বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
হাওড়া জেলার যেসব জায়গায় পান চাষ হয়ে থাকে, তার মধ্যে উলুবেড়িয়া ২ নং ব্লকের বাসুদেবপুর অন্যতম। এইসব এলাকায় প্রায় শতাধিক পরিবার পান চাষের সঙ্গে যুক্ত। যদিও গত কয়েকদিনের ঝড়বৃষ্টিতে পানের বরোজ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দুশ্চিন্তায় এইসব এলাকার চাষিরা। এমনকী ঝড়ের দাপটে বেশ কয়েকটি পানের বরোজ সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ায় মাথায় হাত মালিকদের। বাসুদেবপুরের আধারমানিক গ্রামের বাসিন্দা শ্যামল ভুঁইয়া বলেন, ঝড়বৃষ্টিতে বরোজের টান ছিড়ে গিয়ে পান গাছ পড়ে যাওয়া থেকে গাছের পাতা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তিনি জানান, সাধারণত শীতের সময় পানের ফলন কমে গেলেও ফাল্গুন মাস থেকে পানের ফলন বাড়ে। যদিও এইসময় আচমকা বৃষ্টিতে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা সামাল দেওয়া মুশকিল হয়ে পড়বে।
শ্যামলবাবু জানান, এইসময় রাজ্যের বাংলা পানের চাহিদা অনেক থাকে। আমাদের রাজ্য ছাড়াও বিহার, ওড়িশা, অসম সহ বাংলাদেশেও এই রাজ্য থেকে প্রচুর পরিমাণে পান যায়। যদিও বৃষ্টিতে যেভাবে পানের ক্ষতি হয়েছে তাতে আমরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ব। আরেক পান চাষি রাম মাইতি বলেন, ঝড়ে যেভাবে বরোজের ক্ষতি হয়েছে তাতে নতুন করে আবার বরোজ তৈরি করতে হবে। অপরদিকে মঙ্গলবার ভোরের ঝড়ে অনেকের পানের বরোজ সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। এক পান চাষির প্রায় ১২ বিঘা জমির ১ লাখ পান গাছ ক্ষতির মুখে পড়েছে। এরকমই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আরও অনেকে।
পান চাষে ক্ষতি সম্পর্কে উলুবেড়িয়া ২ নং ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক কার্তিকচন্দ্র মাহাত জানান, আমরা বিষয়টির উপর নজর রাখছি। এছাড়াও মহকুমা কৃষি অধিকর্তার কাছ থেকে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য চাওয়া হয়েছে। মহকুমা সহ কৃষি অধিকর্তা সর্বেশ্বর মণ্ডল জানান, মহকুমার ৬৮০ হেক্টর জমির পান চাষের মধ্যে ১১০ হেক্টর জমির পান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁর আশঙ্কা, বুধবারও যেভাবে ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে।