Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আবিষ্কার
কল্যাণকুমার দে

ঘুম! পড়তে বসলেই ঘুম পেয়ে যায়। এর জন্য বাবা-মায়ের কাছে কম বকুনি খেতে হয় না। বকুনি খেয়েও কিন্তু অভ্যেসটা পাল্টায় না। আসলে ঘুমের অভ্যেসটা আমাদের জন্মাবার সঙ্গেই তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হল, আমরা কেন ঘুমোই? জীবনে কি ঘুম অত্যন্ত জরুরি?
এ নিয়ে কতশত গবেষণাই না চলছে। আর সেজন্য একদল ঘুমবিজ্ঞানীর চোখে ঘুম নেই। ঘুমের সঙ্গে সঙ্গে আর এক ধরনের অভিজ্ঞতা সকলেরই জানা আছে—সেটা হল স্বপ্ন। এ বিষয়ে স্বপ্ন বিশারদ গরফিল্ডের বক্তব্য হল, মানুষ যখন জেগে থাকে এবং কোনও একটি বিষয়ের উপর নিয়মিত চিন্তা করে, তখন তার অবচেতন মনেও সে সম্পর্কে নানা প্রতিক্রিয়া ঘটে। ফলে মানুষ যখন ঘুমায়, তখন সেইসব প্রতিক্রিয়ারই সামগ্রিক রূপটা স্বপ্নে প্রকাশ পায়।
কেউ স্বপ্ন দেখতে ভয় পায়, কেউ স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে। কিন্তু স্বপ্নের মধ্যে ব্যাপারগুলো এমনভাবে ঘটে, যে তাকে মিথ্যে বলে মনেই হয় না। মজার ব্যাপার এই, রাতে ঘুমোতে ঘুমোতে স্বপ্ন দেখে কোনও কোনও বিজ্ঞানী বিজ্ঞানের দারুণ দারুণ বিষয়ে অনেক কিছু আবিষ্কার করে গিয়েছেন। 
যেমন ধর, ইলিয়াস হাউয়ের কথা। আবিষ্কারক হিসাবে তাঁর বেশ নাম-ডাক আছে। তিনি ছিলেন একজন আমেরিকান উদ্ভাবক। যিনি আধুনিক লকস্টিচ সেলাই মেশিন তৈরির জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত।
একটা অতি তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে হাউ দারুণ সমস্যায় পড়লেন। সেলাই কলের ছুঁচ। কলের ছুঁচের ফুটোটা কোথায় করলে মেশিন চালিয়ে সেলাই করা সহজ হবে, সেটা নিয়েই হাউয়ের সমস্যা।
চিন্তা করতে করতে একদিন রাতে হাউ ঘুমিয়ে পড়লেন। সালটা ছিল ১৮৪৫। চোখ বুজতেই একটা স্বপ্ন দেখলেন— পথ চলতে চলতে তিনি এক গভীর জঙ্গলে ঢুকে পড়েছেন। চারদিকে ঘন অন্ধকার। এমন সময় হঠাৎ কিছু অসভ্য বুনো মানুষ তাঁকে ঘিরে ফেলল।
হাউ আঁতকে উঠলেন। মানুষগুলো বলল, আমরা সভ্য হতে চাই। সভ্য জগতের সঙ্গে মিশতে চাই। সুতরাং তুমি আমাদের এমন একটা সেলাই যন্ত্র দাও, যাতে করে আমরা তোমার মতো পোশাক বানাতে পারি। যদি চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে যন্ত্রটি না দিতে পার, তাহলে আমরা তোমাকে মেরে ফেলব।
হাউ বন্দি হয়ে রইলেন। চব্বিশ ঘণ্টা শেষ হতে আর অল্প কিছুক্ষণ বাকি। ওদিকে অজস্র মোটা মোটা ছুঁচের মতো বল্লম নিয়ে বুনো মানুষগুলো এগিয়ে আসছে। হাউ ভয়ে জড়সড় হয়ে পড়ছেন। তিনি লক্ষ করলেন বল্লমগুলোর মাথার কাছে একটা করে ফুটো। ঘুমের ঘোরে হাউ চিৎকার করে উঠলেন, দাঁড়াও তোমরা।
তাঁর ঘুম ভেঙে গেল। এতদিন সেই কলের ছুঁচ নিয়ে চিন্তা ছিল তাঁর। কখনও ভেবেছিলেন ছুঁচের ফুটো মাঝখানে হওয়া দরকার। কখনও ভেবেছিলেন, না, শেষ প্রান্তে। এবার তিনি স্বপ্নের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কলের ছুঁচের মাথায় ফুটো করে সুতো পরানোর ব্যবস্থা করলেন। তাতে অসামান্য কাজ হল। এই স্বপ্ন তাঁর আবিষ্কারকে সার্থক করে তুলল।
....
