Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সিএএ’র হাড়িকাঠে মাথা কে দিতে চায়?
তন্ময় মল্লিক

নীলরতন বিশ্বাস পেশায় গ্রামীণ চিকিৎসক। বাড়ি নদীয়ার ধানতলার পূর্ব নওয়াপাড়ায়। তাঁর জন্ম এদেশে। কিন্তু বাবা এসেছিলেন বাংলাদেশ থেকে। তাঁর পরিবারের সকলের আধার ও ভোটারকার্ড আছে। নাগরিকত্বের ‘পাকা সার্টিফিকেটে’র জন্য আবেদন করবেন কি না জানতে চাইতেই তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, কেন করব? আমাদের তো সব আছে। আমরা তো এদেশের নাগরিক। তবে আমাদের কিছু আত্মীয় আছেন যাঁরা ১০/১৫ বছর আগে এদেশে এসেছেন। তাঁদের কেউ কেউ সরকারি চাকরিও করছেন। তাঁরা আবেদন করবেন না। কারণ অনেক নথি দিতে হবে। কোনও কারণে মঞ্জুর না হলে সব গেল। কেউ কি আর স্বেচ্ছায় হাড়িকাঠে মাথা গলাতে চায়?
পূর্ব বর্ধমান জেলার নসরৎপুরের কিশোরীগঞ্জে গণেশ গোঁসাইয়ের বাড়ি। পেটের ব্যবস্থা করতেই তাঁর দিন কেটে যায়। তবে সব খোঁজখবর রাখেন। তাঁদের নাগরিকত্ব দিতেই যে আইন হয়েছে, সেটাও তিনি জানেন। আবেদন করবেন কি না জিজ্ঞাসা করতেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন। বললেন, ‘কিছুতেই করব না। আমাদের কি সুখে থাকতে ভূতে কিলিয়েছে?’
কাটোয়ার পানুহাটের বেশিরভাগই পূর্ববঙ্গ থেকে আসা পরিবার। সেই গ্রামেও সিএএ নিয়ে কোনও হেলদোল নেই। উল্টে নতুন করে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলায় বেশিরভাগ মানুষই বেশ বিরক্ত। তাঁদের প্রশ্ন, ভোটের মুখে খুঁচিয়ে ঘা করার কি খুব দরকার ছিল? সত্যেন বারুই, নীতীশ ঘরামিরা জানিয়ে দেন, কোনও মতেই আবেদন করবেন না। নীতীশবাবুর হুঁশিয়ারি, কেউ কাগজপত্র দেখতে এলে আগে তাঁরই নাগরিকত্বের প্রমাণ দেখতে চাইব। তারপর অন্য কথা। এতদিন এদেশে আছি। ভোট দিচ্ছি। এখন আবার নতুন করে নাগরিকত্ব নিতে হবে? ইয়ার্কি হচ্ছে!
তবে, সিএএ চালু হওয়ায় কালনার সাতগেছিয়া পঞ্চায়েতের পূর্ব সাহাপুরের শ্যামল ডাকুয়া বেজায় খুশি। তিনি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করবেন। যদিও তিনি বাংলাদেশ থেকে এসেছেন প্রায় ৫০ বছর আগে। তাঁর ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, সব আছে। ছেলের আছে পাসপোর্টও। তবুও তিনি আবেদন করবেন। তার প্রথম কারণ প্রতিবেশীরা মাঝেমধ্যেই তাঁকে ‘উদ্বাস্তু’ বলে কটাক্ষ করে। নাগরিকত্ব পেলে সেটা আর শুনতে হবে না। দ্বিতীয় কারণ তাঁর বিশ্বাস, নরেন্দ্র মোদি যা করেন, সেটা মানুষের ভালোর জন্যই করেন। তাই প্রয়োজন থাক বা না থাক তিনি আবেদন করবেন।
শ্যামল ডাকুয়া নাকি নীলরতন বিশ্বাস, কাদের পাল্লা ভারী, সেটার প্রমাণ পাওয়া যাবে চব্বিশের ভোটে। শ্যামলবাবুরা সংখ্যায় বেশি হলে নির্বাচন ঘোষণার মুখে সিএএ চালুই হবে বিজেপির মাস্টার স্ট্রোক। আর নীলরতনবাবুরা সংখ্যায় বেশি হলে সেটাই হবে ব্যুমেরাং। 
সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে জোর চলছে সিএএ নিয়ে কাটাছেঁড়া। চলছে যুক্তি, পাল্টা যুক্তি। তাতে অনেকেই মনে করছেন, এতদিন নাগরিকত্ব নামক যে গাজরটি ঝোলানো হচ্ছিল, তা আসলে ‘ফাঁদ’। কারণ নাগরিকত্বের আবেদন খারিজ হয়ে গেলে তাঁর কী হবে, তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা সংশোধিত আইনে বলা নেই। যদি যাচাই কমিটি আবেদনকারীর দাখিল করা নথি সন্তোষজনক নয় বলে মনে করে তাহলে তিনি নাগরিকত্ব পাবেন না। সেক্ষেত্রে কি তিনি ‘অনুপ্রবেশকারী’ হয়ে যাবেন? নাকি ফের আবেদনের সুযোগ পাবেন? এরও কোনও সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া নেই।
সবচেয়ে বড় কথা নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য যে সমস্ত প্রমাণ চাওয়া হচ্ছে তা জোগাড় করাই কঠিন। অশান্তির কারণে রাতারাতি এককাপড়ে যাঁরা সবকিছু ছেড়ে চলে এসেছেন, তাঁদের পক্ষে কি এইসব নথি আনা সম্ভব ছিল? তাছাড়া তাঁরা কী করে প্রমাণ করবেন যে ধর্মীয় অত্যাচারের কারণেই জন্মভূমি ছেড়ে ভারতে আসতে বাধ্য হয়েছেন।
সিএএ-তে কোথাও নাগরিকত্ব খারিজের কথা বলা নেই। কিন্তু সাম্প্রতিক আধার নম্বর লক হওয়ার ঘটনায় ‘ঘাড়ধাক্কা’ খাওয়ার ভয় বহু মানুষকেই তাড়া করে বেড়াচ্ছে। কারণ যাঁদের আধার নম্বর অচল হয়েছিল তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই অন্য দেশ থেকে এসেছেন। আর তাঁদের বেশিরভাগই এসেছেন ২০০০ সালের পর। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে আধার নম্বর ফের চালু হয়েছে। কিন্তু সেটা কতদিন চালু থাকবে, তার কোনও গ্যারান্টি নেই। এখন অনেকেই বলছেন, তখন আধার নম্বর লক করে সিএএ লাগুর রেকিটা সেরে ফেলা হয়েছে। আসল ‘খেলা’ শুরু হবে নির্বাচনের পর।
পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের সুপ্রসেন সরকারের লক হওয়া আধার নম্বর ফের চালু হয়েছে। কিন্তু তিনি স্বস্তিতে নেই। এই অবস্থায় সিএএ চালু হওয়ায় আতঙ্ক তীব্র হয়েছে। নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করবেন কি না, তা বুঝতে পারছেন না। তাঁর ভোটার ও আধার কার্ড আছে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে কবে এসেছেন, তার কোনও প্রমাণ নেই। তিনি শখ করে দেশ ছাড়েননি। এসেছেন অত্যাচারে ও আতঙ্কে। কিন্তু সেটা প্রমাণ করবেন কী করে? তাই সিএএ নিয়ে এখন তাঁর কাছে ‘সাপের ছুঁচো গেলা’ অবস্থা। একদিকে নাগরিকত্বের টোপ, অন্যদিকে সব হারানোর ভয়। নথিপত্র দেখে যাচাই কমিটি সন্তুষ্ট না হলে বন্ধ হতে পারে সরকারি সুযোগ সুবিধাও।
অসমের ঘটনা এরাজ্যের নাগরিকত্ব প্রত্যাশী মতুয়াদের মনেও সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। অসমে এনআরসির সময় প্রায় সাড়ে ২৬ লক্ষ মানুষের আধার কার্ড ‘হোল্ড’ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে তাঁরা সরকারি সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অসমে ডাবল ইঞ্জিন সরকার। তা সত্ত্বেও ঝুলে থাকা আধার কার্ডের নিষ্পত্তি হয়নি। আর বাংলায় তেমনটা ঘটলে তো কথাই নেই। একে অপরের দিকে আঙুল তুলেই বছরের পর বছর কাটিয়ে দেবে।
