্বাস উঠেছে। আন্দোলনকারীদের পক্ষে কেকা রায়, শুভঙ্কর ভৌমিক, প্রিয়াঙ্কা কয়াল, মিতা মণ্ডল, মঞ্জু হালদার, বন্দনা ঘোষ বলেন, আমাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে। অনেকদিন ধরে বেতন না পেয়েও হাসপাতালের কাজ কখনও বন্ধ করিনি। কিন্তু আর পারলাম না। কারণ, ২৪ ঘণ্টা হাসপাতালে কাজ করার পর বাড়িতে গিয়ে বাচ্চাদের মুখে দুমুঠো খাবার তুলে দিতে পারছি না। পড়াশুনা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অসুস্থ মায়ের পথ্য জোগাড় করতে পারছি না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসন সকলের দোরে দোরে গিয়েছি। কিন্তু, কেউ এ নিয়ে কোনও সুরাহা করার আগ্রহ দেখাননি। তাই বাধ্য হয়ে এদিন আন্দোলনে নামলাম। ডায়মন্ডহারবার কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ বলেন, এ নিয়ে কোনও কথা বলার এক্তিয়ার আমাদের নেই। তাই কিছু বলতে পারছি না।