Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আড়াই মাসের ভোট কার স্বার্থে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাসুদেব জানা, প্রতিমা মণ্ডলরা কাজের খবরগুলো পান পঞ্চায়েত থেকে। আবার কখনও বিডিও অফিস জানিয়ে দেয়... কাজ আসছে। এবারও পেয়েছিলেন। জাতীয় সড়কের উপর এক কিলোমিটার ব্রিজ হবে। নরঘাট সেতুর ঠিক পাশেই আর একটা। কথা চলছে অনেকদিন ধরেই। লোকে বলেন, এই ব্রিজটা হয়ে গেলে নন্দকুমার থেকে দীঘা যাওয়ার পথ আরও সহজ হবে। ঠিকাদাররা এখন মেশিন নামায় ঠিকই, কিন্তু ওদের জন্যও কাজ থাকে। টানা কয়েক মাস খাটতে পারলে রোজের চিন্তাটা অন্তত থাকে না। এখন তাঁরা শুনছেন, কাজটা হচ্ছে না। কারণ ভোট এসে গিয়েছে। রাজনীতির প্যাঁচ বাসুদেব-প্রতিমারা বোঝেন না। শুধু জানেন, ভোট এসে গেলে নতুন কাজ আর হয় না। এবারও হল না। একটা ভোট দেওয়ার থেকে টানা এক মাসের কাজের গুরুত্ব তাঁদের কাছে অনেক বেশি। পুরনো কাজ যেগুলো শুরু হয়ে গিয়েছে, তাতে বাধা পড়বে না। কিন্তু নতুন প্রকল্প? এবার নাকি আড়াই মাস ধরে ভোট চলবে। মানে এই আড়াই মাস সরকারি কাজকর্ম কিচ্ছু হবে না। প্রতিমা মণ্ডলরা ভাবছেন, গরিবের পেটে আর কতভাবে লাথি মারবে সরকার?
নির্বাচন কমিশন যে স্বশাসিত সংস্থা, বাসুদেব-প্রতিমারা সে সব জানেন না। তাঁদের কাছে সবটাই দিল্লির সরকার। ওরাই সব করে। না জেনেও খুব ভুল তাঁরা জানেন না। কমিশনার নিয়োগে যদি কেন্দ্রের পূর্ণ ক্ষমতা থাকে, তাহলে দিনক্ষণ ঠিক করার ক্ষেত্রে কিছু সুবিধা কি তারা দাবি করবে না? কোন রাজ্যে কত দফায় ভোট হবে, তামিলনাড়ুর কতদিন পর গুজরাতে ভোট হবে, কোথায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী যাবে... এই সব প্রশ্নের উত্তর কেন্দ্রের সরকারের আস্তিনে লুকনো থাকে। চিরাচরিতভাবে। এবারও আছে। বিতর্ক হবে? হোক না। অসুবিধা কোথায়। নির্ঘণ্টের শেষ পর্বে পৌঁছে ঝুলিতে কতগুলো ভোট নিশ্চিত হল, সেটাই আসল কথা। তাই পথটা মসৃণ করতে হবে। এক এক দফার মধ্যে যদি দিন সাতেকের ব্যবধান থাকে, তাহলে নরেন্দ্র মোদিকে হুড়োহুড়ি না করলেও চলবে। তাঁরও তো বয়স হয়েছে! সরকারিভাবে ৭২। দশ বছর আগে প্রতিদিন যেভাবে তিনি দেশের কোণায় কোণায় ছুটে বেড়িয়েছিলেন, এখন তা সম্ভব নয়। এখনও তিনি হয়তো দিনে তিনটি সভা করবেন, তেলেঙ্গানা থেকে বিহার হয়ে মধ্যপ্রদেশ ছুটবেন... কিন্তু মাঝে একটু বিরাম তো চাই! ভোট ঘোষণার পর থেকে শেষ দফা পর্যন্ত আড়াই মাস তাই পর্যাপ্ত সময়। ঘুঁটি সাজানোর যথেষ্ট সময় পাওয়া যাবে। সময় নরেন্দ্র মোদির জন্য, অমিত শাহের জন্যও। দ্বিতীয়জন প্ল্যান করবেন, আর প্রথমজন ডেলিভার। তৃতীয় ইনিংসের জন্য কোনওরকম ফাঁক রাখা যাবে না। ৪০০ আসন না হোক, বিজেপির কোষাগারে ৩৫০’এর বেশি আসন চাইই চাই। সামনে যে অনেক কাজ! দেশজুড়ে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করাটা বিজেপি-আরএসএসের চিরকালীন এজেন্ডা। সঙ্গে রয়েছে সিএএ, বাছাই করা কয়েকটি রাজ্যে এনআরসি এবং অবশ্যই ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ কার্যকর করা। তার জন্য সংবিধান সংশোধন করতে হবে। এক্ষেত্রে অন্তত কোনওরকম বাধার মুখোমুখি হতে নরেন্দ্র মোদি