বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে বীজ উৎপাদন করে নজর কাড়ায় রাজ্যের উত্তরাঞ্চল থেকে কৃষি-রবি সম্মান পেয়েছে মালদহের চাঁচোলের বিদ্যানন্দপুর সবুজ বাহিনী ফার্মার্স ক্লাব। এই কৃষক সঙ্ঘের সঙ্গে এলাকার বহু মহিলা যুক্ত। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদান, ভার্মিকম্পোস্ট সার তৈরি, মাশরুম উৎপাদনের সঙ্গে তাদের পোলট্রি ও মাছ চাষ রয়েছে। বছরে লাভের পরিমাণ ৬ লক্ষ টাকা। রাজ্যের মধ্যাঞ্চল থেকে কৃষি-রবি সম্মান পেয়েছে নদীয়ার নাকাশিপাড়া ফার্মার্স প্রোডিউসার কোম্পানি লিমিটেড। বাজারমুখি ফসল চাষ করে তারা লাভের মুখ দেখেছে। ১ হাজারেরও বেশি কৃষক এই গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। সদস্যরা জানিয়েছেন, আগে তাঁরা প্রচলিত প্রথায় চাষ করতেন। কৃষি দপ্তরের সহযোগিতায় ২০১০ সাল থেকে তাঁরা উন্নত কৃষির পথে হাঁটতে শুরু করেন। জারবেরা, অর্কিড চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন। উৎপাদিত ফুল নেপাল, ভুটান, ওড়িশায় পাঠাচ্ছেন। ভালোই লাভ মিলছে। জৈব কৃষির প্রসার ঘটাতে নিজেরা ভার্মিকম্পোস্ট সার তৈরি করছেন। বানিয়েছেন পলিহাউস।
রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল থেকে কৃষি-রবি সম্মান পেয়েছে রাঙামাটির চর ভাচাতি স্বনির্ভর দল। সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত এই কৃষক সঙ্ঘটি বিভিন্ন ফসল চাষের পাশাপাশি বাড়ির পাশে পুষ্টিবাগান, কেঁচোসার উৎপাদন, মাশরুম চাষ করছে। তাদের উৎপাদিত মাশরুম এলাকার বিভিন্ন স্কুলে মিডডে মিলে সরবরাহ করা হচ্ছে। সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁদের স্বামীরা দিনমজুরের কাজ করেন। সংসারে অনটন ছিল। কিন্তু, দক্ষতার সঙ্গে চাষ করে লাভের মুখ দেখায় এখন পরিবারে অনেকটাই স্বচ্ছলতা ফিরেছে। রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চল থেকে কৃষি-রবি সম্মান পেয়েছে ভাঙড় ভেজিটেবল প্রোডিউসার কোম্পানি লিমিটেড। কৃষি দপ্তরের সহযোগিতায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা আগের চেয়ে অন্তত ৩০-৩৫ শতাংশ ফলন বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। এক ফসলি জমিকে দুই ফসলি জমিতে পরিণত করা, ফসলের সুষ্ঠু বিপণন ব্যবস্থার মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তারা। সাথী ফসল, মিশ্র ফসল চাষ করে শস্য নিবিড়তা বাড়াতে পেরেছে।
বিশেষ কৃষি-রবি সম্মান প্রাপক কোচবিহারের সাতমাইল সতীশ ক্লাব ও পাঠাগার কৃষি প্রযুক্তির প্রসারে কাজ করে চলেছে। যন্ত্রের মাধ্যমে ধান রোয়া করে সাড়া ফেলেছে তারা। কৃষিযন্ত্র ভাড়া কেন্দ্র চালু করেছে। শ্রী, জিরো টিলেজ প্রযুক্তির বাস্তবায়ন ঘটিয়েছে কৃষকের জমিতে। আলুবীজ উৎপাদন করছে। মুরগির বাচ্চা ফোটানোর জন্য ইউকিউবেটর যন্ত্র উদ্ভাবন করেছে। মাছের চারা উৎপাদন শুরু করেছে। রাজ্যের আরও চারটি কৃষক গোষ্ঠীকে কৃষিতে অনবদ্য অবদানের জন্য বিশেষ সম্মান দেওয়া হয়েছে। সাটসার পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টার মাধ্যমে রাজ্য সরকারের কাছে কয়েকটি দাবি রাখা হয়। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ৮০০ প্রতিনিধি যোগ দেন। সাটসার কাজের প্রশংসা করেন মন্ত্রী অসীমা পাত্র ও প্রদীপ মজুমদার। সভা থেকে সর্বসম্মতিক্রমে সাটসার নয়া সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সুজনকুমার সেন ও সভাপতি হয়েছেন গৌতমকুমার ভৌমিক।