এধরনের অভিজ্ঞতা আরও অনেক বিজ্ঞানীর জীবনে ঘটেছে। যেমন আর একজন বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী হলেন জার্মানির রসায়নবিদ ফ্রায়েডরিখ কেকুলে। সেই সময়ে বেঞ্জিন নামে এক ধরনের রাসায়নিক জৈব যৌগের আণবিক কাঠামোটা কেমন হবে সে নিয়ে বিজ্ঞানীমহলে বেশ তর্কবিতর্ক চলছে। বেঞ্জিন এক ধরনের সরল জৈব যৌগ। ছ’টা কার্বন ও ছ’টা হাইড্রোজেন পরমাণু দিয়ে তৈরি। স্থুল সংকেত হল—C6H6। বেশ কিছু রসায়নবিদের মতামত হল বেঞ্জিন যৌগে কার্বন ও হাইড্রোজেনের পরমাণুগুলো সরল চেইনের মতো করে সাজানো থাকে। কিন্তু তাতে হাইড্রোজেনের পরমাণুর সংখ্যার হিসেব নিয়ে গরমিল দেখা দিল। কেকুলেও এ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছিলেন। কিন্তু অপ্রত্যাশিত ভাবে সমস্যাটির সমাধান 
হয়ে গেল।
১৮২৫ সাল। তখন শীতকাল। বাইরে প্রচণ্ড ঠান্ডা। হিম পড়ছে। নিজের ঘরে ফায়ার প্লেসের সামনে একটা ইজি চেয়ারে বসে বই পড়ছিলেন কেকুলে। উষ্ণতার আরামে তিনি হঠাৎ ঝিমিয়ে পড়েছিলেন। স্বপ্নে দেখলেন, তাঁর সামনে কার্বন ও হাইড্রোজেন পরমাণুগুলো কেমন যেন অদ্ভুত ভাবে ঘুরপাক খাচ্ছে। তারপর পরমাণুগুলো জুড়ে গিয়ে একটা সাপের আকার নিল। দেখলেন সাপটা তার দিকে ছুটে আসছে। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার, সাপটা তাঁকে না কামড়ে নিজের লেজটা মুখে পুরে নিল।
এমন সময় কেকুলের ঘুমটা ভেঙে গেল। মুহূর্তে মনে হল তিনি সমস্যার সমাধান পেয়ে গিয়েছেন। আনন্দে লাফিয়ে উঠলেন। বুঝলেন বেঞ্জিন বা ওই ধরনের কোনও রাসায়নিক যৌগের গঠন ‘রিং’-এর মতো। অর্থাৎ কার্বন ও হাইড্রোজেন পরমাণুগুলো পর পর যুক্ত হয়ে কোনও শৃঙ্খল গঠন করে না। পরিবর্তে তারা যুক্ত হয়ে একটি ‘বদ্ধ চক্রাকার রিং’ (‘বেঞ্জিন রিং’) সৃষ্টি করে। যেমন স্বপ্নে লেজের ডগাটা মুখে পুরে সাপটার চেহারাটা দাঁড়িয়েছিল। স্বপ্ন থেকে কেকুলে বেঞ্জিন অণুর গঠনটা জানতে পেরেছিলেন।
 ১৯৫৩ সালে একজন তরুণ মার্কিন বিজ্ঞানী ডক্টর জেমস ওয়াটসন একটি অদ্ভুত স্বপ্ন দেখেছিলেন। যেখানে দু’টি সাপের মতো কাঠামো একত্রিত হয়েছিল। জেমস ওয়াটসনের স্বপ্ন ডিএনএর অণুর ডাবল হেলিক্স কাঠামোর প্রস্তাব করেছিলেন। ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড) হল সকল জীবের বংশগতির ধারক ও বাহক।
ওয়াটসন তাঁর সহকর্মী ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ক্রিক-এর সঙ্গে একটি গবেষণাপত্রে তা প্রকাশ করেছিলেন। ১৯৬২ সালে জেমস ওয়াটসন, ফ্রান্সিস ক্রিক ও মারিস উইলকিন্সকে একত্রে তাঁদের আবিষ্কারের জন্য ফিজিওলজিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।
....
আরও একটা ঘটনা ঘটে ১৯১৩ সালে। রোদ ঝলমলে দিন। মাথার উপর প্রখর সূর্য। তার চারপাশে উত্তপ্ত গ্যাসের কুণ্ডলী। গ্রহগুলো গ্যাসের দড়ি দিয়ে সূর্যের সঙ্গে বাঁধা। সূর্যকে মাঝখানে রেখে তারা সূর্যের চারপাশে বনবন করে ঘুরপাক খাচ্ছে। সেই গ্যাস হঠাৎ ঠান্ডা হল। সূর্যটা গ্যাসীয় অবস্থা থেকে ধীর ধীরে শক্ত কঠিন বলের আকার ধারণ করল। আর গ্রহগুলো গ্যাসের দড়ির কবল থেকে মুক্ত হয়ে গেল। অমনি সূর্য থেকে তারা দূরে সরে যেতে লাগল। ঠিক সেই সময়ে ঘুম ভেঙে গেল কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ মেধাবী ছাত্র নিলস বোরের। ঘুম থেকে উঠে চারদিকে চোখ মেলে চাইলেন। মনে মনে বিড়বিড় করে বললেন, তাহলে এসব সত্যি নয়। এতক্ষণ যা দেখলাম, তা স্বপ্ন?