বঙ্গ বিজেপির নেতারা ভেবেছিলেন, সিএএ লাগুর ঘোষণামাত্র মতুয়াদের উচ্ছ্বাস সুনামির মতো আছড়ে পড়বে। জ্বালানির জ্বলুনি, বেকারত্ব, সব ইস্যু পিছনে চলে যাবে। নাগরিকত্ব পাওয়ার আনন্দে পূর্ববঙ্গ 
থেকে আসা মানুষজন রাস্তায় নেমে বিজয় উৎসব পালন করবে। আনন্দ প্রকাশের ধরনটা কেমন হবে, তার একটা ‘ডেমো’ও শান্তনু ঠাকুরের 
অনুগামীরা ঠাকুরবাড়িতে দিয়েছিলেন। কিন্তু তার কোনও প্রভাবই পড়ল না। কিছু কিছু এলাকায় বিজেপির উদ্যোগে নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে মিছিল হল ঠিকই। কিন্তু যাঁরা মিছিলে হাঁটলেন তাঁরাও আবেদন করতে চাইছেন না। ভয় পাচ্ছেন। পাছে আম ও ছালা দু’-ই যায়।
বঙ্গ বিজেপির নেতারাও সেটা বুঝতে পেরেছেন। তাই আবেদনে উৎসাহ দেওয়ার বদলে নাগরিকত্ব খারিজ হবে না, এই অভয় দিতেই তাঁরা ব্যস্ত 
হয়ে পড়েছেন। তাঁরা প্রতিটি জনসভায় গিয়ে একটা কথাই বলছেন, ‘এটা নাগরিকত্ব দেওয়ার 
আইন, কেড়ে নেওয়ার নয়।’ কিন্তু যাঁদের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই, তাঁদের কী হবে? এর কোনও উত্তর নেই। 
এতদিন যাঁরা নাগরিকত্ব পাওয়ার আশায় বিজেপি ডাকে জয়ডঙ্কা, কাঁসর, সিঙ্গা ফুঁকতে ফুঁকতে রাস্তায় নেমে পড়তেন, তাঁরাই গিয়েছেন থমকে। কারণ দিন যত যাচ্ছে নাগরিকত্ব পাওয়ার পদ্ধতি ততই জটিল হচ্ছে। শুধু আবেদন করলেই হবে না, দিতে হবে ইন্টারভিউও। ফলে সিএএ লাগুর ঘোষণায় প্রথমে যাঁরা হাতে চাঁদ পেয়ে গিয়েছেন বলে ভেবেছিলেন তাঁরাই এখন হেনস্তা হাওয়ার ভয়ে আবেদন করতে পিছিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের বক্তব্য, যদি নাগরিকত্ব দেওয়াই উদ্দেশ্য হয় তাহলে কেন চাপানো হচ্ছে এত শর্ত? ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, রেশন কার্ড দেখেই নাগরিকত্ব দিলে তো ল্যাটা চুকে যেত। 
রামমন্দির বাংলায় কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না, সেটা বঙ্গ বিজেপির নেতারাও বিলক্ষণ জানতেন। তাই দিল্লির দেওয়া রামমন্দির কেন্দ্রিক ‘টাস্ক’ পালনে ছিল না কোনও আগ্রহ। সন্দেশখালি নিয়ে খানিক হইচই হলেও তা ‘গেম চেঞ্জার’ হতে পারল না। বঙ্গ বিজেপির শেষ ভরসা ছিল সিএএ। কিন্তু যাঁদের জন্য এই আইন তাঁরাই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। তবে, এরপরেও হয়তো ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের শেখানো রাস্তায় সিএএ-কে স্বাগত জানিয়ে মহা উৎসাহে বাজানো হবে ঢাক, কাঁসর, জয়ডঙ্কা। কিন্তু তাতে কি মতুয়া ভোট গেরুয়া শিবিরে আছড়ে পড়বে? তা নিয়ে রয়েছে ঘোর সংশয়। কারণ তাঁরাও বুঝে গিয়েছেন, বিজেপি তাঁদের হাতে নাকের বদলে ধরিয়ে দিয়েছে ‘নরুন’।
16th  March, 2024
ভারতীয় রাজনীতির গভীর সঙ্কট!
মৃণালকান্তি দাস