বা অমিত শাহ চাইবেন না। সেটা সম্ভব, যদি লোকসভা এবং রাজ্যসভা—দুই কক্ষেই তাঁরা গরিষ্ঠতা পেয়ে যান। লোকসভা নির্বাচনে ৪০০’র কাছাকাছি আসন তারই প্রথম এবং প্রধান ধাপ। দুই-তৃতীয়াংশ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা। তার জন্য প্রত্যেকটা রাজ্য, প্রত্যেকটা কেন্দ্র ধরে ধরে প্ল্যান সাজাতে হবে। যে কেন্দ্রে মতুয়া ভোটার বেশি, সেখানকার জন্য নাগরিকত্ব। যেখানে মুসলিম সংখ্যাধিক্য, সেই কেন্দ্রের জন্য তিন তালাক। মারাঠাদের জন্য সংরক্ষণ, গো বলয়ের হিন্দুদের জন্য রামমন্দির। ঘুঁটিগুলো সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। গুছিয়ে নেওয়ার সময়টা চেয়েছিলেন মোদিজি। পেয়েও গেলেন। 
এই নির্ঘণ্টে বাকি দলগুলোর সুবিধা বা অসুবিধা কী হল? পশ্চিমবঙ্গের আসন সংখ্যা ৪২। পাহাড় থেকে সমুদ্র—একটি কেন্দ্রের চরিত্র অন্যটির থেকে আলাদা। মাটি, আবহাওয়া, মানুষ... আলিপুরদুয়ারের সঙ্গে কলকাতা দক্ষিণের ফারাক আকাশ-পাতাল। কিন্তু মিল একটাই—গোটা বাংলা বাঁধা এক সুরে। এখানকার মানুষ রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করতে ভালোবাসে, চায়ের দোকানে সিপিএম-তৃণমূলের চর্চায় ধোঁয়া ওঠে, আর ভোটের দিন সকালে সেই সব ভুলে লাইনে গিয়ে দাঁড়ায়। বুথের দরজা খোলার আগেই। বাংলার মানুষ জানে, ভোটদানটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। এটা প্রয়োগ করতে হয়। এই রাজ্যে অন্তত কমিশনকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শেখানোর কাজটা না করলেও চলে। কোনও বুথের সামনে সকাল ১০টায় হয়তো বোমা পড়ে। শুনশান হয়ে যায় চত্বর। কিন্তু দুপুরে আবার আমরা গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাই। আরএসপি সমর্থক জিজ্ঞেস করেন পড়শি কংগ্রেস কর্মীকে... ‘ভাই গোলমাল আর নেই তো? তাহলে ভোটটা দিয়ে আসি।’ বুক ঠুকে বলতে পারি, দেশের কোনও রাজ্যে এই আবহ দেখা যায় না। যাবেও না। তাহলে এই বাংলার জন্য সাত দফায় ভোট কেন? তামিলনাড়ুতেও তো ৩৯টি আসন। সেখানে কেন এক দফা? উত্তর লুকিয়ে আছে নির্ঘণ্টেই। বাংলায় প্রথম দু’টি দফার ভোট উত্তরবঙ্গে। অর্থাৎ বিজেপির তথাকথিত শক্ত জমি। এবং প্রত্যেক জেলার ক্ষেত্রে বিভাজনের অঙ্ক কষে রাখা আছে। পৃথক গোর্খাল্যান্ড, পৃথক উত্তরবঙ্গ, বা সীমাঞ্চল। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের টোপ, আলাদা মুখ্যমন্ত্রী, পৃথক ফান্ড। ঠিক একইভাবে গৌড়বঙ্গের সঙ্গে মুর্শিদাবাদ, তারপর জঙ্গলমহল, বনগাঁ ও বারাকপুরে ভোটগ্রহণের দিন উত্তর ২৪ পরগনার বাকি কেন্দ্র থেকে আলাদা করে দেওয়া, আর সবশেষে কলকাতা। কেন্দ্রগুলো খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে, এলাকার চরিত্র এবং গেরুয়া শিবিরের শক্তি নিপুণভাবে মাথায় রেখে দিনক্ষণ সাজানো হয়েছে। প্রচারে সুবিধা হবে, পাশাপাশি জোর দেওয়া যাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহারেও। গত লোকসভা ভোটে বাংলায় এসেছিল ৭১০ কোম্পানি আধাসেনা। এবার সংখ্যাটা হতে চলেছে ৯২০ কোম্পানি। প্রথম দফার ভোট—অর্থাৎ জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার কেন্দ্র শুরু হবে ২২৫ কোম্পানি