এই নিলস বোর পরে বিশ্ববিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী হিসাবে খ্যাতি লাভ করেছিলেন। তিনি কিন্তু তাঁর স্বপ্নের কথা তখনও ভুলে যাননি। স্বপ্নে পাওয়া তাঁর ধারণা পরবর্তীকালে ‘কোয়ান্টাম মেকানিক্স’-এর সাহায্যে পরমাণু গঠন সম্পর্কে নতুন ব্যাখ্যা জোগাতে সাহায্য করেছিল। স্বপ্নের সূর্য হল পরমাণুর কেন্দ্রক, যার মধ্যে আছে প্রোটন ও নিউট্রন এবং গ্রহগুলি ইলেকট্রন। যারা একটি শক্তি ক্ষেত্রের মধ্যে অবস্থান করে। নিলস বোর  পরমাণুর গঠন আবিষ্কারের জন্য ১৯২২ সালে  পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন।
....
প্রখ্যাত পদার্থবিদ অ্যালবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন যে, আপেক্ষিক তত্ত্ব তাঁর কাছে গোরু সম্পর্কিত স্বপ্নে এসেছিল। স্বপ্নে দেখলেন যে, তিনি একটি খামারের কাছ দিয়ে হাঁটছেন। যখন তিনি বৈদ্যুতিক বেড়া দিয়ে ঘেরা কয়েকটি গোরুর কাছে এসে পড়েন, তখন কৃষক হঠাৎ বৈদ্যুতিক বেড়া চালু করেন, আর তিনি গোরুগুলোকে একই সময়ে লাফ দিতে দেখেন। যদিও কৃষক যিনি মাঠের অপর প্রান্তে দাঁড়িয়েছিলেন, গোরুগুলোকে মেক্সিকান তরঙ্গে একে একে লাফ দিতে দেখেছেন। আইনস্টাইন বুঝতে পেরেছিলেন যে, একই ঘটনা সম্পর্কে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন ছিল। এটিই আপেক্ষিক তত্ত্বকে অনুপ্রাণিত করেছিল—আপনি যেখানে দাঁড়িয়ে আছেন তার উপর নির্ভর করে ঘটনাগুলি ভিন্ন দেখায়, কারণ আপনার চোখে আলো পৌঁছতে সময় লাগে। সময় পর্যবেক্ষকের আপেক্ষিক। আইনস্টাইন বলেছিলেন, ‘ঘুম শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যক নয়, সম্ভবত সৃজনশীলতার সবচেয়ে বড় একক উৎস।’
....
দিমিত্রি মেন্ডেলিভ (১৮৩৪-১৯০৭), একজন রাশিয়ান রসায়নবিদ ও উদ্ভাবক। তিনি মৌলিক পদার্থসমূহের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম বিশ্লেষণ করে মৌল সমূহের পর্যায়ভিত্তিক ধর্ম আবিষ্কার করেন এবং তা কাজে লাগিয়ে সর্বপ্রথম সার্থক পর্যায় সারণী তৈরি করেন। তিনি চেয়েছিলেন একটি রাসায়নিক টেবিল ডিজাইন করতে  যাতে তৎকালীন ৬৩টি পরিচিত রাসায়নিক উপাদান  তাদের পারমাণবিক ওজনের উপর ভিত্তি করে সারিবদ্ধ করা হবে। ১৮৬৯ সালে তিনি এক-একটি কার্ডে রাসায়নিক মৌলগুলির নাম লিখেছিলেন—প্রতিটি কার্ডে একটি মৌল। তারপর তিনি প্রতিটি মৌলর বৈশিষ্ট্যগুলি কার্ডে লিখেছিলেন। তিনি রাত পর্যন্ত প্রায় ত্রিশটি উপাদান সারিবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তারপর মেন্ডেলিভ তাঁর ডেস্কে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। যখন তিনি জেগে উঠলেন, তিনি দেখতে পেলেন যে তাঁর অবচেতন মন তাঁর কাজ করেছে! উপাদানগুলির একটি যৌক্তিক বিন্যাস তাঁর কাছে এসেছিল। যেখানে তিনি প্রায় সমস্ত মৌলকে একটি বড় সারণী বিন্যাসে, একটি পর্যায় সারণীতে রেখেছিলেন। পরের দিন সকালে, তিনি এটি লিখেছিলেন।  তিনি পরে লিখেছেন, ‘একটি স্বপ্নে আমি একটি রাসায়নিক টেবিল দেখেছি, যেখানে সমস্ত উপাদান প্রয়োজন অনুসারে জায়গায় পড়েছিল। জেগে উঠে, আমি এটি একটি কাগজের টুকরোতে লিখেছিলাম।’
14th  April, 2024
বাংলা ভাষার প্রতি ঠাকুরবাড়ির ভালোবাসা
পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