হিটলার ক্ষমতায় আসার এক বছর আগে, ১৯৩২ সালে জার্মানির নাৎসি পার্টি নিদারুণ অর্থকষ্টে ভুগছিল। ক্ষমতায় এসেই ১৯৩৩-এর ২০ ফেব্রুয়ারি দেশের বড় বড় শিল্পপতিদের বৈঠকে ডেকেছিলেন। সেই সভায় হিটলার শিল্পপতিদের দেশপ্রেমের প্রমাণ দাবি করেন।
বিশদ

রামনামের আর বদনাম চান না ভক্তরা
হারাধন চৌধুরী

চৈত্র মাসের শুক্লা নবমী হল শ্রীরামচন্দ্রের জন্মতিথি। দিনটি রামনবমী হিসেবেই জনপ্রিয়। সেটা এবছর পড়েছে ১৭ এপ্রিল। ভগবান রামচন্দ্র অজানা কাল থেকেই ভারতবর্ষের অসংখ্য মানুষের আরাধ্য।
বিশদ

27th  March, 2024
এজেন্সিরাজ বিজয়ী হলে বিসর্জন যাবে গণতন্ত্র
পি চিদম্বরম

ভেবেছিলাম যে আমরা কেবল একটা ‘অ্যালফাবেট স্যুপের’ ভিতরে আছি। অর্থাৎ আমরা নিমজ্জিত আইটি, সিবিআই, ইডি, এসএফআইও, এনসিবি, এনআইএ এবং অন্যান্য সংক্ষিপ্ত নাম চুবনো একটা ‘সুস্বাদু’ ব্যঞ্জনের ভিতরে।
বিশদ

25th  March, 2024
রাজনীতির রং যেন মর্মে না লাগে!
হিমাংশু সিংহ

এত বিদ্বেষের রং, এত ঘৃণা, এত বিষাক্ত বিভাজন জরুরি অবস্থার পর কেউ দেখেছে? বিরোধীদের ভাঙো, না-হলে এজেন্সি দিয়ে জেলে পোরো। লড়াইটা দুর্নীতি খতমের নয়, উন্নয়নের মাইলফলক ছোঁয়ারও নয়, বিরোধী নিকেশের। বিরোধী হটাও গদি বাঁচাও। বিশদ

24th  March, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার মোকাবিলায় মাঠে আরএসএস
তন্ময় মল্লিক

যাঁড়েশ্বর মন্দির সংস্কারের কাজ চলছে। মন্দির যাওয়ার রাস্তাটাও ঢালাই হচ্ছে। সেই রাস্তার ধারে মাংস বিক্রি করছিলেন এক যুবক। নাম ছোটন বাউরি। রাস্তা কারা করছে? মুখ না তুলেই ছোটন উত্তর দেন, ‘রাজ্য সরকার।’ আপনার স্ত্রী লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পান? বিশদ

23rd  March, 2024
বাঙালি আর কতবার পরীক্ষা দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