দিয়ে। মনে রাখতে হবে, ওইদিন দেশের ২২টি রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে। তারপর চাপ সর্বত্রই কমে যাবে। আর সব রাজ্য থেকে সিআরপি জওয়ানদের ধীরে ধীরে নিয়ে আসা হবে বাংলায়। আমাদের রাজ্যে প্রথম দফায় কিন্তু দার্জিলিং নেই। দ্বিতীয় দফায় আছে। সঙ্গে রায়গঞ্জ, বালুরঘাট। অর্থাৎ প্রথম দফার ভোট হয়ে গেলে পাশের জেলা থেকে আধাসেনার একাংশ চলে যাবে দার্জিলিংয়ে, আর বাকিটা রওনা দেবে দিনাজপুর। পারফেক্ট প্ল্যান। তাহলে প্রথম দিকে এক একটি কেন্দ্রে কত কোম্পানি বাহিনী থাকছে? প্রায় ৭০ কোম্পানি। অর্থাৎ এক একটি বিধানসভা এলাকায় অন্তত ১০ কোম্পানি আধাসেনা। মানে ১ হাজার জওয়ান। দফা যত গড়াবে, সংখ্যাটা বাড়বে পাল্লা দিয়ে।
স্যাম মানেকশ অনেক আগেই একটি চিরকুটে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে লিখে দিয়েছিলেন, ৭১’এর যুদ্ধ শুরু হবে ৩ ডিসেম্বর। সেটাই হয়েছিল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনকেও কি কেউ লিখে দিয়েছেন যে, ১৯ এপ্রিলের পর বাংলায় কোনও যুদ্ধ শুরুর কথা আছে? না হলে জম্মু কাশ্মীরে ৬৩৫ কোম্পানি, আর পশ্চিমবঙ্গে ৯২০ কোম্পানি আধাসেনা কেন? যদি রাজ্যের পরিধি বা জনসংখ্যা বিচার্য হয়, সেক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশে কেনই বা ২৫২ কোম্পানি? কেন্দ্রীয় সরকারি হিসেবই বলছে, অপরাধের যে কোনও নিরিখে যোগীরাজ্য বাকিদের কয়েকশো যোজন পিছনে ফেলে রেখেছে। ভোট এলে সেই অপরাধীদের বাহিনী কি বাল্মীকি হয়ে যাবে? নাকি ডাবল ইঞ্জিন রাজ্য হওয়ার সুবিধা তুলছে তারা? 
আসলে কোনওটাই না। বাংলা সব সময় মোদি সরকারের জন্য স্পেশাল। তাই এখানকার ভোটারদের কাছে তাদের হর্তাকর্তাদের দাবিও বোধহয় বেশি। সেই কারণেই হয়তো বিজেপি নেতারা এখানকার মানুষকে প্রাপ্য পারিশ্রমিক না দিয়েও ভোট চাইতে পারেন। দুর্নীতির কথা বলেন, কিন্তু তা প্রমাণ হয় না। মোদি সরকারের বাঘা বাঘা অফিসাররা হাতেগোনা কয়েকজনকে জেলে ভরে রাখেন। অথচ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেন না। শুধু আটকে থাকে গরিব মানুষের টাকা। ভোট আসে, যতটুকু কাজ চলছিল, সেটাও বন্ধ হয়ে যায়। শব্দ শোনা যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বুটের। সেই শব্দ বাড়তে থাকে। বাহিনীর জওয়ানরা এই রাজ্যে থেকে যায় ভোটপুজো শেষ হওয়া পর্যন্ত। আর তাদের টাকা কাকে দিতে হয়? রাজ্য সরকারকে। অর্থাৎ, আপনার-আমার করের টাকা। সাত দফায় আড়াই মাস ধরে ভোট। প্রতিমা-বাসুদেবদের সঞ্চয় ফুরিয়ে আসে। কাজের খোঁজে ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে পড়েন তাঁরা। কাজ কিছু হয়তো মেলে। পেট ভরে না। টান লাগে সংসারে। ফিকে হয়ে যায় বিকাশের প্রতিশ্রুতি। আর কেন্দ্রের সরকার ব্যস্ত থাকে ভোটে। জনসভা, রোড শো... দলগুলো ঝাঁপিয়ে পড়ে তর্জনির এক একটি নীল কালির দাগের জন্য। পাহারায় থাকে বাহিনী। তাদের থাকা, খাওয়া, যাতায়াতের বিল আসে নবান্নে। পরে কখনও কেন্দ্র সেই টাকা মেটায় রাজ্যকে। কিন্তু রাজ্যবাসীর হকের টাকা? মিলিয়ে থাকে ধোঁয়াশাতেই। 
19th  March, 2024
ভারতীয় রাজনীতির গভীর সঙ্কট!
মৃণালকান্তি দাস