বাংলা নববর্ষের দিন জানব বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসার কথা। সেই ইংরেজ আমলে রবীন্দ্রনাথের পরিবারের সদস্যরা কীভাবে এই ভাষার জন্য লড়াই করেছিলেন, তুলে ধরা হল তারই টুকরো কিছু স্মৃতি।  বিশদ

14th  April, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: মটকা পেন্টিং

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

14th  April, 2024
এপ্রিল ফুলের খুনসুটি

পেরিয়ে এলাম পয়লা এপ্রিল। ইংরেজি চতুর্থ মাসের ১ তারিখ মানেই এপ্রিল ফুলস’ ডে। বোকা বানানোর দিন। কীভাবে বন্ধুদের সঙ্গে দিনটি মজা করে কাটল, সেই গল্পই শোনাল পূর্ব বর্ধমানের ঘোড়ানাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ‘ফুল’ একটি ইংরেজি শব্দ। এর অর্থ বোকা। এপ্রিল ফুলের অর্থ এপ্রিল মাসের বোকা।
বিশদ

07th  April, 2024
যাত্রী যখন গান্ধীজি

১৯৪৬ সালের জানুয়ারি মাস। শীতের বিকেলে সোদপুর স্টেশন দিয়ে কু-ঝিকঝিক আওয়াজ করে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যাত্রীবাহী ট্রেন। স্ব-পার্ষদ খাদি আশ্রমে বসে রয়েছেন জাতির জনক। আচমকা বললেন, মাদ্রাজ যেতে হবে। এখান থেকেই ট্রেন ধরব
বিশদ