জাতীয় কংগ্রেসের কোকোনদ অধিবেশনে চিত্তরঞ্জন দাশ ভাষণে বলেছিলেন, ‘আপনারা বাংলাকে মুছে দিতে পারেন না কংগ্রেসের ইতিহাস থেকে’। বাংলার প্রতি জাতীয় স্তরের নেতৃত্বের প্রবল এক বিমাতৃসুলভ মনোভাব চিত্তরঞ্জন দাশ অনেক আগে থেকেই লক্ষ করেছেন। বিশদ

22nd  March, 2024
মোদি জমানায় চিকিৎসা যখন পণ্য!
মৃণালকান্তি দাস

মদ তৈরিতে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ডিসটিলড অ্যালকোহল। সেই ডিসটিলড অ্যালকোহলকে জিএসটির আওতায় না রাখার কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
বিশদ

21st  March, 2024
বন্ড রহস্য ও ব্যান্ডিটস!
সন্দীপন বিশ্বাস

ফেলুদার কপালে চিন্তার ভাঁজ। চোখদুটো যেন গভীর কোনও রহস্যের ভিতরে ডুব দিয়েছে। কাউচে বসে সামনের দিকে ঝুঁকে। হাত দু’টো জোড়া। তার উপরে থুতনিটা রেখে গভীর চিন্তায় ডুবে আছে। 
বিশদ

20th  March, 2024
আড়াই মাসের ভোট কার স্বার্থে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাসুদেব জানা, প্রতিমা মণ্ডলরা কাজের খবরগুলো পান পঞ্চায়েত থেকে। আবার কখনও বিডিও অফিস জানিয়ে দেয়... কাজ আসছে। এবারও পেয়েছিলেন। জাতীয় সড়কের উপর এক কিলোমিটার ব্রিজ হবে। নরঘাট সেতুর ঠিক পাশেই আর একটা। কথা চলছে অনেকদিন ধরেই।
বিশদ

19th  March, 2024
স্বাধীনতা ও উন্নয়ন নির্বাচন করব কি আমরা?
পি চিদম্বরম

দেশের সরকার নির্বাচন করার জন্য একটি সাধারণ জাতীয় উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে জনগণের ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত। মানুষের সমর্থন ‘ক’ বা ‘খ’ পার্টির মধ্যে ভাগ হয়ে যেতে পারে। ভোটপ্রার্থী দল কখনও কখনও হতে পারে তারও বেশি। তবে সামনে যে উদ্দেশ্যটি থাকবে সেটি সাধারণ হওয়াই কাম্য।
বিশদ

18th  March, 2024
নাগরিক বিভ্রান্তির মধ্যে অবাধ ভোট সম্ভব?
হিমাংশু সিংহ

নাগরিকসত্তাই যে দেশে প্রশ্নের মুখে সেখানে নির্বাচন কি সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব? শনিবার অপরাহ্ণে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর আপাতত এটাই সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন। দশদিন ধরে অনাহার, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি সব ভুলে নাগরিক বিভ্রান্তি কাকে বলে অধীর আগ্রহে দেখছে দেশ।
বিশদ

17th  March, 2024
রাষ্ট্রের দাবি এবং বাস্তবে পার্থক্য কতটা?
সমৃদ্ধ দত্ত

ওই যে অশ্বত্থ গাছ। প্রতিদিন ওখানে ২৪ ঘণ্টা কোনও না কোনও মানুষের দেখা পাওয়া পাবে। দিনের বেলা তো অনেক সময় দেখে মনে হয় গ্রামসভার মিটিং ডাকা হয়েছে। তবে সকলের কানে মোবাইল। ছড়িয়ে ছিটিয়ে। কেউ গাছের নীচে। কেউ দাঁ঩ড়িয়ে। অনেকগুলো কণ্ঠস্বর মিলেমিশে যায় এখানে। বিশদ

15th  March, 2024
একনজরে
শুধু ভারত নয়, বিশ্বের দরবারে ধনেখালির পরিচিতি তাঁতের শাড়ির জন্য। তবে এখন আর ধনেখালিতে হাতে টানা তাঁতের মাকুর ঠক ঠক শব্দ সেভাবে শুনতে পাওয়া যায় ...

