পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
প্রয়াণকালে তাঁকে স্মরণের এই কথাই ভগবান অষ্টম অধ্যায়ে বিশেষ করে শুনিয়েছেন। মরণোত্তর গতির কথাও বিস্তারিতভাবে বলেছেন। সেই গতি বিস্তারিতভাবে শোনানোর মধ্যে একটি রহস্য আছে। দেখিয়েছেন যে, যোগী যে গতি লাভ করেন, আর ভক্ত যে গতি লাভ করেন, তার মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ আছে। যোগী যে গতি লাভ করেন তার পিছনে আছে তাঁর নিজস্ব প্রয়াস। তিনি সমস্ত ইন্দ্রিয়দ্বারকে রুদ্ধ করে কোনো একটি বিশিষ্ট কেন্দ্রে নিজের চিত্তকে স্থাপন করবার চেষ্টা করেন:
সর্বদ্বারাণি সংযম্য মনো হৃদি নিরুধ্য চ।
মূধর্ণ্যাধায়াতত্মনঃ প্রাণমাস্থিতো যোগধারণাম্।।
আর যিনি ভক্ত তিনি কী করেন? ভগবানে মনকে নিবিষ্ট করবার জন্য তাঁর আবার কিছুই করতে হয় না:
অনন্যচেতাঃ সততং যো মাং স্মরতি নিত্যশঃ।
তস্যাহং সুলভঃ পার্থ নিত্যযুক্তস্য যোগিনঃ।।
অনন্যচেতা হয়ে তিনি নিত্যযুক্ত থাকেন বলে তাঁর আর এভাবে কোনো বিশিষ্ট কেন্দ্রে আয়াস-প্রয়াস করে মনকে গুটিয়ে আনতে হয় না। তাঁর সমস্ত ইন্দ্রিয়ের মধ্য দিয়ে, মনের সর্বাবস্থার মধ্য দিয়ে অখণ্ড স্মরণের মাধ্যমে নিরন্তর শ্রীভগবানের সঙ্গে তিনি সংযোগ রক্ষা করে চলেন। এই নিত্য স্মরণের দ্বারা সহজ সংযোগ রক্ষা করে চলেন বলেই তিনি তাঁকে পান সুলভে, অনায়াসে। এইভাবে তাঁকে যিনি পান তাঁর কোনোদিন ‘দুঃখালয়মশাশ্বতম্’ এই পুনর্জন্মের মধ্যে, এই সংসার-চক্রের মধ্যে আর আসতে হয় না। এখানে এই মহারহস্যটি ভগবান উদ্ঘাটন করেছেন, এই অষ্টম অধ্যায়ে। এই প্রসঙ্গে তিনি এখানে শুনিয়েছেন কালের আবর্তনের কথা। এটিও আর এক পরম রহস্য।