07th  April, 2024
বিরল সংখ্যা

গণিত মানেই মগজাস্ত্রে শান। সংখ্যার খেলা। কত ধরনেরই যে বিস্ময় লুকিয়ে রয়েছে, তা বলে বোঝানো যায় না। এক একটা সংখ্যাতেই কত না রহস্য। এই ধর, ছয় দশ পাঁচ পঁয়ষট্টির কথা। সংখ্যায় লিখলে— ৬৫। দেখে কী মনে হচ্ছে!
বিশদ

07th  April, 2024
রুকু ঝুকুর চাওয়া পাওয়া
অংশুমান কর

আমরা গ্রামের বাড়ি যাব। ঝুকুর জন্মের পর এই প্রথম আমাদের সকলের একসঙ্গে গ্রামের বাড়ি যাওয়া। ও তাই খুব আনন্দে আছে। কতবার আমাকে বলছে, ‘দাদা তুই আর আমি ধানগাছে চড়ে দোল খাব।’ আমি ওকে বলিনি যে, ধানগাছে চড়ে দোল খাওয়া যায় না। বিশদ

31st  March, 2024
মহাকাশযাত্রীদের খাবার-দাবার
উৎপল অধিকারী

মহাকাশ বড়ই রহস্যময় স্থান। এই রহস্যের উদ্ঘাটন করার জন্য মানুষ দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষ সশরীরে সেখানে হাজির হয়েছে। এই অকুতোভয় সাহসী মহাকাশযাত্রীরা জীবন বাজি রেখে অসীম ধৈর্য নিয়ে মহাকাশযানে তাঁদের গবেষণা করছেন। বিশদ

31st  March, 2024
চরম দারিদ্র্য থেকে সর্বোচ্চ শিখরে

পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের প্রথম উচ্চতা মেপেছিলেন রাধানাথ শিকদার। এই বাঙালি গণিতবিদের সাফল্যের গল্প শোনালেন সোমনাথ সরকার বিশদ

31st  March, 2024
কবিগুরুর দোল উৎসব
সায়ন্তন মজুমদার

১৯২৫ সালে দোল উপলক্ষ্যে সেজে ওঠে আম্রকুঞ্জ। কিন্তু বিকেলের ঝড়বৃষ্টিতে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। বৃষ্টি থামতে রবীন্দ্রনাথ সকলকে নিয়ে চলে যান এখনকার পাঠভবনে। সেখানে অভিনীত হয় ‘সুন্দর’ নাটকটি। বিশদ

24th  March, 2024
খেলাধুলোর আনন্দ

পড়াশোনায় ফাঁক পেলেই চলছে চুটিয়ে খেলা। ব্যাট-উইকেট, ফুটবল নিয়ে সকলে নেমে পড়ছে। খেলার আনন্দের বিকল্প নেই। নিজেদের প্রিয় খেলার বিষয়ে জানাল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর হাই স্কুলের পড়ুয়ারা। বিশদ

24th  March, 2024
লাগল যে দোল

ম্যাজিক মানেই অজানাকে নতুন করে জানা। ম্যাজিকের অলীক দুনিয়ায় একবার ঢুকে পড়লে ঘোর লাগে চোখে। জাদুর দুনিয়ায় নানা ধাঁধা। প্রতিটাই পরখ করে দেখতে মন চায়। এবার সেই সুযোগই তোমাদের সামনে হাজির করলেন থিম ম্যাজিশিয়ান সোমনাথ দে। তিনি মাসে দুটো করে ম্যাজিক শেখাচ্ছেন তোমাদের। তাঁর থেকে সেই ম্যাজিক বৃত্তান্ত জেনে তোমাদের সামনে হাজির করলেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

24th  March, 2024
চাঁদের  তাপমাত্রা

খন বিভিন্ন দেশ চন্দ্রাভিযানে নেমেছে। কিছুদিন আগে ভারতের চন্দ্রযান-৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখেছিল। চাঁদের বুকে ঘোরাফেরা করে গবেষণা চালিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর চন্দ্রযান ৩-এর রোভার প্রজ্ঞান। এখন অবশ্য চিরঘুমে ঢলে পড়েছে সে।  
বিশদ