হিটলার ক্ষমতায় আসার এক বছর আগে, ১৯৩২ সালে জার্মানির নাৎসি পার্টি নিদারুণ অর্থকষ্টে ভুগছিল। ক্ষমতায় এসেই ১৯৩৩-এর ২০ ফেব্রুয়ারি দেশের বড় বড় শিল্পপতিদের বৈঠকে ডেকেছিলেন। সেই সভায় হিটলার শিল্পপতিদের দেশপ্রেমের প্রমাণ দাবি করেন।
বিশদ

রামনামের আর বদনাম চান না ভক্তরা
হারাধন চৌধুরী

চৈত্র মাসের শুক্লা নবমী হল শ্রীরামচন্দ্রের জন্মতিথি। দিনটি রামনবমী হিসেবেই জনপ্রিয়। সেটা এবছর পড়েছে ১৭ এপ্রিল। ভগবান রামচন্দ্র অজানা কাল থেকেই ভারতবর্ষের অসংখ্য মানুষের আরাধ্য।
বিশদ

27th  March, 2024
এজেন্সিরাজ বিজয়ী হলে বিসর্জন যাবে গণতন্ত্র
পি চিদম্বরম

ভেবেছিলাম যে আমরা কেবল একটা ‘অ্যালফাবেট স্যুপের’ ভিতরে আছি। অর্থাৎ আমরা নিমজ্জিত আইটি, সিবিআই, ইডি, এসএফআইও, এনসিবি, এনআইএ এবং অন্যান্য সংক্ষিপ্ত নাম চুবনো একটা ‘সুস্বাদু’ ব্যঞ্জনের ভিতরে।
বিশদ

25th  March, 2024
রাজনীতির রং যেন মর্মে না লাগে!
হিমাংশু সিংহ

এত বিদ্বেষের রং, এত ঘৃণা, এত বিষাক্ত বিভাজন জরুরি অবস্থার পর কেউ দেখেছে? বিরোধীদের ভাঙো, না-হলে এজেন্সি দিয়ে জেলে পোরো। লড়াইটা দুর্নীতি খতমের নয়, উন্নয়নের মাইলফলক ছোঁয়ারও নয়, বিরোধী নিকেশের। বিরোধী হটাও গদি বাঁচাও। বিশদ

24th  March, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার মোকাবিলায় মাঠে আরএসএস
তন্ময় মল্লিক

যাঁড়েশ্বর মন্দির সংস্কারের কাজ চলছে। মন্দির যাওয়ার রাস্তাটাও ঢালাই হচ্ছে। সেই রাস্তার ধারে মাংস বিক্রি করছিলেন এক যুবক। নাম ছোটন বাউরি। রাস্তা কারা করছে? মুখ না তুলেই ছোটন উত্তর দেন, ‘রাজ্য সরকার।’ আপনার স্ত্রী লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পান? বিশদ

