হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
এই দুই ধরনের মাছ ওজনে খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে। অতিরিক্ত একটি ফুসফুস থাকায় এই দুই মাছই বাতাস থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করতে পারে। জেলার মগরাহাট ২ নম্বর ব্লকের গোকর্ণ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চাষি সুদীপ্ত কাঁসারি জানিয়েছেন, তিনি নিমপীঠ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে মনোসেক্স তেলাপিয়া ও দেশি মাগুর মাছ চাষের ট্রেনিং পেয়ে উপকৃত হয়েছেন। তাঁর ৫ বিঘা পুকুরের চারদিকে প্রচুর গাছপালা আছে। ফলে এই গরমেও পুকুরের জল ঠান্ডা। পুকুরে তিনি কচুরিপানা হতে দেন না। পুকুরের গভীরতা ৬ ফুট থেকে ৯ ফুট। তার পুকুরে মাটির পিএইচ মাত্রা ৬.৫ থেকে ৭.৫। এবং জলের পিএইচ মাত্রা ৭ থেকে ৮। পুকুর তৈরিতে তিনি বিঘাপ্রতি ১হাজার কেজি গোবরসার ও ১০ কেজি সিঙ্গল সুপার ফসফেট দিয়েছেন। তিনি জলের পিএইচ মেপে চুন প্রয়োগ করে থাকেন। পুকুর পরিস্কার রাখেন। তিনি আশা করছেন, ৬ মাসের মধ্যে তিনি ১০০ গ্রাম ওজনের তেলাপিয়া ও ১২৫ গ্রাম ওজনের দেশি মাগুর পেয়ে যাবেন। জেলার জয়নগর ১ নম্বর ব্লকের খাকুরদহ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মাছচাষি মশিয়ার রহমান বলেন, তাঁর ৩ বিঘা পুকুরে তেলাপিয়া বেশ বড় হয়ে গিয়েছে। তিনি মশারির জাল দিয়ে পুকুর ঘিরে রেখেছেন। রামকৃষ্ণ আশ্রম কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র নিমপীঠের বরিষ্ট বিজ্ঞানী প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মাছ চাষের উন্নতির জন্য তাঁরা প্রায় দু’তিনটি ব্লক থেকে মাছচাষিদের দু’দিনের ট্রেনিং দিয়ে থাকেন।
এছাড়া মাছের উন্নত চারা তাঁরা সরবরাহ করে থাকেন। মাছচাষে ভালো খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হয় বাদাম খোল ১৫ শতাংশ, সরিষা খোল ১৫ শতাংশ, খুদ বা ভাঙা চাল ৫০ শতাংশ, গমের ভুষি ১০ শতাংশ, শুকনো মাছের গুড়ো ৮ শতাংশ, ভিটামিন ও খনিজ লবন ২ শতাংশ। মাছের বৃদ্ধি অনুযায়ী খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। তবে তেলাপিয়া ও দেশি মাগুর মাছের যৌথ চাষের সুফল হল, কোনওভাবে যদি অতিরিক্ত খাবার দিয়ে দেওয়া হয় যা তেলাপিয়া খাবে না, সেটা দেশি মাগুর খেয়ে নেবে। পরিস্কার ও পরিবেশ-বান্ধব পুকুরে মাছ বাড়বে। তবে এর পরিচর্যা ঠিকমতো করতে হবে।