দুই প্রার্থীকেই মানছি না। দু’জনকেই পরিবর্তন করতে হবে। এমনই দাবিতে বুধবার ভগবানগোলার বরবরিয়ায় রাস্তায় নেমে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। ...

লোকসভা ভোটের আগে যেনতেন প্রকারে এলাকায় সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করাই বিজেপির কৌশল। সেই লক্ষ্যে  ভূপতিনগর থানার ইটাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচবজরী গ্রামে সালিশি সভা বসিয়ে তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির লোকজনের বিরুদ্ধে ...

মালদ্বীপে মহম্মদ মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। চীনপন্থী এই নেতাকে বিভিন্নভাবে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে জিনপিং সরকার। সেই প্রতিশ্রুতির একটি পানীয় জল সরবরাহ। দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সমস্যায় ভুগতে থাকা মালদ্বীপে ১ হাজার ৫০০ টন হিমবাহ নিঃসৃত জল ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৬৮: রুশ সাহিত্যিক ম্যাক্সিম গোর্কির জন্ম
১৯২৬: ক্রিকেটার পলি উমরিগড়ের জন্ম
১৯৩০: কনস্টান্টিনোপলের নাম ইস্তাম্বুল ও অ্যাঙ্গোরার নাম আঙ্কারা করা হয়
১৯৩০: বিশিষ্ট ধ্রুপদী সঙ্গীতশিল্পী মীরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৪১: কলকাতা থেকে মহানিষ্ক্রমণের পর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বার্লিন পৌঁছালেন
১৯৪২: রাসবিহারী বসু জাপানের টোকিওতে ভারত স্বাধীন করার আহ্বান জানিয়ে ভাষণ দেন
১৯৫৪: অভিনেত্রী মুনমুন সেনের জন্ম
১৯৭৫: অভিনেতা অক্ষয় খান্নার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৬ টাকা ৮৩.৯৫ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯১ টাকা ১০৬.৫৪ টাকা
ইউরো ৮৯.০৮ টাকা ৯১.৫২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৬,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৭,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৩,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৪,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৪,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৪ চৈত্র, ১৪৩০, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪। তৃতীয়া ৩৩/২১ রাত্রি ৬/৫৭। স্বাতী নক্ষত্র ৩২/৩৪ রাত্রি ৬/৩৮। সূর্যোদয় ৫/৩৬/৪৮, সূর্যাস্ত ৫/৪৬/৪৮। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৫২ গতে ৩/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে পুনঃ ১০/২৮ গতে ১২/৫৫ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪১ গতে ১/১১ মধ্যে। 
১৪ চৈত্র, ১৪৩০, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪। তৃতীয়া অপরাহ্ন ৪/৩৬। স্বাতী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৪/৪৩। সূর্যোদয় ৫/৩৯, সূর্যাস্ত ৫/৪৭। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৬ গতে ৩/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/২২ গতে ১২/৫২ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৫ গতে ৫/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪৩ গতে ১/১২ মধ্যে। 
১৭ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: দিল্লিকে ১২ রানে হারিয়ে ম্যাচ জিতল রাজস্থান

11:38:34 PM

আইপিএল: ৯ রানে আউট অভিষেক, দিল্লি ১২২/৫ (১৫.৩ ওভার), টার্গেট ১৮৬

11:13:01 PM

আইপিএল: ২৮ রানে আউট পন্থ, দিল্লি ১০৫/৪ (১৩.১ ওভার), টার্গেট ১৮৬

11:02:01 PM

আইপিএল: ৪৯ রানে আউট ওয়ার্নার, দিল্লি ৯৭/৩ (১১.২ ওভার), টার্গেট ১৮৬

10:49:56 PM

আইপিএল: দিল্লি ৭৩/২ (৮ ওভার), টার্গেট ১৮৬

10:36:51 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট রিকি, দিল্লি ৩০/২ (৩.৪ ওভার), টার্গেট ১৮৬

10:13:27 PM