23rd  March, 2024
বাঙালি আর কতবার পরীক্ষা দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

জাতীয় কংগ্রেসের কোকোনদ অধিবেশনে চিত্তরঞ্জন দাশ ভাষণে বলেছিলেন, ‘আপনারা বাংলাকে মুছে দিতে পারেন না কংগ্রেসের ইতিহাস থেকে’। বাংলার প্রতি জাতীয় স্তরের নেতৃত্বের প্রবল এক বিমাতৃসুলভ মনোভাব চিত্তরঞ্জন দাশ অনেক আগে থেকেই লক্ষ করেছেন। বিশদ

22nd  March, 2024
মোদি জমানায় চিকিৎসা যখন পণ্য!
মৃণালকান্তি দাস

মদ তৈরিতে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ডিসটিলড অ্যালকোহল। সেই ডিসটিলড অ্যালকোহলকে জিএসটির আওতায় না রাখার কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
বিশদ

21st  March, 2024
বন্ড রহস্য ও ব্যান্ডিটস!
সন্দীপন বিশ্বাস

ফেলুদার কপালে চিন্তার ভাঁজ। চোখদুটো যেন গভীর কোনও রহস্যের ভিতরে ডুব দিয়েছে। কাউচে বসে সামনের দিকে ঝুঁকে। হাত দু’টো জোড়া। তার উপরে থুতনিটা রেখে গভীর চিন্তায় ডুবে আছে। 
বিশদ

20th  March, 2024
স্বাধীনতা ও উন্নয়ন নির্বাচন করব কি আমরা?
পি চিদম্বরম

দেশের সরকার নির্বাচন করার জন্য একটি সাধারণ জাতীয় উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে জনগণের ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত। মানুষের সমর্থন ‘ক’ বা ‘খ’ পার্টির মধ্যে ভাগ হয়ে যেতে পারে। ভোটপ্রার্থী দল কখনও কখনও হতে পারে তারও বেশি। তবে সামনে যে উদ্দেশ্যটি থাকবে সেটি সাধারণ হওয়াই কাম্য।
বিশদ

18th  March, 2024
নাগরিক বিভ্রান্তির মধ্যে অবাধ ভোট সম্ভব?
হিমাংশু সিংহ

নাগরিকসত্তাই যে দেশে প্রশ্নের মুখে সেখানে নির্বাচন কি সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব? শনিবার অপরাহ্ণে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর আপাতত এটাই সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন। দশদিন ধরে অনাহার, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি সব ভুলে নাগরিক বিভ্রান্তি কাকে বলে অধীর আগ্রহে দেখছে দেশ।
বিশদ

17th  March, 2024
সিএএ’র হাড়িকাঠে মাথা কে দিতে চায়?
তন্ময় মল্লিক

নীলরতন বিশ্বাস পেশায় গ্রামীণ চিকিৎসক। বাড়ি নদীয়ার ধানতলার পূর্ব নওয়াপাড়ায়। তাঁর জন্ম এদেশে। কিন্তু বাবা এসেছিলেন বাংলাদেশ থেকে। তাঁর পরিবারের সকলের আধার ও ভোটারকার্ড আছে। নাগরিকত্বের ‘পাকা সার্টিফিকেটে’র জন্য আবেদন করবেন কি না জানতে চাইতেই তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, কেন করব? বিশদ

16th  March, 2024
রাষ্ট্রের দাবি এবং বাস্তবে পার্থক্য কতটা?
সমৃদ্ধ দত্ত

ওই যে অশ্বত্থ গাছ। প্রতিদিন ওখানে ২৪ ঘণ্টা কোনও না কোনও মানুষের দেখা পাওয়া পাবে। দিনের বেলা তো অনেক সময় দেখে মনে হয় গ্রামসভার মিটিং ডাকা হয়েছে। তবে সকলের কানে মোবাইল। ছড়িয়ে ছিটিয়ে। কেউ গাছের নীচে। কেউ দাঁ঩ড়িয়ে। অনেকগুলো কণ্ঠস্বর মিলেমিশে যায় এখানে। বিশদ

15th  March, 2024
একনজরে
দোল উৎসবের রাতেও রাজনৈতিক হিংসা অব্যাহত থাকল কোচবিহার জেলার শীতলকুচিতে। মঙ্গলবার রাতে শীতলকুচি ব্লকের গোঁসাইরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব গোঁসাইরহাট গ্রামের কটবাঁশ গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে ঢুকে হামলার অভিযোগ ওঠে ...