17th  March, 2024
মহাসাগরের গভীরে ঘুমন্ত ‘অষ্টম’ মহাদেশ

সাতটি মহাদেশের কথা আমাদের সকলেরই জানা। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন অষ্টম মহাদেশের কথা। আশ্চর্যের বিষয় এই আট নম্বর মহাদেশটিকে আমরা পৃথিবীর মানচিত্রে এখনও সেভাবে দেখতে পাই না। কারণ এই মহাদেশটি  সমুদ্রের গভীরে নিমজ্জিত ।       
বিশদ

17th  March, 2024
ডিজনির  দুনিয়া

মিকি মাউস, ডোনাল্ড ডাকের সঙ্গে তোমাদের সকলের পরিচয় আছে। সুদূর ফ্রান্সের রাজধানীতে রয়েছে এদের নিয়ে আস্ত পার্ক। সেই ডিজনিল্যান্ডের গল্প শোনালেন কৌশানী মিত্র
বিশদ

17th  March, 2024
একনজরে
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুর লোকসভায় জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সাত বিধানসভার মধ্যে একমাত্র শ্রীরামপুরেই লিড পাননি ঘাসফুলের দাপুটে প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই কেন্দ্রে পুরনো ...

এরাজ্যে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে প্রথম কারখানা খুলবে মাদার ডেয়ারি। তা থেকে সরাসরি কর্মসংস্থান হতে পারে প্রায় ৪০০। কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের ...

আটের দশকের শেষ দিক। নাইজেরিয়া থেকে ভারতীয় ফুটবলে পা রেখেছিলেন দীর্ঘদেহী মিডিও। নাম এমেকা এজুগো। পরবর্তীতে ১৯৯৪ বিশ্বকাপে তিনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ময়দানের তিন প্রধানের ...

১৩ দিনে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে চারটি জনসভা ও  একটি রোড শো করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে সভা করে গিয়েছেন দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস
১৮০৯: ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর জন্ম
১৮৫৩: এশিয়ায় প্রথম ট্রেন চালু হয়
১৮৮৮: সাহিত্যিক হেমেন্দ্রকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৬: অভিনেত্রী ললিতা পাওয়ারের জন্ম
১৯৩০: ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নিয়ে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করে
১৯৫৫ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মৃত্যু
১৯৫৮ - ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ম্যালকম মার্শালের জন্ম
১৯৬২: অভিনেত্রী পুনম ধিলনের জন্ম
১৯৬৩: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ফিল সিমন্সের জন্ম
১৯৭১: কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন
১৯৮০: জিম্বাবুইয়ে স্বাধীনতা লাভ করে
১৯৮১: সুরকার, গীতিকার ও লোকগীতি শিল্পী তথা বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৮৬:  স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা, লোকসভার প্রাক্তন সদস্য অতুল্য ঘোষের মৃত্যু
১৯৯২: ক্রিকেটার কেএল রাহুলের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  April, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী ৩০/৩৫ অপরাহ্ন ৫/৩২। অশ্লেষা নক্ষত্র ৬/৩৮ দিবা ৭/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৭/৪৩। সূর্যাস্ত ৫/৫৪/১৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৪ গতে ৩/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১/০ মধ্যে। 
৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী রাত্রি ৭/৫। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ৯/৫২। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৬ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৭ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: পাঞ্জাবকে ৯ রানে হারাল মুম্বই

11:50:54 PM

আইপিএল: ২১ রানে আউট হরপ্রীত ব্রার, পাঞ্জাব ১৮১/৯ (১৯ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:46:48 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট আশুতোষ শর্মা, পাঞ্জাব ১৬৮/৮ (১৭.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:36:00 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি আশুতোষ শর্মার, পাঞ্জাব ১৫১/৭ (১৫.৩ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:22:48 PM

আইপিএল: ৪১ রানে আউট শশাঙ্ক সিং, পাঞ্জাব ১১১/৭ (১২.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:02:15 PM

আইপিএল: ৯ রানে আউট জীতেশ শর্মা, পাঞ্জাব ৭৭/৬ (৯.২ ওভার) টার্গেট ১৯৩

10:48:50 PM