শুধু ভারত নয়, বিশ্বের দরবারে ধনেখালির পরিচিতি তাঁতের শাড়ির জন্য। তবে এখন আর ধনেখালিতে হাতে টানা তাঁতের মাকুর ঠক ঠক শব্দ সেভাবে শুনতে পাওয়া যায় ...

লোকসভা ভোটের আগে যেনতেন প্রকারে এলাকায় সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করাই বিজেপির কৌশল। সেই লক্ষ্যে  ভূপতিনগর থানার ইটাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচবজরী গ্রামে সালিশি সভা বসিয়ে তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির লোকজনের বিরুদ্ধে ...

মালদ্বীপে মহম্মদ মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। চীনপন্থী এই নেতাকে বিভিন্নভাবে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে জিনপিং সরকার। সেই প্রতিশ্রুতির একটি পানীয় জল সরবরাহ। দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সমস্যায় ভুগতে থাকা মালদ্বীপে ১ হাজার ৫০০ টন হিমবাহ নিঃসৃত জল ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৬৮: রুশ সাহিত্যিক ম্যাক্সিম গোর্কির জন্ম
১৯২৬: ক্রিকেটার পলি উমরিগড়ের জন্ম
১৯৩০: কনস্টান্টিনোপলের নাম ইস্তাম্বুল ও অ্যাঙ্গোরার নাম আঙ্কারা করা হয়
১৯৩০: বিশিষ্ট ধ্রুপদী সঙ্গীতশিল্পী মীরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৪১: কলকাতা থেকে মহানিষ্ক্রমণের পর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বার্লিন পৌঁছালেন
১৯৪২: রাসবিহারী বসু জাপানের টোকিওতে ভারত স্বাধীন করার আহ্বান জানিয়ে ভাষণ দেন
১৯৫৪: অভিনেত্রী মুনমুন সেনের জন্ম
১৯৭৫: অভিনেতা অক্ষয় খান্নার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৬ টাকা ৮৩.৯৫ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯১ টাকা ১০৬.৫৪ টাকা
ইউরো ৮৯.০৮ টাকা ৯১.৫২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৬,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৭,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৩,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৪,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৪,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৪ চৈত্র, ১৪৩০, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪। তৃতীয়া ৩৩/২১ রাত্রি ৬/৫৭। স্বাতী নক্ষত্র ৩২/৩৪ রাত্রি ৬/৩৮। সূর্যোদয় ৫/৩৬/৪৮, সূর্যাস্ত ৫/৪৬/৪৮। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৫২ গতে ৩/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে পুনঃ ১০/২৮ গতে ১২/৫৫ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪১ গতে ১/১১ মধ্যে। 
১৪ চৈত্র, ১৪৩০, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪। তৃতীয়া অপরাহ্ন ৪/৩৬। স্বাতী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৪/৪৩। সূর্যোদয় ৫/৩৯, সূর্যাস্ত ৫/৪৭। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৬ গতে ৩/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/২২ গতে ১২/৫২ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৫ গতে ৫/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪৩ গতে ১/১২ মধ্যে। 
১৭ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: দিল্লিকে ১২ রানে হারিয়ে ম্যাচ জিতল রাজস্থান

11:38:34 PM

আইপিএল: ৯ রানে আউট অভিষেক, দিল্লি ১২২/৫ (১৫.৩ ওভার), টার্গেট ১৮৬

11:13:01 PM

আইপিএল: ২৮ রানে আউট পন্থ, দিল্লি ১০৫/৪ (১৩.১ ওভার), টার্গেট ১৮৬

11:02:01 PM

আইপিএল: ৪৯ রানে আউট ওয়ার্নার, দিল্লি ৯৭/৩ (১১.২ ওভার), টার্গেট ১৮৬

10:49:56 PM

আইপিএল: দিল্লি ৭৩/২ (৮ ওভার), টার্গেট ১৮৬

10:36:51 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট রিকি, দিল্লি ৩০/২ (৩.৪ ওভার), টার্গেট ১৮৬

10:13:27 PM